ঢাকা , মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই ২০২৫, ৩১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনামঃ
রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে ভুল চিকিৎসায় শাজাহান মৃধা (৫৫) রোগীর মৃত্যুর সৌর ও বায়ু উৎপাদন ক্ষমতায় ১৫ গিগাওয়াট যোগ করতে সৌদি আরব ৮.৩ বিলিয়ন ডলারের নবায়নযোগ্য জ্বালানি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। শাল্লা উপজেলা জিয়া সৈনিক দলের কমিটি গঠন গোমস্তাপুরে জুলাই গণঅভ্যুথান দিবস যথাযথ মর্যাদায় উদযাপন উপলক্ষে প্রস্তুতিমূলক সভা অনুষ্ঠিত  ভালুকায় মা ও শিশু সন্তানদের নির্মম ভাবে হত্যা দিরাইয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে স্বামীর মৃত্যু, স্ত্রী আহত তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বারহাট্টা উপজেলায় নিহত একজন। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের ৩১ দফার লিফলেট বিতরণ! ভোলাহাটে বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস ২০২৫ পালিত! নাটোরের বাগাটি পাড়া অনুমতি ছাড়া স্কুল আঙিনার ৩টি গাছ বিক্রি করলেন প্রধান শিক্ষক

তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বারহাট্টা উপজেলায় নিহত একজন।

নেত্রকোনা -বারহাট্টা প্রতিনিধি

 

নেত্রকোনার বারহাট্টায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে আহাদুল মিয়া (২৬)নামের এক ব্যক্তির নিহতের খবর পাওয়া গেছে। গত রবিবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় উপজেলা বাউশি ইউনিয়নের শাওনওরা গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। আহাদুল শাওন ওই গ্রামের মৃত সিদ্দিক মিয়ার পুত্র। স্থানীয় নিহতের পরিবার সূত্রে জানা যায় গত রবিবার সকালে আহাদুল ও তার বউ আলপনার সাথে ঝগড়া করে। এবং ঝগড়া এক পর্যায়ে মার মুখি স্বামীর হাত থেকে বাঁচতে পার্শ্ববর্তী মনোহর আলীর বাড়িতে আশ্রয় নেয়। আহাদুল ঝগড়া শেষে শেষে স্ত্রীকে ফিরিয়ে আনতে গেলে আশ্রয়দাতা মনোহর আলী ও তার চার ছেলে -আলমগীর, অনিক, নির্ঝর, বাবু মিলে যৌথভাবে আহাদুলকে মারধর করে ও বিভিন্ন রকম হুমকি দেয়। রাগে অপমানে আহাদুল ও মনোহর আলীর পরিবারের সদস্যদের বকাঝকা ও হুমকি দেয়। পরবর্তীতে সন্ধ্যায় আহাদুল বাড়ির পাশে একা বসে থাকা অবস্থায় আলমগীর ও তার ভাইয়েরা মিলে ধারালো অস্ত্র দিয়ে অতর্কিত হামলা করে। ধারালো অস্ত্রের আঘাতে জীবন বাঁচাতে দ্রুত দৌড় দিয়ে পলানোর চেষ্টা করে অন্যদিকে আহাদুলের ছোট ভাই আওলাদ ভাইকে বাঁচাতে আসলে আসামিরা আওলাদ কে ও এলো পাথরি কুপিয়ে জখম করে। পরে এলাকাবাসী এসে দুই ভাইকে উদ্ধার করলে আহাদুল হাসপাতালে নেওয়ার আগেই মারা যায় এবং গুরুতর আহত ছোট ভাই আওলাদকে জরুরি ভিত্তিতে নেত্রকোনা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।নিহতের পরিবার তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে বড় ভাই হত্যার বিচার এবং ছোট ভাইয়ের উপর হামলার বিচার চায়। এ ব্যাপারে বারহাট্টা থানার অফিসার ইনচার্জ কর্মকর্তা মোহাম্মদ কামরুল হাসান জানান নিহত ব্যক্তির সুরত হাল তৈরি করে ময়না তদন্তের জন্য মৃতদহ নেত্রকোনা সদর হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। তবে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে দীর্ঘ সময় যাবৎ আহাদুল এবং আসামি পরিবারের মাঝে দীর্ঘদিন যাবৎ জমি সংক্রান্ত বিরোধ বিদ্যমান ছিল। এ লক্ষ্যেই আসামি তিনজন ঢাকা থেকে বাড়িতে এসে এই হত্যাকাণ্ড ঘটায়। তবে এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত এই হত্যাকাণ্ডে কাউকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি। এ বিষয়ে আইনি প্রক্রিয়া এখনো চলমান রয়েছে।

