ঢাকা , শুক্রবার, ২৩ মে ২০২৫, ৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনামঃ
লাহিড়ী হাটে মোটরবাইক চুরির অভিযোগে ভ্রাম্যমান আদালতে চোরকে এক বছরের বিনাশ্রম কারাদন্ড  চাঁপাইনবাবগঞ্জে সড়ক মেরামত করেন স্কুল শিক্ষার্থীরা ভোলাহাট উপজেলায় কৃষকদের উন্নয়নে ‘পার্টনার কংগ্রেস’ অনুষ্ঠিত বীরগঞ্জে ভুয়া ফেসবুক আইডি থেকে মিথ্যা তথ্য ছড়ানোর প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন নাচোলে অ’জ্ঞা’ত ব্য’ক্তি’র লা’শ উ’দ্ধা’র করেছে পুলিশ মরুভূমির ফল সাম্মাম চাষে কৃষকের বাজিমাত কবিরাজহাট দারুল কুরআন হামিউসসুন্নাহ মাদরাসা অভিভাবক সমাবেশ ও মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে, ভোলাহাট উপজেলায় দুই সন্তান রেখে গৃহবধূর আত্মহত্যা  পাঁচবিবিতে আইনশৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভা অনুষ্ঠিত। সুনামগঞ্জে তারুণ্য নির্ভর বিনির্মাণ বিষয়ক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

রাজবাড়ীতে উদীচীর বিচারহীনতার ২৬ বছর’ প্রতিবাদী সাংস্কৃতিক সমাবেশ

মোঃ জাহিদুর রহিম মোল্লা, জেলা প্রতিনিধি রাজবাড়ী

 

 

 

রাজবাড়ীতে ‘বিচারহীনতার ২৬ বছর’ প্রতিপাদ্য সামনে রেখে যশোরের বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর দ্বাদশ জাতীয় সম্মেলনে বোমা হামলা ও হত্যাকান্ডের বিচারের দাবিতে প্রতিবাদী সাংস্কৃতিক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) সকালে বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী রাজবাড়ী জেলা সংসদের উদ্যোগে শহরের আজাদী ময়দান এলাকায় এই কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।

 

সমাবেশের শুরুতে যশোরে বোমা হামলায় নিহতদের স্মরণে ১ মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।

 

সংগঠনের সহ-সভাপতি আজিজুল হাসানের সভাপতিত্বে প্রতিবাদী সাংস্কৃতিক সমাবেশ পরিচালনা করেন সাধারণ সম্পাদক এজাজ আহম্মেদ। এতে বক্তব্য দেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) রাজবাড়ী জেলা কমিটির সভাপতি কমরেড আবদুস সামাদ মিয়া, নাগরিক কমিটির সাধারণ সম্পাদক ফকীর শাহাদত হোসেন, ফরিদপুর চিনিকলের সাবেক ব্যবস্থাপক কমল কান্তি সরকার, জেলা কৃষক সমিতির সভাপতি আবদুস সাত্তার মন্ডল, জেলা উদীচীর সাংগঠনিক সম্পাদক ধীরেন্দ্রনাথ দাস, দপ্তর সম্পাদক সুমা কর্মকার, সংগীত বিষয়ক সম্পাদক মো. আবদুল জব্বার প্রমুখ।

 

আলোচনা শেষে জাতীয় সংগীতসহ সংগঠন সংগীত ‘আরশীর সামনে একা একা দাঁড়িয়ে গান দিয়ে সাংস্কৃতিক পর্ব শুরু করা হয়। এরপর ‘ভয় কি মরণে, কারার ওই লৌহ কপাট, তীর হারা এই ঢেউয়ের সাগর’ প্রভৃতি গণসংগীত পরিবেশন করা হয়।

 

বক্তারা বলেন, ১৯৯৯ সালের ৬ মার্চ যশোর টাউন হল মাঠে উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর দ্বাদশ জাতীয় সম্মেলনের শেষ দিন বাউল গানের অনুষ্ঠানে পরপর দুই দফায় মঞ্চের নিচে শক্তিশালী বোমা হামলা করা হয়। বোমার আঘাতে শিল্পীসহ ১০ জন নিহত ও আড়াই শতাধিক মানুষ আহত হন। নিহত ব্যক্তিরা হলেন নূর ইসলাম, নাজমুল হুদা, সন্ধ্যা রানী ঘোষ, ইলিয়াস মুন্সী, শাহ আলম বাবুল, বাবুল সূত্রধর, শাহ আলম, বুলু, রতন রায় ও রামকৃষ্ণ।  বোমা হামলার পর দীর্ঘ ২৬ বছর অতিক্রান্ত হলেও এখনো বিচারকাজ সম্পন্ন করা হয়নি। বিচার করতে না পারার রাষ্ট্রের একটি দুর্বলতা। সেই দুর্বলতার সুযোগেই জঙ্গিগোষ্ঠীগুলো তাদের বিস্তার ঘটিয়েছে। ২৬ বছর ধরে যে বিচারহীনতার আবর্তে আমরা ঘুরপাক খাচ্ছি, তা পেছনে ফেলে আবার ঘটনার সঠিক তদন্ত করে তা জনসমক্ষে প্রকাশ করা ও বিচার করার জন্য সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। বিচার না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার প্রত্যয় ঘোষণা করা হয়।

 

