
নিজস্ব প্রতিবেদক
নেত্রকোনার প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত দত্ত উচ্চ বিদ্যালয় , প্রতিষ্ঠানটি সুনামের সাথে দীর্ঘদিন যাবত শিক্ষা প্রদান করে যাচ্ছেন।
কিন্তু একটি কুচক্রি মহল ও সভাপতি না হওয়ায় দত্ত উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এ বি এম শাহজাহান কবীর এর বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারিতা করে বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্মসাৎ এর মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক অভিযোগ করেন যার কোন সত্যতা পাইনি নেত্রকোনা জেলা শিক্ষা অফিসার ।
এদিকে দত্ত উচ্চ বিদ্যালয় এ বি এম শাহজাহান কবীর ২০১৩ সালে প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন । এর পর থেকেই আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছেন শিক্ষার মান ও বিদ্যালয়ের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ করার জন্য। শিক্ষার্থীদের সংখ্যা বৃদ্ধিসহ ভবন তৈরি, সুরক্ষার জন্য সিসি ক্যামেরার ব্যবস্থা করেছেন। দিন দিন প্রতিষ্ঠানের পাশের হার ও বৃদ্ধি পাচ্ছে।বেতন ,ফরম ফিলাপ প্রতি বছরেই ম্যানেজিং কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বৃদ্ধি করা হয় । এস এস সি পরীক্ষার্থীদের কোচিং করানোর জন্য আবেদন করলে শুরু করা হয়েছে কিন্তু বাধ্যতামূলক করা হয়েছে এমনটা জানা যায়।
দত্ত উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ লেখার কারণ জানতে চাইলে কয়েকজন অভিযোগকারীরা বলেন, দত্ত উচ্চ বিদ্যালয় বা সে প্রতিষ্ঠানর প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাৎ এর অভিযোগ করবে এ বিষয়টি আমাদের না বলেই দত্ত উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক সভাপতি হাবিবুর রহমান খান রতন লিখিত আবেদন নিয়ে আসলে সেখানে স্বাক্ষর করাতে বলে । এমনটি উনি করবে কখনো ভাবিনি। আমরা অভিভাবকরা প্রতারণার শিকার হয়েছি বটে কেননা প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক সব সময় সহযোগিতা করেছে এবং সমস্যার কথা বললে উনি সমস্যা বিবেচনা করে ছাড় দিয়েছেন। এখন বড় কথা হলো এ প্রতিষ্ঠানে পড়াশোনার গুণগত মান ভালো হয় তা নিয়ে চিন্তা করি না বাচ্চাদের রেজাল্ট দেখেই বুঝা যায়। বিশেষ করে অভিভাবকরা চিন্তা করে পড়াশোনার করে তাদের সন্তানরা মানুষের মত মানুষ হয়। হাবিবুর রহমান রতনের এমন প্রতারণার জন্য আমরা অভিভাবকরা খুবই লজ্জায় পড়ে গেছি যা উনাকেও যে জিজ্ঞেস করবো সেটাও এখন ভয়ের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে ।তাই উনাকে জিজ্ঞাসা করা হয়নি কেন এমন বিষয়ে আমাদের স্বাক্ষর নিয়েছেন। তবে শিক্ষক এর বিরুদ্ধে আমাদের কোন অভিযোগ নেই একজন ভালো মানুষ কোন শিক্ষার্থী ভুল করলে তাদেরকে সবার সামনে কিছু না বলে অফিসে ডেকে নিয়ে বুঝান তবে প্রধান শিক্ষককে দেখে শিক্ষার্থীরা অনেক ভয় পায় , ফাঁকি দিতে পারে না তাই তো পড়াশোনা আরও ভালো হয় বলে মনে করেন তারা। বর্তমানে ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে ভয় নেই বললেই চলে তাইতো পড়াশোনাও তেমন করতে চায় না কিন্তু দত্ত উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের ভয়ে অনেকেই নিয়মের বহির্ভূত কোন কাজ করে না এবং পড়াশোনাও করে। যাতে বাহিরে গিয়ে কোন শিক্ষার্থী ইভটিজিং এর শিকার না হয় সেজন্য ও বিদ্যালয়ের আশেপাশে লোক রাখেন যাতে করে কেউ ইভটিজিংয়ের শিকার না হয়। আমাদের সাথে যে প্রতারণা টা করেছে তার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন। তারা বলেন ,ক্ষমতা পাওয়ার জন্য অভিভাবকদের জড়ানো ঠিক হয়নি ।