ঢাকা , সোমবার, ০৭ জুলাই ২০২৫, ২৩ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনামঃ
ভোলাহাট উপজেলার জামবাড়িয়া কৃষ্ণপুর বিলগুলদাহ রাস্তার বেহাল অবস্থা সৌদি আরব এক সপ্তাহে ৮,০৫১ জন অবৈধ অভিবাসীকে বহিষ্কার করেছে। বাগাতিপাড়ায় গাঁজাসহ মাদক ব্যবসায়ী আটক করেছে সেনাবাহিনী **সেনাবাহিনীর অভিযানে অনলাইন জুয়ার এজেন্ট গ্রেফতার নাচোলে কথা দিয়ে কেউ কথা রাখেনি রাস্তা মেরামতে নেমেছে এলাকাবাসী বাগেরহাট জেলার চিতলমারী উপজেলার রাজনীতিতে এক সুপরিচিত ও নির্ভরযোগ্য নাম আহসান হাবীব (ঠান্ডু)। পানছড়িতে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের শ্রী শ্রী জগন্নাথদেবের ৯ দিনব্যাপী উল্টো রথযাত্রা উৎসব শেষ হলো সোহম দাস হাওর পাড়ের শিশুদের অনুপ্রের কলমাকান্দায় অবৈধভাবে বালু পরিবহনের অভিযোগে ৩ জনকে জরিমানা বাগেরহাট জেলার মোরেলগন্জ থানার এক নারীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার খুলনা নগরীর অভিজাত হোটেলে।

নাচোলে কথা দিয়ে কেউ কথা রাখেনি রাস্তা মেরামতে নেমেছে এলাকাবাসী

মোঃ রনি রজব ভোলাহাট উপজেলা (প্রতিনিধি)

 

চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল উপজেলার নেজামপুর ইউনিয়নের একটি গ্রাম পুকুরিয়াপাড়া। নাচোল-আমনুরা সড়কের বটতলা বাজার থেকে গ্রামটির দূরত্ব দুই কিলোমিটার। এই কাঁচা রাস্তার জন্য বছরের পর বছর দীর্ঘশ্বাস ফেলছেন গ্রামবাসী। বিশেষত বর্ষা মৌসুমে এটি চলাচলের জন্য সম্পূর্ণ অনুপযোগী হয়ে পড়ে।

 

গ্রামবাসী রাস্তাটি পাকাকরণের জন্য কয়েক বছর ধরে স্থানীয় সংসদ সদস্য, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও দলীয় প্রতিনিধিদের দ্বারে দ্বারে ঘুরেছেন। কিন্তু আশ্বাস পেলেও এখন পর্যন্ত এই রাস্তার দুর্ভোগ থেকে মুক্তি মেলেনি গ্রামবাসীর। তাই নিজেরাই চাঁদা তুলে নেমে পড়েছেন রাস্তা মেরামতে।

 

সরেজমিন রাস্তাটির বেহাল দশা দেখা যায়। এই রাস্তা দিয়ে কোমলমতি স্কুল শিক্ষার্থী, প্রবীণ ও অসুস্থ রোগীদের যাতায়াতেও চরম ভোগান্তি পোহাতে হয়। দুর্ভোগ লাঘবে গ্রামবাসীকে ভাঙ্গা ইট ফেলে রাস্তাটি মেরামত করতে দেখা গেছে।

 

গ্রামবাসীর সাথে কথা বলে জানা গেছে, নিজেরাই চাঁদা তুলে স্বেচ্ছাশ্রমে ভাঙ্গা ইট ফেলে রাস্তাটির মেরামত শুরু করেছেন। তারা বলেন, কয়েক বছর ধরে জনপ্রতিনিধিদের দ্বারে দ্বারে ঘুরলেও এই দুই কিলোমিটার রাস্তাটি আজ অবধি পাকাকরণ করা হয়নি।

 

গ্রামের নজরুল ইসলাম বলেন, অনেক দিন ধরেই শুনে আসছি রাস্তাটি পাকা হওয়ার কথা। কিন্তু এখন পর্যন্ত হয়নি। এলজিইডি অফিস বেশ কয়েকবার মাপযোগ করে গেছে। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি।

 

গ্রামের আরেক বাসিন্দা আব্দুস সালাম বলেন, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করেও কোনো সাড়া পাইনি। সাক্রাম আলী বলেন, রাস্তাটি পাকা না হওয়ায় জনদুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে। তাই নিজেরাই উদ্যোগ নিয়ে রাস্তা মেরামতের কাজ শুরু করেছি। ভাঙ্গা ইট ফেলা হচ্ছে। অন্তত কাদা মাড়াতে যেন দুর্ভোগ পোহাতে না হয়।

 

