ঢাকা , শনিবার, ২৩ আগস্ট ২০২৫, ৮ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনামঃ
জরুরি সভা: দৈনিক নেত্রপ্রকাশ-এর ভবিষ্যৎ নির্ধারণ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস নেত্রকোনা-৩ মনোনীত প্রার্থীর কেন্দুয়া আলেম উলামাদের সাথে সৌজন্য সাক্ষাত  ——- ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার মামলায় আপিলের রায় ৪ সেপ্টেম্বর মানুষের পাশে দাঁড়ানোই মগড়া বাঁধন সংগঠনের কাজ আটপাড়ায় নাজিরগঞ্জ বাজারে অবৈধ জুয়ার আসর নেত্রকোনার কলমাকান্দায় আনন্দপুরকে মডেল ইউনিয়নে উন্নীতকরণের দাবিতে মানববন্ধন দেশে যত বড় চাঁদাবাজই থাকুক, তাকে আইনের আওতায় আনা হবে। স্বারাষ্ট্র উপদেষ্টা পানছড়ি সীমান্তে ভারতীয় সালসা জব্দ নেত্রকোণা জেলায় ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল (টিআরসি) নিয়োগ জুন-২০২৫ কার্যক্রমের ১ম দিনের কার্যক্রম সম্পন্ন মাটিরাঙ্গায় সেনাবাহিনীর বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা ও সহায়তা প্রদান

১০ কোটি টাকার বৈধ বালু মহাল ঘিরে প্রকাশ্য চাঁদাবাজি, স্পিডবোর্ডে অস্ত্রের মহড়া — সাড়া ঘাটে উত্তেজনা

 

নাটোর প্রতিনিধি 

 

নাটোরের লালপুরে প্রায় ৯ কোটি ৬০ লাখ টাকায় সরকারিভাবে ইজারা নেওয়া বালু মহালকে কেন্দ্র করে ঈশ্বরদীর সাড়া ঘাট এলাকায় চরম উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। একদিকে বৈধ ব্যবসায়িক কার্যক্রম, অন্যদিকে প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতাদের অনুসারীদের প্রকাশ্য চাঁদাবাজি ও সশস্ত্র মহড়ার কারণে নদীপথ এখন আতঙ্কের নাম।

 

সরেজমিনে ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মোল্লা ট্রেডার্স নামের একটি প্রতিষ্ঠান চলতি অর্থবছরে লালপুর বালু মহালের এক বছরের ইজারা নেয় নাটোর জেলা প্রশাসনের কাছ থেকে। নিয়মতান্ত্রিকভাবে কাজ শুরু করতে গিয়ে তারা বাধার মুখে পড়ে যখন তাদের বালুবাহী নৌকা নদীপথে সাড়া ঘাট অতিক্রম করতে যায়।

 

স্থানীয়রা জানায়, বিএনপি নেতা জাকারিয়া পিন্টু, যুবদল নেতা সুলতান আহমেদ টনি বিশ্বাস ও ভেড়ামারা উপজেলার সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান সাজাহান আলির অনুসারীরা প্রকাশ্যে স্পিডবোর্ডে করে নদীতে মহড়া দিয়ে নৌকাগুলো থামিয়ে মোটা অঙ্কের চাঁদা দাবি করছে।

 

প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্য মতে,

 

> “স্পিডবোর্ডে করে সশস্ত্র অবস্থায় আসে কয়েকজন। হাতে থাকা আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে তারা চাঁদা দাবি করে। মাঝিরা টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে হুমকি ও শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করা হয়।”

 

 

 

নৌকার এক মাঝি বলেন,

 

> “আমরা তো শুধু কাজ করি। সরকারি অনুমতি নিয়ে বালু আনি। এখন স্পিডবোর্ডে লোকজন এসে ভয় দেখায়, বলে টাকা না দিলে নৌকা যাবে না।”

 

 

 

স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে, ইতোমধ্যে বিষয়টি নজরে এসেছে এবং তদন্ত শুরু হয়েছে। পুলিশ ও অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ঘটনাস্থলে টহল জোরদার করেছে।

 

মোল্লা ট্রেডার্সের কর্ণধার শহিদুল ইসলাম মোল্লা বলেন,

 

> “আমরা সরকারকে প্রায় ১০ কোটি টাকা দিয়ে বৈধভাবে ইজারা নিয়েছি। অথচ কিছু চিহ্নিত সন্ত্রাসী প্রকাশ্যে অস্ত্র দেখিয়ে চাঁদা তুলছে। আমরা আইনের প্রতি আস্থা রাখি, তবে প্রশাসনের কাছ থেকে দ্রুত ও কার্যকর ব্যবস্থা চাই।”

 

 

 

সাড়া ঘাট এলাকায় এখন টানটান উত্তেজনা বিরাজ করছে। সাধারণ মাঝি ও ব্যবসায়ীরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।

 

স্থানীয় এক ব্যবসায়ী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন,

 

> “নিয়ম মেনে ব্যবসা করতে গিয়ে যদি অস্ত্রের মুখোমুখি হতে হয়, তাহলে দেশে ব্যবসার পরিবেশ কোথায়?”

