ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৯ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনামঃ
ভোলাহাটে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির ৪৭তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে বর্ণাঢ্য রেলি, আলোচনা ও পথসভা অনুষ্ঠিত!  বিএনপির ৪৭ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে পানছড়িতে মিছিল ও সমাবেশ টেকনাফে প্লাস্টিকের প্যাকেটের ভেতর থেকে ৩০ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার, গ্রেপ্তার- ৩ জন পলাতক-১ জন পানছড়িতে জামায়াতে ইসলামীর মোহাম্মদ পুর ইউনিটের আয়োজনে  সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত বিজিবির বিশেষ অভিযানে ২০ হাজার ইয়াবাসহ মোটরসাইকেল আরোহী আটক ভিপি নুরকে দেখতে ঢামেকে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর নেত্রকোনা বিএনপির ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত খাগড়াছড়িতে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী তৃনমুল দল বিএনপির আয়োজনে প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন। ‘ঐক্যবদ্ধ বিএনপি গড়তে হবে’—খাগড়াছড়িতে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর সমাবেশে নেতাদের আহ্বান জাতীয় পার্টিকে নিষিদ্ধের দাবি সমর্থন করি: নাহিদ ইসলাম

কাহারোল অসহায় কৃষকের বোরো ধানের ফসলি জমিতে রাতের আঁধারে কীটনাশক দিয়ে নষ্ট করেছে দুর্বোত্তরা

মোজাম্মেল হক: উপজেলা প্রতিনিধি:

 

দিনাজপুরের কাহারোল উপজেলায় ১ নং ডাবোর ইউনিয়ন উত্তর নওগাঁ গ্রামে এক অসহায় গরীব কৃষক এর বোরো ধানের ফসলি জমিতে রাতের আঁধারে কীটনাশক প্রয়োগ করে নষ্ট করেছে দুর্বৃত্তরা।

 

তবে কৃষক আব্দুল সাত্তার এর দাবি জমিটি নিয়ে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে এই জঘন্যতম কাজ করেছেন, পার্শ্ববর্তী গ্রামের তৈয়ব রহমান,পারভেজ ও মোকসেদ আলী। এই বিষয়ে একটি অভিযোগও দায়ের করেছেন কাহারোল থানায় তিনি।

 

কৃষক আরো জানান অনেক কষ্টে অল্প অল্প করে কিছু টাকা জমিয়ে ২০২১ সালে ৬০%শতাংশ জমিন ক্রয় করেন তিনি। আর তা দিয়েই চলতো তার পরিবার,দীর্ঘ শ্রম ও সেচ দিয়ে রোপন করেছিলেন বোরো ধান কয়েকদিন পরেই ঘরে তুলতেন ফসল।

সেই ফসলেই ছিল তার পরিবারের একমাত্র ভরসা—সন্তানদের মুখে খাবার তুলে দেওয়া ও তাদের শিক্ষাজীবন চালিয়ে নেওয়ার একমাত্র আশার প্রতীক। কিন্তু সেই স্বপ্নের ফসল এক রাতেই ধ্বংস করে দেয় অভিযুক্ত ব্যক্তিরা।

 

তিনি আরো জানান গভীর রাতে পরিকল্পিতভাবে বোরো ধানক্ষেতে কীটনাশক ছিটিয়ে দেন অভিযুক্ত এই সব সন্ত্রাসী। যার ফলে সম্পূর্ণ ফসল নষ্ট হয়ে যায়। পরদিন সকালে জমিতে গিয়ে যা দেখতে পাই তা যেন এক দুঃস্বপ্ন।

 

ধানগাছগুলো হলুদ হয়ে গেছে, পাতাগুলো শুকিয়ে গেছে, শীষে আর কোনো প্রাণ নেই। এই নির্মম ঘটনার পর পরিবারজুড়ে নেমে এসেছে শোক, দুঃখ ও অনিশ্চয়তা। কৃষক আব্দুল সাত্তার বলেন, “এই ধান বিক্রির টাকাই ছিল আমার একমাত্র সম্বল। শুধু তাই না পাশাপাশি একটি ভুট্টা ক্ষেত ও মরিচ ক্ষেতেও শুরু হয়েছে এই কীটনাশকের প্রক্রিয়া।

 

খবর পেয়ে উপজেলা সহকারি কৃষি অফিসার বুলবুল আহমেদ ও নাজমুল নাহার বি এস, নষ্ট হয়ে যাওয়া ফসলি জমিটি পরিদর্শন করেন এবং ফসলি জমিতে আগাছা দমনের কীটনাশক প্রয়োগ করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন।

 

এলাকাবাসী এই জঘন্য ঘটনায় গভীর উদ্বেগ ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন,স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরাও অভিযুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।

 

এটি শুধু একজন কৃষকের ক্ষতি নয়, বরং সমাজের মানবিকতার ওপর একটি চরম আঘাত। প্রশাসনের প্রতি জোর দাবি—এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে দোষীদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে শাস্তি ও অসহায় কৃষক আব্দুল সাত্তার কে ক্ষতিপূরণ দেয়া হোক, যাতে ভবিষ্যতে আর কোন কৃষক এমন নির্মমতার শিকার না হয়।

ট্যাগঃ
জনপ্রিয় সংবাদ

ভোলাহাটে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির ৪৭তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে বর্ণাঢ্য রেলি, আলোচনা ও পথসভা অনুষ্ঠিত! 

কাহারোল অসহায় কৃষকের বোরো ধানের ফসলি জমিতে রাতের আঁধারে কীটনাশক দিয়ে নষ্ট করেছে দুর্বোত্তরা

আপডেট টাইমঃ ১০:৪০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫

মোজাম্মেল হক: উপজেলা প্রতিনিধি:

 

দিনাজপুরের কাহারোল উপজেলায় ১ নং ডাবোর ইউনিয়ন উত্তর নওগাঁ গ্রামে এক অসহায় গরীব কৃষক এর বোরো ধানের ফসলি জমিতে রাতের আঁধারে কীটনাশক প্রয়োগ করে নষ্ট করেছে দুর্বৃত্তরা।

 

তবে কৃষক আব্দুল সাত্তার এর দাবি জমিটি নিয়ে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে এই জঘন্যতম কাজ করেছেন, পার্শ্ববর্তী গ্রামের তৈয়ব রহমান,পারভেজ ও মোকসেদ আলী। এই বিষয়ে একটি অভিযোগও দায়ের করেছেন কাহারোল থানায় তিনি।

 

কৃষক আরো জানান অনেক কষ্টে অল্প অল্প করে কিছু টাকা জমিয়ে ২০২১ সালে ৬০%শতাংশ জমিন ক্রয় করেন তিনি। আর তা দিয়েই চলতো তার পরিবার,দীর্ঘ শ্রম ও সেচ দিয়ে রোপন করেছিলেন বোরো ধান কয়েকদিন পরেই ঘরে তুলতেন ফসল।

সেই ফসলেই ছিল তার পরিবারের একমাত্র ভরসা—সন্তানদের মুখে খাবার তুলে দেওয়া ও তাদের শিক্ষাজীবন চালিয়ে নেওয়ার একমাত্র আশার প্রতীক। কিন্তু সেই স্বপ্নের ফসল এক রাতেই ধ্বংস করে দেয় অভিযুক্ত ব্যক্তিরা।

 

তিনি আরো জানান গভীর রাতে পরিকল্পিতভাবে বোরো ধানক্ষেতে কীটনাশক ছিটিয়ে দেন অভিযুক্ত এই সব সন্ত্রাসী। যার ফলে সম্পূর্ণ ফসল নষ্ট হয়ে যায়। পরদিন সকালে জমিতে গিয়ে যা দেখতে পাই তা যেন এক দুঃস্বপ্ন।

 

ধানগাছগুলো হলুদ হয়ে গেছে, পাতাগুলো শুকিয়ে গেছে, শীষে আর কোনো প্রাণ নেই। এই নির্মম ঘটনার পর পরিবারজুড়ে নেমে এসেছে শোক, দুঃখ ও অনিশ্চয়তা। কৃষক আব্দুল সাত্তার বলেন, “এই ধান বিক্রির টাকাই ছিল আমার একমাত্র সম্বল। শুধু তাই না পাশাপাশি একটি ভুট্টা ক্ষেত ও মরিচ ক্ষেতেও শুরু হয়েছে এই কীটনাশকের প্রক্রিয়া।

 

খবর পেয়ে উপজেলা সহকারি কৃষি অফিসার বুলবুল আহমেদ ও নাজমুল নাহার বি এস, নষ্ট হয়ে যাওয়া ফসলি জমিটি পরিদর্শন করেন এবং ফসলি জমিতে আগাছা দমনের কীটনাশক প্রয়োগ করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন।

 

এলাকাবাসী এই জঘন্য ঘটনায় গভীর উদ্বেগ ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন,স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরাও অভিযুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।

 

এটি শুধু একজন কৃষকের ক্ষতি নয়, বরং সমাজের মানবিকতার ওপর একটি চরম আঘাত। প্রশাসনের প্রতি জোর দাবি—এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে দোষীদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে শাস্তি ও অসহায় কৃষক আব্দুল সাত্তার কে ক্ষতিপূরণ দেয়া হোক, যাতে ভবিষ্যতে আর কোন কৃষক এমন নির্মমতার শিকার না হয়।