উনার নিজের স্বার্থ হাসিল করার জন্য আমাদের ব্যবহার না করলেই পারতো।
এদিকে আরেক জন মাহাবুব নামে অভিভাবক বলেন,অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ নেই , তবে বেতন ,ফরম ফিলাপ সেগুলো বেশি নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে।
এদিকে অভিযুক্তদের সাথে প্রতারণা করার কারণ জানা জন্য দত্ত উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক সভাপতি হাবিবুর রহমান রতনের সাথে যোগাযোগ করলে অভিযোগ অস্বীকার করে বলে দত্ত উচ্চ বিদ্যালয়ের ব্যাপারে তিনি কিছু বলতে চান না। এদিকে গণমাধ্যমদের সাথে অশালীন ভাষা গালিগালাজ করে এবং মামলা দেওয়ার ভয় দেখায়।
প্রধান শিক্ষক বলেন, যে অভিযোগগুলো করা হয়েছে সেগুলো সেগুলো হয়েছে ম্যানেজিং কমিটির আলোকে ম্যানেজিং কমিটি ও তাপ কাউন্সিলের সিদ্ধান্ত ছাড়া কোন কাজ করা হয়নি। বিদ্যালয়ের বেতন ফরম ফিলাপ বা পরীক্ষার ফ্রী সহ বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী করা হয়ে থাকে।উনার একবার সিদ্ধান্তে হয় না। সভাপতি নির্বাচন করা বোর্ডের দায়িত্ব সেখানে আমার একার কিছু করার নেই। রেজিস্ট্রি ফ্রিতে অতিরিক্ত কোন টাকা নেওয়া হয় না সম্পূর্ণ মিথ্যা বানোয়াট। উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য ১১ জন অভিভাবকদের দিয়ে আমার ও প্রতিষ্ঠানের সুনামক্ষুন্ন করার জন্য একটি চক্র উঠে পড়ে লেগেছে। সাবেক সভাপতি হাবিবুর রহমান রতন নিজের এর জন্য কতটুকু নিচে নামতে পারে সেটাই দেখলাম নেচারাও বিভিন্ন মাধ্যমে জানতে পায় হুমকি ধামকি দিচ্ছেন। আমার মনে হয় এতো সহজেই থেমে যাবে না ঐ ব্যক্তি।
এ ব্যাপারে নেত্রকোনা জেলা শিক্ষা অফিসার মোঃ আব্দুল গফুর বলেন ২৫ শে জুলাই দত্ত উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের বিষয়ে জেলা প্রশাসক বরাবর তদন্ত প্রতিবেদন পাঠিয়েছে। ১১ জন অভিযোগকারী অভিভাবক তাদের মধ্যে ৫ জন প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ করেনি। এ অভিযোগ প্রতিষ্ঠানের সাবেক সভাপতি হাবিবুর রহমান রতন ব্যক্তিগত কাজের বলে সাক্ষর নিয়েছে যা না পড়েই সাক্ষর করি। রাহাদ ও তুতা মিয়া বলেন, এর বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ দায়ের করেনি কে বা কাহারা নাম ও মোবাইল নাম্বার ব্যবহার করে উক্ত অভিযোগ দায়ের করেন। তাদের সাথে প্রতারণা করছে বলে জানান। কিন্তু বাকিরা প্রধান শিক্ষকের বিপক্ষে বলেছে কিন্তু অভিযোগের কোন প্রকার প্রমাণ দিতে পারিনি। কেননা বিদ্যালয়ের যেকোনো বিষয়ে সিদ্ধান্ত প্রধান শিক্ষক একা নেয় না বরং ম্যানেজিং কমিটির সিদ্ধান্তে নিয়ে থাকে। তবুও বেতন ও পরীক্ষা ফি কমানোর জন্য সুপারিশ করা হয়েছে। তবে প্রতিবেদন পাঠিয়েছি, এখন জেলা প্রশাসক এর সিদ্ধান্ত নিবেন।