
মোঃ সাহাবুল আলম
নাটোরের সদরে ধর্ষণের দায়ে মো. ওয়াজেদ আলী (৫৬) এবং সিংড়ায় যৌতুকের জন্য স্ত্রীকে পিটিয়ে- শ্বাসরোধ করে হত্যার দায়ে স্বামী শ্রী দুলাল চন্দ্র মহন্ত (৩৯) ও শ্বাশুড়ি শ্রীমতি গীতা রানী মহন্তকে (৭২) পৃথক মামলায় যাবজ্জীবন ও ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালের বিচারক।
রোববার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালের বিচারক মুহাম্মদ আব্দুর রহিম আসামীদের উপস্থিতিতে এ রায় দেন বলে জানিয়েছেন, রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবি, মো. আনিসুর রহমান।
দন্ডপ্রাপ্ত মো. ওযাজেদ আলী নাটোর সদরের জালালাবাদ টাঙ্গাইল পাড়া এলাকার হেলাল উদ্দিনের ছেলে এবং শ্রী দুলার চন্দ্র মহন্ত সিংড়ার পাকুরিয়া কালাইকুড়ি এলাকার শ্রী সচীন চন্দ মহন্তের ছেলে ও তার স্ত্রী শ্রীমতি গীতা রানী মহন্ত।
মামলার নথির বর্ণনা দিয়ে আনিসুর রহমান বলেন, ২০১২ সালের ১৫ জুন নাটোর সদরের জালালাবাদ টাঙ্গাইলপাড়া থেকে পাশের গ্রামে অর্দপ্রতিবন্ধী নারী পাশের গ্রামে কোরআন ও হাদিস শিখতে ফাকা মাঠ দিয়ে বোরকা পরে যাওয়ার পথে মো. ওয়াজেদ আলী হঠাৎ তাকে জোরকরে ধরে পাটক্ষেতে নিয়ে গিয়ে হত্যার ভয় দেখিয়ে ধর্ষণ করে দৌড়িয়ে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী নারী বাদি হয়ে নাটোর সদর থানায় মামলা দায়ের করে।
তিনি আরও বলেন, ২০০০ সালে শ্রী দুলাল চন্দ্র মহন্তের সাথে বগুড়ার নন্দ্রীগ্রামের থালতা এলাকার শ্রীমতি রুবী রানী মহন্তের বিয়ে হলে ১০ বছরে তিন সন্তানের জন্ম হয়। এসময়ের মধ্যে দুলাল রুবীকে যৌতুকের টাকার জন্য মারপিট, অত্যাচার করতো এবং দ্বিতীয় বিয়ে করবে বলে হুমকি দিতো। ২০১১ সালের ১৫ মার্চ রুবীর বাবাকে বাড়িতে ডেকে এনে যৌতুকের টাকা দাবি করলে টাকা দিতে অস্বীকার করায় তাকে হত্যার ভয় দেখিয়ে, রুবীকে এলোপাথাড়ি পিটিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে মুখে বিষ ঢেলে দিয়ে আত্মহত্যা বলে প্রচার করে দুলাল ও তার পরিবার। এ ঘটনায় বাদি হয়ে সিংড়া থানায় বাদি হয়ে মামলা করেন রুবী রাণীর বাবা শ্রী তপন চন্দ্র মহন্ত।
পৃথক মামলায় জরিমানার টাকা ভিকটিম ও ভিটটিমের পরিবার পাবে। সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে বিজ্ঞ আদালতের এ রায়ে আমরা খুশি বলে জানান নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালে সরকারি ওই কৌঁসুলি।
তারিকুল হাসান