এ বিষয়ে সদ্য যোগদান করা এলজিইডির উপজেলা প্রকোশলী ইঞ্জিনিয়ার সাদেকুল ইসলাম জানান, এরই মধ্যে উপজেলার ১১৪টি রাস্তা নতুনভাবে আইডিভুক্ত করার জন্য উপজেলা পরিষদের ১২তম সভায় রেজুলেশন করে পরবর্তী পদক্ষেপের জন্য জেলা প্রশাসক অফিসে পাঠানো হয়েছে। তিনি বলেন, এটি একটি চলমান কার্যক্রম। এর বাইরেও আরো যেসব বাদ পড়া রাস্তা রয়েছে সেগুলোকে আইডিভুক্ত করার ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।

ট্যাগঃ
জনপ্রিয় সংবাদ

ভোলাহাট উপজেলার জামবাড়িয়া কৃষ্ণপুর বিলগুলদাহ রাস্তার বেহাল অবস্থা

নাচোলে কথা দিয়ে কেউ কথা রাখেনি রাস্তা মেরামতে নেমেছে এলাকাবাসী

আপডেট টাইমঃ ০৪:২৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ৬ জুলাই ২০২৫

মোঃ রনি রজব ভোলাহাট উপজেলা (প্রতিনিধি)

 

চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল উপজেলার নেজামপুর ইউনিয়নের একটি গ্রাম পুকুরিয়াপাড়া। নাচোল-আমনুরা সড়কের বটতলা বাজার থেকে গ্রামটির দূরত্ব দুই কিলোমিটার। এই কাঁচা রাস্তার জন্য বছরের পর বছর দীর্ঘশ্বাস ফেলছেন গ্রামবাসী। বিশেষত বর্ষা মৌসুমে এটি চলাচলের জন্য সম্পূর্ণ অনুপযোগী হয়ে পড়ে।

 

গ্রামবাসী রাস্তাটি পাকাকরণের জন্য কয়েক বছর ধরে স্থানীয় সংসদ সদস্য, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও দলীয় প্রতিনিধিদের দ্বারে দ্বারে ঘুরেছেন। কিন্তু আশ্বাস পেলেও এখন পর্যন্ত এই রাস্তার দুর্ভোগ থেকে মুক্তি মেলেনি গ্রামবাসীর। তাই নিজেরাই চাঁদা তুলে নেমে পড়েছেন রাস্তা মেরামতে।

 

সরেজমিন রাস্তাটির বেহাল দশা দেখা যায়। এই রাস্তা দিয়ে কোমলমতি স্কুল শিক্ষার্থী, প্রবীণ ও অসুস্থ রোগীদের যাতায়াতেও চরম ভোগান্তি পোহাতে হয়। দুর্ভোগ লাঘবে গ্রামবাসীকে ভাঙ্গা ইট ফেলে রাস্তাটি মেরামত করতে দেখা গেছে।

 

গ্রামবাসীর সাথে কথা বলে জানা গেছে, নিজেরাই চাঁদা তুলে স্বেচ্ছাশ্রমে ভাঙ্গা ইট ফেলে রাস্তাটির মেরামত শুরু করেছেন। তারা বলেন, কয়েক বছর ধরে জনপ্রতিনিধিদের দ্বারে দ্বারে ঘুরলেও এই দুই কিলোমিটার রাস্তাটি আজ অবধি পাকাকরণ করা হয়নি।

 

গ্রামের নজরুল ইসলাম বলেন, অনেক দিন ধরেই শুনে আসছি রাস্তাটি পাকা হওয়ার কথা। কিন্তু এখন পর্যন্ত হয়নি। এলজিইডি অফিস বেশ কয়েকবার মাপযোগ করে গেছে। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি।

 

গ্রামের আরেক বাসিন্দা আব্দুস সালাম বলেন, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করেও কোনো সাড়া পাইনি। সাক্রাম আলী বলেন, রাস্তাটি পাকা না হওয়ায় জনদুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে। তাই নিজেরাই উদ্যোগ নিয়ে রাস্তা মেরামতের কাজ শুরু করেছি। ভাঙ্গা ইট ফেলা হচ্ছে। অন্তত কাদা মাড়াতে যেন দুর্ভোগ পোহাতে না হয়।

 

এ বিষয়ে সদ্য যোগদান করা এলজিইডির উপজেলা প্রকোশলী ইঞ্জিনিয়ার সাদেকুল ইসলাম জানান, এরই মধ্যে উপজেলার ১১৪টি রাস্তা নতুনভাবে আইডিভুক্ত করার জন্য উপজেলা পরিষদের ১২তম সভায় রেজুলেশন করে পরবর্তী পদক্ষেপের জন্য জেলা প্রশাসক অফিসে পাঠানো হয়েছে। তিনি বলেন, এটি একটি চলমান কার্যক্রম। এর বাইরেও আরো যেসব বাদ পড়া রাস্তা রয়েছে সেগুলোকে আইডিভুক্ত করার ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।