
নাটোর জেলা প্রতিনিধিঃ
নাটোরের বড়াইগ্রামে ওমানে মাত্র চারদিনের ব্যবধানে প্রাণ হারিয়েছে ।চাচা ও ভাতিজা।এদের মধ্যে একজন সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছে। অন্যজনকে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। শনিবার ও মঙ্গলবার চাচা-ভাতিজার এমন প্রয়ানে বড়াইগ্রামে স্বজনদের মাঝে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। নিহতরা হলেন- বড়াইগ্রামের দ্বারিকুশী গ্রামের মজিবর রহমান প্রামাণিক (৫৫) ও ভাতিজা ইসরাফিল হোসে ন (৩৮)। মজিবর রহমান দ্বারিকুশী গ্রামের মৃত নজির উদ্দি ন প্রামাণিকের ছেলে এবং ইসরাফিল ওসমান গণি প্রামাণিকের ছেলে। মঙ্গলবার সরজমিনে দ্বারিকুশী গ্রামে গিয়ে দেখাযায়, স্ত্রী-সন্তানসহ স্বজনদের বুক ফাটা কান্নায় গ্রামের পরিবেশ ভারী হয়ে উঠেছে। তাদের সান্ত্বনা দিতে আসা মানুষরাও কাঁদছেন। গত কয়েকদিন ধরেই তাদের বাড়িতে রান্না-খাওয়া বন্ধ। প্রতিবেশীসহ স্বজনরা নিজেদের বাড়ি থেকে রান্না করে এনে তাদের খাওয়ানোর চেষ্টা করছেন। ওমানে মকছেদ আলী জানান, ২০০২ সালে তার ভাই ফ্রিভসিয় প্রবাসে যান। ওমানের কাসাব পুরাতন জালালী এলাকায় তিনি একজন কোলেন। পরে খামারের কাজে সহযোগিতার জন্য দেড় বছর আগে তাকে ও ভাতিজা ইসরাফিলকে নিয়ে যান। গত ২৬ ডিসেম্বর মজিবর রহমান মোটরসাইকেল চালিয়ে খামার থেকে শহরের দিকে যাওয়ার সময় দুর্ঘটনায় আহত হন। আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার সকালে তিনি মারা যান। এর আগে ৩০ ডিসেম্বর ওমানের ভাতিজা ইসরাফিল হোসে নকে খামারে কাজের সময় মাথায় আঘাতে হত্যা করাযা । মাত্র চারদিনের ব্যবধানে পরিবারের দুজন সদস্যকহে হারিয়েছে আমরা কর্মরত মজিবর রহমানের ছোট ভাই মজিবর রহমান ইসরা ফিল হোসেন
পাগলপ্রায় হয়ে পড়েছি। আমার ভাইয়ের স্ত্রীসহ ৩ ছেলে-মেয়ে এবং ভাতিজা র স্ত্রীসহ দুই ছেলে রয়েছে। তাদের সংসার কিভাবে চলবে এনিয়ে হতাশায় রয়েছে পরিবার।