
মোঃ মমিন ইসলাম বড়াইগ্রাম নাটোর প্রতিনিধি
নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার ৩ নং জোনাইল ইউনিয়নে চলছে চরম প্রশাসনিক স্থবিরতা। কারণ, ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান মোঃ কালাম আজাদ একটি হত্যা মামলার পলাতক আসামি। প্রায় এক মাস ধরে তিনি ইউনিয়নে অনুপস্থিত থাকায় পরিষদের সকল কার্যক্রম বন্ধ হয়ে পড়েছে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, মোঃ কালাম আজাদের বিরুদ্ধে অতীতেও চাঁদাবাজির মামলা ছিল এবং তিনি জেল খেটেছেন। এখন মার্ডার কেসে পলাতক থাকায় নাগরিক সনদ, জন্ম ও ওয়ারিশ সনদ, ভিজিডি কার্ড, বিধবা ভাতা সহ সকল সরকারি সেবা বন্ধ হয়ে আছে। পরিষদে স্বাক্ষরের মতো কোনো দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তি না থাকায় সাধারণ মানুষ পড়েছেন চরম বিপাকে।
এই পরিস্থিতিতে মানবাধিকার সংগঠনের পক্ষ থেকেও উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে।
আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা ‘আইন সহায়তা তথ্য রিপোর্টার মানবাধিকার ফাউন্ডেশন’-এর নাটোর জেলা সভাপতি সাংবাদিক মোঃ সাহাবুল আলম বলেন—
একজন জনপ্রতিনিধির অপরাধের দায় পুরো ইউনিয়নবাসী কেন বইবে?
চেয়ারম্যান পলাতক থাকায় শতশত পরিবার সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে—এটা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না।
আমরা চাই, প্রশাসন দ্রুত পদক্ষেপ নিক।
প্রয়োজনে অস্থায়ী বা বিকল্প কোনো প্রতিনিধি নিয়োগ করা হোক, যাতে ইউনিয়নের মানুষ স্বাভাবিক সেবা পায়।”
তিনি আরও বলেন, “মানুষের মৌলিক অধিকার যেন কোনো অপরাধীর কারণে আটকে না যায়—এটাই এখন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।”
স্থানীয় সচেতন মহল মনে করছে, বিষয়টি অবহেলা করলে এর নেতিবাচক প্রভাব পুরো ইউনিয়নজুড়ে ছড়িয়ে পড়বে। তাই তারা প্রশাসনের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।