
নাজমুল হুদা, নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি।
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাককানইবি) চলমান লোডশেডিং শিক্ষার্থীদের জন্য অসহনীয় হয়ে উঠেছে। গ্রীষ্মের খরতাপে দিনের বেলা বাইরে থাকাই দুষ্কর, অন্যদিকে হলে ঘনঘন বিদ্যুৎ চলে যাওয়ায় পড়াশোনা ও জীবনযাত্রা ব্যাহত হচ্ছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ঈদুল ফিতরের পর থেকে ক্যাম্পাসে লোডশেডিং বেড়েছে অতিমাত্রায়। গত দুই সপ্তাহে দিনে ৪ থেকে ৭ বার পর্যন্ত বিদ্যুৎ যাচ্ছে, প্রতিবার ফিরতে সময় নিচ্ছে এক ঘণ্টা বা তারও বেশি। এতে ক্লাস, পরীক্ষা ও প্রশাসনিক কাজ বিঘ্নিত হচ্ছে। কিছু বিভাগের চূড়ান্ত পরীক্ষা চলমান থাকায় শিক্ষার্থীদের প্রস্তুতিও ব্যাহত হচ্ছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিল্ম অ্যান্ড মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী শেখ সাকিবুর রহমান বলেন, “গত কয়েকদিন লোডশেডিং অতি মাত্রায় বৃদ্ধি পেয়েছে। ঈদের ছুটির পর প্রায় সব বিভাগেই পরীক্ষা চলছে। কিন্ত অতিমাত্রায় লোডশেডিং এর জন্য কেউই ঠিক ভাবে পড়াশোনা করতে পারছে না। তার উপরে তীব্র গরম তো আছেই। সব মিলিয়ে খুবই বাজে অবস্থা।”
বিশ্ববিদ্যালয়ের বিদ্রোহী হলের আবাসিক শিক্ষার্থী শাহরিয়ার জাহান সজল বলেন, “আমার সেমিস্টার পরীক্ষা চলছে। হলে প্রায়ই লোডশেডিং হচ্ছে। এমনি রাতের বেলায়ও কয়েকবার লোডশেডিং হচ্ছে। যার নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে আমার পরীক্ষাতে।
অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন — বিশ্ববিদ্যালয়ের বিদ্যুৎ সরবরাহ লাইনের সক্ষমতা নিয়ে। আবার এও বলছেন ব্যয়ের সাশ্রয়ে ইচ্ছাকৃত বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হচ্ছে কিনা। যেখানে আশপাশের ত্রিশাল এলাকায় তুলনামূলক কম লোডশেডিং হয়, সেখানে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে এত ঘনঘন বিদ্যুৎ চলে যাওয়া শিক্ষার্থীদের জন্য উদ্বেগজনক ।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী (বিদ্যুৎ) মো. আসাদুজ্জামান আসাদ বলেন, “জাতীয় গ্রিডে সমস্যার কারণে ইদানিং লোডশেডিং হচ্ছে। এখানে আমাদের হাতে তেমন কিছু নেই।”
শিক্ষার্থীদের দাবি, এই সংকট দ্রুত কাটিয়ে উঠতে কর্তৃপক্ষের কার্যকরী উদ্যোগ প্রয়োজন। যেন অন্তত পড়াশোনার পরিবেশটা স্বাভাবিক থাকে।