 

 

 

এ অবস্থায় প্রশাসনের কঠোর হস্তক্ষেপ এবং চাঁদাবাজ চক্রকে আইনের আওতায় আনার জোর দাবি জানিয়েছেন ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষ।

ট্যাগঃ
জনপ্রিয় সংবাদ

জরুরি সভা: দৈনিক নেত্রপ্রকাশ-এর ভবিষ্যৎ নির্ধারণ প্রসঙ্গে

১০ কোটি টাকার বৈধ বালু মহাল ঘিরে প্রকাশ্য চাঁদাবাজি, স্পিডবোর্ডে অস্ত্রের মহড়া — সাড়া ঘাটে উত্তেজনা

আপডেট টাইমঃ ০৭:৪৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৫ জুন ২০২৫

 

নাটোর প্রতিনিধি 

 

নাটোরের লালপুরে প্রায় ৯ কোটি ৬০ লাখ টাকায় সরকারিভাবে ইজারা নেওয়া বালু মহালকে কেন্দ্র করে ঈশ্বরদীর সাড়া ঘাট এলাকায় চরম উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। একদিকে বৈধ ব্যবসায়িক কার্যক্রম, অন্যদিকে প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতাদের অনুসারীদের প্রকাশ্য চাঁদাবাজি ও সশস্ত্র মহড়ার কারণে নদীপথ এখন আতঙ্কের নাম।

 

সরেজমিনে ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মোল্লা ট্রেডার্স নামের একটি প্রতিষ্ঠান চলতি অর্থবছরে লালপুর বালু মহালের এক বছরের ইজারা নেয় নাটোর জেলা প্রশাসনের কাছ থেকে। নিয়মতান্ত্রিকভাবে কাজ শুরু করতে গিয়ে তারা বাধার মুখে পড়ে যখন তাদের বালুবাহী নৌকা নদীপথে সাড়া ঘাট অতিক্রম করতে যায়।

 

স্থানীয়রা জানায়, বিএনপি নেতা জাকারিয়া পিন্টু, যুবদল নেতা সুলতান আহমেদ টনি বিশ্বাস ও ভেড়ামারা উপজেলার সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান সাজাহান আলির অনুসারীরা প্রকাশ্যে স্পিডবোর্ডে করে নদীতে মহড়া দিয়ে নৌকাগুলো থামিয়ে মোটা অঙ্কের চাঁদা দাবি করছে।

 

প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্য মতে,

 

> “স্পিডবোর্ডে করে সশস্ত্র অবস্থায় আসে কয়েকজন। হাতে থাকা আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে তারা চাঁদা দাবি করে। মাঝিরা টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে হুমকি ও শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করা হয়।”

 

 

 

নৌকার এক মাঝি বলেন,

 

> “আমরা তো শুধু কাজ করি। সরকারি অনুমতি নিয়ে বালু আনি। এখন স্পিডবোর্ডে লোকজন এসে ভয় দেখায়, বলে টাকা না দিলে নৌকা যাবে না।”

 

 

 

স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে, ইতোমধ্যে বিষয়টি নজরে এসেছে এবং তদন্ত শুরু হয়েছে। পুলিশ ও অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ঘটনাস্থলে টহল জোরদার করেছে।

 

মোল্লা ট্রেডার্সের কর্ণধার শহিদুল ইসলাম মোল্লা বলেন,

 

> “আমরা সরকারকে প্রায় ১০ কোটি টাকা দিয়ে বৈধভাবে ইজারা নিয়েছি। অথচ কিছু চিহ্নিত সন্ত্রাসী প্রকাশ্যে অস্ত্র দেখিয়ে চাঁদা তুলছে। আমরা আইনের প্রতি আস্থা রাখি, তবে প্রশাসনের কাছ থেকে দ্রুত ও কার্যকর ব্যবস্থা চাই।”

 

 

 

সাড়া ঘাট এলাকায় এখন টানটান উত্তেজনা বিরাজ করছে। সাধারণ মাঝি ও ব্যবসায়ীরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।

 

স্থানীয় এক ব্যবসায়ী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন,

 

> “নিয়ম মেনে ব্যবসা করতে গিয়ে যদি অস্ত্রের মুখোমুখি হতে হয়, তাহলে দেশে ব্যবসার পরিবেশ কোথায়?”

 

 

 

এ অবস্থায় প্রশাসনের কঠোর হস্তক্ষেপ এবং চাঁদাবাজ চক্রকে আইনের আওতায় আনার জোর দাবি জানিয়েছেন ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষ।