ঢাকা , সোমবার, ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৭ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনামঃ
চিতলমারী থেকে নিখোঁজ কিশোর তালহা জুবায়ের, সর্বশেষ অবস্থান কচুয়ার গজালিয়ায় বারহাট্টায় সর্বস্তরের জনগণের উপস্থিতিতে আজ বিশিষ্ট রাজনৈতিক ও শিল্পপতি মোস্তাফিজুর রহমান রেজভীর চেহলাম অনুষ্ঠিত টেকনাফে কোস্ট গার্ড ও পুলিশের যৌথ অভিযানে বিদেশী পিস্তল, দেশীয় অস্ত্র ও প্রায় ৫ লক্ষ টাকা মূল্যের ইয়াবাসহ ১ জন কুখ্যাত সন্ত্রাসী আটক কালিয়াকৈরে রেড ক্রিসেন্ট টিমকে ইউএনও’র উপহার জমিয়তে উলামা ইসলাম বাংলাদেশ নেত্রকোনা- ৪ আসন। মদন, মোহনগঞ্জ ,ও খালিয়াজুরীর মনোনীত প্রার্থী হলেন মুফতি আনোয়ার হোসেন।  টেকনাফে নির্মিত হচ্ছে বিদ্যুতের গ্রীড উপকেন্দ্র: নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সেবার পাশাপাশি গড়ে উঠবে শিল্প কারখানা গফরগাঁও জেএম কামিল মাদ্রাসায় উপস্থিত না থেকেও বেতন ভাতা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে অধ্যক্ষ আতাউর রহমানের নামে।  কুমিল্লায় নারী সাংবাদিক আখির উপর সন্ত্রাসী হামলা : বাংলাদেশ সেন্ট্রাল প্রেস ক্লাব (B.C.P.C)–এর তীব্র নিন্দা, প্রতিবাদ ও ক্ষোভ প্রকাশ সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা/২৫ অনুষ্ঠান করেছে পানছড়ি অনির্বাণ শিল্পীগোষ্ঠী। সেন্টমাটিন দ্বীপের সীমান্ত নাইক্ষ্যংদিয়া জলসীমা থেকে ১২ জন জেলে গেপ্তার করে নিয়ে যায় মায়ানমার আরকান আর্মি

গোমস্তাপুরে ২০ হাজার ৭ একর জমিতে আমন চাষ, মাঠজুড়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা

মোঃ রনি রজব ভোলাহাট উপজেলা (প্রতিনিধি)

 

চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার গোমস্তাপুর উপজেলায় চলছে আমন মৌসুমের ধান রোপণের ব্যস্ততা। মাঠের পর মাঠ জুড়ে কৃষকেরা ব্যস্ত সময় পার করছেন চারা রোপণ, আগাছা পরিষ্কার ও জমি পরিচর্যায়। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি আমন মৌসুমে গোমস্তাপুর উপজেলায় এ পর্যন্ত প্রায় ২০ হাজার ৭ একর জমিতে আমন ধান চাষ হয়েছে যা এখনো চলমান রয়েছে ।

 

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. সাকলাইন হোসেন জানান, “আবহাওয়া এখন পর্যন্ত অনুকূলে থাকায় আমন চাষে তেমন কোনো বড় ধরনের প্রতিবন্ধকতা দেখা যায়নি। কৃষকরা নির্ধারিত সময়েই রোপণ কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন। অনেক এলাকায় ইতোমধ্যেই রোপণ শেষ হয়েছে এবং পরিচর্যার কাজ চলছে।”

 

স্থানীয় কৃষক সেন্টু আলী জানান, “এই বছর সময়মতো চারা রোপণ করতে পারছি, মাটির অবস্থাও ভালো। তবে সার আর কীটনাশকের কিছুটা সংকট থাকলেও এখনো manageable অবস্থায় আছে। যদি সরকারী সহায়তা সঠিক সময়ে মেলে, তাহলে ভালো ফলনের আশা করছি।”

 

তবে মাঠ পর্যায়ের কিছু কৃষক জানান, চলতি মৌসুমে এখনও পর্যাপ্ত সার ও শ্রমিক সংকট রয়ে গেছে। একইসঙ্গে কিছু এলাকায় সেচ ও জমিতে পানি ধরে রাখার সমস্যার কথাও শোনা গেছে।

 

এ বিষয়ে কৃষি কর্মকর্তা সাকলাইন হোসেন বলেন, “সার ও কীটনাশক সরবরাহের বিষয়টি নিয়মিত তদারকি করা হচ্ছে। কৃষকদের সার্বক্ষণিক পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে এবং মাঠ পর্যায়ে আমাদের কর্মকর্তারা কাজ করছেন।”

 

গোমস্তাপুরে আমন ধান চাষ শুধুমাত্র কৃষকদের মৌসুমি কর্মসংস্থান নয়, বরং তাদের বার্ষিক আয়ের অন্যতম প্রধান উৎস। তাই এ মৌসুম সফল হলে উপজেলার অর্থনীতিতে তা ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা

জনপ্রিয় সংবাদ

চিতলমারী থেকে নিখোঁজ কিশোর তালহা জুবায়ের, সর্বশেষ অবস্থান কচুয়ার গজালিয়ায়

গোমস্তাপুরে ২০ হাজার ৭ একর জমিতে আমন চাষ, মাঠজুড়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা

আপডেট টাইমঃ ১১:৩৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ জুলাই ২০২৫

মোঃ রনি রজব ভোলাহাট উপজেলা (প্রতিনিধি)

 

চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার গোমস্তাপুর উপজেলায় চলছে আমন মৌসুমের ধান রোপণের ব্যস্ততা। মাঠের পর মাঠ জুড়ে কৃষকেরা ব্যস্ত সময় পার করছেন চারা রোপণ, আগাছা পরিষ্কার ও জমি পরিচর্যায়। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি আমন মৌসুমে গোমস্তাপুর উপজেলায় এ পর্যন্ত প্রায় ২০ হাজার ৭ একর জমিতে আমন ধান চাষ হয়েছে যা এখনো চলমান রয়েছে ।

 

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. সাকলাইন হোসেন জানান, “আবহাওয়া এখন পর্যন্ত অনুকূলে থাকায় আমন চাষে তেমন কোনো বড় ধরনের প্রতিবন্ধকতা দেখা যায়নি। কৃষকরা নির্ধারিত সময়েই রোপণ কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন। অনেক এলাকায় ইতোমধ্যেই রোপণ শেষ হয়েছে এবং পরিচর্যার কাজ চলছে।”

 

স্থানীয় কৃষক সেন্টু আলী জানান, “এই বছর সময়মতো চারা রোপণ করতে পারছি, মাটির অবস্থাও ভালো। তবে সার আর কীটনাশকের কিছুটা সংকট থাকলেও এখনো manageable অবস্থায় আছে। যদি সরকারী সহায়তা সঠিক সময়ে মেলে, তাহলে ভালো ফলনের আশা করছি।”

 

তবে মাঠ পর্যায়ের কিছু কৃষক জানান, চলতি মৌসুমে এখনও পর্যাপ্ত সার ও শ্রমিক সংকট রয়ে গেছে। একইসঙ্গে কিছু এলাকায় সেচ ও জমিতে পানি ধরে রাখার সমস্যার কথাও শোনা গেছে।

 

এ বিষয়ে কৃষি কর্মকর্তা সাকলাইন হোসেন বলেন, “সার ও কীটনাশক সরবরাহের বিষয়টি নিয়মিত তদারকি করা হচ্ছে। কৃষকদের সার্বক্ষণিক পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে এবং মাঠ পর্যায়ে আমাদের কর্মকর্তারা কাজ করছেন।”

 

গোমস্তাপুরে আমন ধান চাষ শুধুমাত্র কৃষকদের মৌসুমি কর্মসংস্থান নয়, বরং তাদের বার্ষিক আয়ের অন্যতম প্রধান উৎস। তাই এ মৌসুম সফল হলে উপজেলার অর্থনীতিতে তা ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা