ঢাকা , মঙ্গলবার, ২০ মে ২০২৫, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনামঃ
বাগেরহাটে উড়ে গেলো দশানী ট্রাফিক পুলিশ বক্স। পাইকগাছায় ইউএনও’র অভিযানে বাল্যবিবাহ পন্ড; মেয়ের পিতার জরিমানা  শ্রীমঙ্গলে বর্জ্য পাহাড়ি ছড়ায় না ফেলা ও শব্দদূষণ রোধে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত কলমাকান্দায় বজ্রপাতে নিহত পরিবারের মাঝে চেক বিতরণ মাঠ পর্যায়ের স্বাস্থ্যসেবা উন্নয়নে গফরগাঁওয়ে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত সাভারে মাথায় গুলি করে রং মিস্ত্রিকে হত্যা  পাঁচবিবিতে মাদক সেবনের দায়ে ৫ জনকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের কারাদণ্ড গোমস্তাপুরে নবনিযুক্ত ইউএনও নির্বাহী অফিসার কে বিএনপি নেতা কর্মীদের শুভেচ্ছা  বড়াল নদীর ক্ষতি না করে সংরক্ষণে জোর দিতে হবে: উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান ভোলাহাট উপজেলার নবনিযুক্ত ইউএনও নির্বাহী অফিসারের সাথে শিবির কর্মীদের সৌজন্যে সাক্ষাৎ

মাদকের টানে ছেলের সর্বনাশ, জেলেই শান্তি খুঁজলেন বাবা-মা

নিউজ ডেস্ক, নেত্রপ্রকাশ 

 

মাদকাসক্ত ছেলের নিত্য অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে অবশেষে প্রশাসনের দ্বারস্থ হলেন বাবা-মা। নাটোরের বড়াইগ্রামে সোমবার (৫ মে) এমনই একটি ঘটনা ঘটে, যেখানে মা-বাবার হাতে ধরিয়ে দেওয়া ছেলেকে ভ্রাম্যমাণ আদালত এক বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন।

 

দণ্ডপ্রাপ্ত যুবকের নাম স্বাধীন ইসলাম (২৬)। তিনি বড়াইগ্রাম উপজেলার আগ্রান গ্রামের আব্দুস সালামের ছেলে। পরিবার সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে স্বাধীন মাদকাসক্ত হয়ে পড়েছেন। নিয়মিত মাদক সেবনের পাশাপাশি পরিবারের সদস্যদের ওপর চালাচ্ছিলেন নির্যাতন। বহুবার বোঝানোর পরও সংশোধন না হওয়ায় বাবা-মা বাধ্য হয়ে তাকে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের হাতে তুলে দেন।

 

পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) লায়লা জান্নাতুল ফেরদৌস তার স্বীকারোক্তি ও পারিবারিক অভিযোগের ভিত্তিতে স্বাধীনকে এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড এবং ১০০ টাকা জরিমানা করেন।

 

একই দিন উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে আরও চার মাদকসেবীকে আটক করে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে দণ্ড দেওয়া হয়। পারকোল গ্রামের রিয়াজুল খানকে এক বছর, কালিকাপুর বেড়পাড়া গ্রামের দুই ভাই আব্দুল হালিম ও আব্দুল বারেককে এক মাস করে এবং হারোয়া গ্রামের মনজুর হোসেনকে ৭ দিনের কারাদণ্ড ও প্রত্যেককে ১০০ টাকা করে অর্থদণ্ড দেওয়া হয়।

 

স্বাধীনের বাবা আব্দুস সালাম বলেন, “নানাভাবে চেষ্টা করেও ছেলেকে মাদক থেকে ফেরাতে পারিনি। বরং দিন দিন তার অত্যাচার আরও বেড়ে যাচ্ছিল। শেষ পর্যন্ত বাধ্য হয়েই প্রশাসনের সহায়তা নিতে হয়েছে।”

 

ইউএনও লায়লা জান্নাতুল ফেরদৌস বলেন, “মাদক নির্মূলে পরিবার যদি এমনভাবে সহযোগিতা করে, তাহলে সমাজে বড় পরিবর্তন আসবে। দণ্ডপ্রাপ্ত পাঁচজনকেই দুপুরেই কারাগারে পাঠানো হয়েছে।”

ট্যাগঃ
জনপ্রিয় সংবাদ

বাগেরহাটে উড়ে গেলো দশানী ট্রাফিক পুলিশ বক্স।

মাদকের টানে ছেলের সর্বনাশ, জেলেই শান্তি খুঁজলেন বাবা-মা

আপডেট টাইমঃ ০৭:২৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৬ মে ২০২৫

নিউজ ডেস্ক, নেত্রপ্রকাশ 

 

মাদকাসক্ত ছেলের নিত্য অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে অবশেষে প্রশাসনের দ্বারস্থ হলেন বাবা-মা। নাটোরের বড়াইগ্রামে সোমবার (৫ মে) এমনই একটি ঘটনা ঘটে, যেখানে মা-বাবার হাতে ধরিয়ে দেওয়া ছেলেকে ভ্রাম্যমাণ আদালত এক বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন।

 

দণ্ডপ্রাপ্ত যুবকের নাম স্বাধীন ইসলাম (২৬)। তিনি বড়াইগ্রাম উপজেলার আগ্রান গ্রামের আব্দুস সালামের ছেলে। পরিবার সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে স্বাধীন মাদকাসক্ত হয়ে পড়েছেন। নিয়মিত মাদক সেবনের পাশাপাশি পরিবারের সদস্যদের ওপর চালাচ্ছিলেন নির্যাতন। বহুবার বোঝানোর পরও সংশোধন না হওয়ায় বাবা-মা বাধ্য হয়ে তাকে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের হাতে তুলে দেন।

 

পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) লায়লা জান্নাতুল ফেরদৌস তার স্বীকারোক্তি ও পারিবারিক অভিযোগের ভিত্তিতে স্বাধীনকে এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড এবং ১০০ টাকা জরিমানা করেন।

 

একই দিন উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে আরও চার মাদকসেবীকে আটক করে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে দণ্ড দেওয়া হয়। পারকোল গ্রামের রিয়াজুল খানকে এক বছর, কালিকাপুর বেড়পাড়া গ্রামের দুই ভাই আব্দুল হালিম ও আব্দুল বারেককে এক মাস করে এবং হারোয়া গ্রামের মনজুর হোসেনকে ৭ দিনের কারাদণ্ড ও প্রত্যেককে ১০০ টাকা করে অর্থদণ্ড দেওয়া হয়।

 

স্বাধীনের বাবা আব্দুস সালাম বলেন, “নানাভাবে চেষ্টা করেও ছেলেকে মাদক থেকে ফেরাতে পারিনি। বরং দিন দিন তার অত্যাচার আরও বেড়ে যাচ্ছিল। শেষ পর্যন্ত বাধ্য হয়েই প্রশাসনের সহায়তা নিতে হয়েছে।”

 

ইউএনও লায়লা জান্নাতুল ফেরদৌস বলেন, “মাদক নির্মূলে পরিবার যদি এমনভাবে সহযোগিতা করে, তাহলে সমাজে বড় পরিবর্তন আসবে। দণ্ডপ্রাপ্ত পাঁচজনকেই দুপুরেই কারাগারে পাঠানো হয়েছে।”