প্রসঙ্গত, যশোরে বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর দ্বাদশ জাতীয় সম্মেলনে বোমা হামলার ঘটনায় মামলা হয়। তদন্ত শেষে ওই বছরের ১৪ ডিসেম্বর বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সাবেক মন্ত্রী তরিকুল ইসলামসহ ২৪ জনকে অভিযুক্ত করে সিআইডি আদালতে অভিযোগপত্র দেয়। পরবর্তী সময়ে অভিযোগ গঠনের সময় আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তরিকুল ইসলামকে এ মামলা থেকে অব্যাহতি দেন উচ্চ আদালত। ২০০৬ সালের ৩০ মে মামলার রায়ে সব আসামিকে বেকসুর খালাস দেন যশোরের বিচারিক আদালত।

 

 

মোঃ জাহিদুর রহিম মোল্লা বালিয়াকান্দি রাজবাড়ী

ট্যাগঃ
জনপ্রিয় সংবাদ

লাহিড়ী হাটে মোটরবাইক চুরির অভিযোগে ভ্রাম্যমান আদালতে চোরকে এক বছরের বিনাশ্রম কারাদন্ড 

রাজবাড়ীতে উদীচীর বিচারহীনতার ২৬ বছর’ প্রতিবাদী সাংস্কৃতিক সমাবেশ

আপডেট টাইমঃ ০৪:৫৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৮ মার্চ ২০২৫

মোঃ জাহিদুর রহিম মোল্লা, জেলা প্রতিনিধি রাজবাড়ী

 

 

 

রাজবাড়ীতে ‘বিচারহীনতার ২৬ বছর’ প্রতিপাদ্য সামনে রেখে যশোরের বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর দ্বাদশ জাতীয় সম্মেলনে বোমা হামলা ও হত্যাকান্ডের বিচারের দাবিতে প্রতিবাদী সাংস্কৃতিক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) সকালে বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী রাজবাড়ী জেলা সংসদের উদ্যোগে শহরের আজাদী ময়দান এলাকায় এই কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।

 

সমাবেশের শুরুতে যশোরে বোমা হামলায় নিহতদের স্মরণে ১ মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।

 

সংগঠনের সহ-সভাপতি আজিজুল হাসানের সভাপতিত্বে প্রতিবাদী সাংস্কৃতিক সমাবেশ পরিচালনা করেন সাধারণ সম্পাদক এজাজ আহম্মেদ। এতে বক্তব্য দেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) রাজবাড়ী জেলা কমিটির সভাপতি কমরেড আবদুস সামাদ মিয়া, নাগরিক কমিটির সাধারণ সম্পাদক ফকীর শাহাদত হোসেন, ফরিদপুর চিনিকলের সাবেক ব্যবস্থাপক কমল কান্তি সরকার, জেলা কৃষক সমিতির সভাপতি আবদুস সাত্তার মন্ডল, জেলা উদীচীর সাংগঠনিক সম্পাদক ধীরেন্দ্রনাথ দাস, দপ্তর সম্পাদক সুমা কর্মকার, সংগীত বিষয়ক সম্পাদক মো. আবদুল জব্বার প্রমুখ।

 

আলোচনা শেষে জাতীয় সংগীতসহ সংগঠন সংগীত ‘আরশীর সামনে একা একা দাঁড়িয়ে গান দিয়ে সাংস্কৃতিক পর্ব শুরু করা হয়। এরপর ‘ভয় কি মরণে, কারার ওই লৌহ কপাট, তীর হারা এই ঢেউয়ের সাগর’ প্রভৃতি গণসংগীত পরিবেশন করা হয়।

 

বক্তারা বলেন, ১৯৯৯ সালের ৬ মার্চ যশোর টাউন হল মাঠে উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর দ্বাদশ জাতীয় সম্মেলনের শেষ দিন বাউল গানের অনুষ্ঠানে পরপর দুই দফায় মঞ্চের নিচে শক্তিশালী বোমা হামলা করা হয়। বোমার আঘাতে শিল্পীসহ ১০ জন নিহত ও আড়াই শতাধিক মানুষ আহত হন। নিহত ব্যক্তিরা হলেন নূর ইসলাম, নাজমুল হুদা, সন্ধ্যা রানী ঘোষ, ইলিয়াস মুন্সী, শাহ আলম বাবুল, বাবুল সূত্রধর, শাহ আলম, বুলু, রতন রায় ও রামকৃষ্ণ।  বোমা হামলার পর দীর্ঘ ২৬ বছর অতিক্রান্ত হলেও এখনো বিচারকাজ সম্পন্ন করা হয়নি। বিচার করতে না পারার রাষ্ট্রের একটি দুর্বলতা। সেই দুর্বলতার সুযোগেই জঙ্গিগোষ্ঠীগুলো তাদের বিস্তার ঘটিয়েছে। ২৬ বছর ধরে যে বিচারহীনতার আবর্তে আমরা ঘুরপাক খাচ্ছি, তা পেছনে ফেলে আবার ঘটনার সঠিক তদন্ত করে তা জনসমক্ষে প্রকাশ করা ও বিচার করার জন্য সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। বিচার না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার প্রত্যয় ঘোষণা করা হয়।

 

প্রসঙ্গত, যশোরে বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর দ্বাদশ জাতীয় সম্মেলনে বোমা হামলার ঘটনায় মামলা হয়। তদন্ত শেষে ওই বছরের ১৪ ডিসেম্বর বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সাবেক মন্ত্রী তরিকুল ইসলামসহ ২৪ জনকে অভিযুক্ত করে সিআইডি আদালতে অভিযোগপত্র দেয়। পরবর্তী সময়ে অভিযোগ গঠনের সময় আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তরিকুল ইসলামকে এ মামলা থেকে অব্যাহতি দেন উচ্চ আদালত। ২০০৬ সালের ৩০ মে মামলার রায়ে সব আসামিকে বেকসুর খালাস দেন যশোরের বিচারিক আদালত।

 

 

মোঃ জাহিদুর রহিম মোল্লা বালিয়াকান্দি রাজবাড়ী