 

 

 

ট্যাগঃ
জনপ্রিয় সংবাদ

রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে ভুল চিকিৎসায় শাজাহান মৃধা (৫৫) রোগীর মৃত্যুর

তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বারহাট্টা উপজেলায় নিহত একজন।

আপডেট টাইমঃ ৭ ঘন্টা আগে

নেত্রকোনা -বারহাট্টা প্রতিনিধি

 

নেত্রকোনার বারহাট্টায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে আহাদুল মিয়া (২৬)নামের এক ব্যক্তির নিহতের খবর পাওয়া গেছে। গত রবিবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় উপজেলা বাউশি ইউনিয়নের শাওনওরা গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। আহাদুল শাওন ওই গ্রামের মৃত সিদ্দিক মিয়ার পুত্র। স্থানীয় নিহতের পরিবার সূত্রে জানা যায় গত রবিবার সকালে আহাদুল ও তার বউ আলপনার সাথে ঝগড়া করে। এবং ঝগড়া এক পর্যায়ে মার মুখি স্বামীর হাত থেকে বাঁচতে পার্শ্ববর্তী মনোহর আলীর বাড়িতে আশ্রয় নেয়। আহাদুল ঝগড়া শেষে শেষে স্ত্রীকে ফিরিয়ে আনতে গেলে আশ্রয়দাতা মনোহর আলী ও তার চার ছেলে -আলমগীর, অনিক, নির্ঝর, বাবু মিলে যৌথভাবে আহাদুলকে মারধর করে ও বিভিন্ন রকম হুমকি দেয়। রাগে অপমানে আহাদুল ও মনোহর আলীর পরিবারের সদস্যদের বকাঝকা ও হুমকি দেয়। পরবর্তীতে সন্ধ্যায় আহাদুল বাড়ির পাশে একা বসে থাকা অবস্থায় আলমগীর ও তার ভাইয়েরা মিলে ধারালো অস্ত্র দিয়ে অতর্কিত হামলা করে। ধারালো অস্ত্রের আঘাতে জীবন বাঁচাতে দ্রুত দৌড় দিয়ে পলানোর চেষ্টা করে অন্যদিকে আহাদুলের ছোট ভাই আওলাদ ভাইকে বাঁচাতে আসলে আসামিরা আওলাদ কে ও এলো পাথরি কুপিয়ে জখম করে। পরে এলাকাবাসী এসে দুই ভাইকে উদ্ধার করলে আহাদুল হাসপাতালে নেওয়ার আগেই মারা যায় এবং গুরুতর আহত ছোট ভাই আওলাদকে জরুরি ভিত্তিতে নেত্রকোনা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।নিহতের পরিবার তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে বড় ভাই হত্যার বিচার এবং ছোট ভাইয়ের উপর হামলার বিচার চায়। এ ব্যাপারে বারহাট্টা থানার অফিসার ইনচার্জ কর্মকর্তা মোহাম্মদ কামরুল হাসান জানান নিহত ব্যক্তির সুরত হাল তৈরি করে ময়না তদন্তের জন্য মৃতদহ নেত্রকোনা সদর হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। তবে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে দীর্ঘ সময় যাবৎ আহাদুল এবং আসামি পরিবারের মাঝে দীর্ঘদিন যাবৎ জমি সংক্রান্ত বিরোধ বিদ্যমান ছিল। এ লক্ষ্যেই আসামি তিনজন ঢাকা থেকে বাড়িতে এসে এই হত্যাকাণ্ড ঘটায়। তবে এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত এই হত্যাকাণ্ডে কাউকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি। এ বিষয়ে আইনি প্রক্রিয়া এখনো চলমান রয়েছে।