
আশরাফ ইলিয়াস, (স্টাফ রিপোর্টার)
নেত্রকোনা জেলার কেন্দুয়া ও মদন থানার মধ্যবর্তী সড়কের গোগবাজার কান্জাখাল হাওরের মাঝরাস্তায় ১ মার্চ (রবিবার) গভীর রাতে ডাকাতের আক্রমণের শিকার হয়েছে একটি যাত্রীবাহী বাস৷ এইসময় ডাকাতরা হাওরে পানি সেচতে আসা পাছহার গ্রামের দুই কৃষককে ধরে এনে মারধর করে। এতে করে একজনের ডানহাত ভেঙে যায় এবং পা,শরীরের বিভিন্ন অংশে গভীর আঘাত পায়। ঘটনায় ওনার ছেলেকেও হাতেপায়ে ও শরীরে রামদার বাট দিয়ে পিটিয়ে আহত করে।
এরমধ্যে ঢাকা থেকে খালিয়াজুড়ি থানার উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসা ঐশি পরিবহন নামে একটি নাইট কোর্স বাসকে রাস্তায় গাছ কেটে ফেলে আটকায়। বাসের দরজা জানালা বন্ধ থাকায় বাইরে থেকে দরজা জানালার গ্লাস ভাঙচুর করতে থাকে। বিপরীত দিক থেকে আসা একটি মাইক্রোবাস দূর থেকে দেখে কাছে থাকা ইটভাটার লোকজনকে ডেকে তুলে। এরইমধ্যে কেন্দুয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মিজানুর রহমান ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলের কাছাকাছি পৌঁছে যায়। আশেপাশের লোকজনের হৈ হুল্লোড় এবং পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ডাকাতদল পালিয়ে যায়। প্রশাসনের অতিদ্রুত পদক্ষেপ বাস ও যাত্রীদের বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি থেকে রক্ষা করে।
এই এলাকাটিতে অতীতে বহু ডাকাতির ঘটনা ঘটেতো নিয়মিতই এবং কিছুদিন পরপর জানা অজানা লাশ পাওয়া যেত। গোগবাজার থেকে বারুই বাজার পর্যন্ত চার কিলোমিটারের উপরে সড়ক হাওরের মাঝখানে পড়েছে। আশেপাশের কয়েক কিলোমিটারের মধ্যে কোন জনবসতি না থাকায় এখানে ডাকাতের উৎপাত স্বাধীনতার পূর্বসময় থেকেই। সাম্প্রতিক সময়ে এখানে একটি পুলিশ টুল বক্স স্হাপন করায় পরিস্থিতি ভালো হয়ে আসে।
পুলিশ টুল বক্সের একশত গজের মধ্যে ডাকাতির ঘটনায় এলাকার লোকজন ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, এখানে কোন পুলিশ ডিউটিতে থাকেনা। আমাদের কোন নিরাপত্তা নেই।
এবিষয়ে এএসপি গোলাম মোস্তফার সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আজ থেকে সেখানে নিয়মিত পুলিশ প্রহরায় থাকবে। ঘটনার তদন্ত করে ডাকাতদের আইনের আওতায় আনার কাজ শুরু হয়েছে