ঢাকা , শুক্রবার, ১৮ জুলাই ২০২৫, ২ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনামঃ
নাটোরের লালপুরে মোল্লাপাড়া চরে সেনা অভিযানে অস্ত্র ও মাদকসহ কাকনের ভায়রা গ্রেফতার বিশম্ভরপুরে মসজিদে নামাজরত অবস্থায় বড় ভাইয়ের ছোটভাই খুন নেত্রকোনা, আটপাড়ায় বিষ্ণুপুর গ্রামে দেবর ভাবিকে কুড়াল, দিয়ে মাথ্যায় আঘাত গোমস্তাপুরে জুলাই শহীদ দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল আটপাড়ায় উপর্যোপরি চুরিকাঘাতে এক বৃদ্ধ গুরুতর জখম পূর্বধলায় ‘জুলাই শহীদ দিবস’ পালিত দেশব্যাপী ষড়যন্ত্র ও প্রোপাগাণ্ডার বিরুদ্ধে গফরগাঁওয়ে বিএনপির বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ কলমাকান্দায় ২০ হাজার আকাশমণি ও ইউক্যালিপটাস চারা ধ্বংস নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে শহীদদের স্মরণে জুলাই শহীদ ও শোক দিবস পালিত শোক সংবাদ

কাহারোল অসহায় কৃষকের বোরো ধানের ফসলি জমিতে রাতের আঁধারে কীটনাশক দিয়ে নষ্ট করেছে দুর্বোত্তরা

মোজাম্মেল হক: উপজেলা প্রতিনিধি:

 

দিনাজপুরের কাহারোল উপজেলায় ১ নং ডাবোর ইউনিয়ন উত্তর নওগাঁ গ্রামে এক অসহায় গরীব কৃষক এর বোরো ধানের ফসলি জমিতে রাতের আঁধারে কীটনাশক প্রয়োগ করে নষ্ট করেছে দুর্বৃত্তরা।

 

তবে কৃষক আব্দুল সাত্তার এর দাবি জমিটি নিয়ে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে এই জঘন্যতম কাজ করেছেন, পার্শ্ববর্তী গ্রামের তৈয়ব রহমান,পারভেজ ও মোকসেদ আলী। এই বিষয়ে একটি অভিযোগও দায়ের করেছেন কাহারোল থানায় তিনি।

 

কৃষক আরো জানান অনেক কষ্টে অল্প অল্প করে কিছু টাকা জমিয়ে ২০২১ সালে ৬০%শতাংশ জমিন ক্রয় করেন তিনি। আর তা দিয়েই চলতো তার পরিবার,দীর্ঘ শ্রম ও সেচ দিয়ে রোপন করেছিলেন বোরো ধান কয়েকদিন পরেই ঘরে তুলতেন ফসল।

সেই ফসলেই ছিল তার পরিবারের একমাত্র ভরসা—সন্তানদের মুখে খাবার তুলে দেওয়া ও তাদের শিক্ষাজীবন চালিয়ে নেওয়ার একমাত্র আশার প্রতীক। কিন্তু সেই স্বপ্নের ফসল এক রাতেই ধ্বংস করে দেয় অভিযুক্ত ব্যক্তিরা।

 

তিনি আরো জানান গভীর রাতে পরিকল্পিতভাবে বোরো ধানক্ষেতে কীটনাশক ছিটিয়ে দেন অভিযুক্ত এই সব সন্ত্রাসী। যার ফলে সম্পূর্ণ ফসল নষ্ট হয়ে যায়। পরদিন সকালে জমিতে গিয়ে যা দেখতে পাই তা যেন এক দুঃস্বপ্ন।

 

ধানগাছগুলো হলুদ হয়ে গেছে, পাতাগুলো শুকিয়ে গেছে, শীষে আর কোনো প্রাণ নেই। এই নির্মম ঘটনার পর পরিবারজুড়ে নেমে এসেছে শোক, দুঃখ ও অনিশ্চয়তা। কৃষক আব্দুল সাত্তার বলেন, “এই ধান বিক্রির টাকাই ছিল আমার একমাত্র সম্বল। শুধু তাই না পাশাপাশি একটি ভুট্টা ক্ষেত ও মরিচ ক্ষেতেও শুরু হয়েছে এই কীটনাশকের প্রক্রিয়া।

 

খবর পেয়ে উপজেলা সহকারি কৃষি অফিসার বুলবুল আহমেদ ও নাজমুল নাহার বি এস, নষ্ট হয়ে যাওয়া ফসলি জমিটি পরিদর্শন করেন এবং ফসলি জমিতে আগাছা দমনের কীটনাশক প্রয়োগ করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন।

 

এলাকাবাসী এই জঘন্য ঘটনায় গভীর উদ্বেগ ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন,স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরাও অভিযুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।

 

এটি শুধু একজন কৃষকের ক্ষতি নয়, বরং সমাজের মানবিকতার ওপর একটি চরম আঘাত। প্রশাসনের প্রতি জোর দাবি—এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে দোষীদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে শাস্তি ও অসহায় কৃষক আব্দুল সাত্তার কে ক্ষতিপূরণ দেয়া হোক, যাতে ভবিষ্যতে আর কোন কৃষক এমন নির্মমতার শিকার না হয়।

ট্যাগঃ
জনপ্রিয় সংবাদ

নাটোরের লালপুরে মোল্লাপাড়া চরে সেনা অভিযানে অস্ত্র ও মাদকসহ কাকনের ভায়রা গ্রেফতার

কাহারোল অসহায় কৃষকের বোরো ধানের ফসলি জমিতে রাতের আঁধারে কীটনাশক দিয়ে নষ্ট করেছে দুর্বোত্তরা

আপডেট টাইমঃ ১০:৪০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫

মোজাম্মেল হক: উপজেলা প্রতিনিধি:

 

দিনাজপুরের কাহারোল উপজেলায় ১ নং ডাবোর ইউনিয়ন উত্তর নওগাঁ গ্রামে এক অসহায় গরীব কৃষক এর বোরো ধানের ফসলি জমিতে রাতের আঁধারে কীটনাশক প্রয়োগ করে নষ্ট করেছে দুর্বৃত্তরা।

 

তবে কৃষক আব্দুল সাত্তার এর দাবি জমিটি নিয়ে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে এই জঘন্যতম কাজ করেছেন, পার্শ্ববর্তী গ্রামের তৈয়ব রহমান,পারভেজ ও মোকসেদ আলী। এই বিষয়ে একটি অভিযোগও দায়ের করেছেন কাহারোল থানায় তিনি।

 

কৃষক আরো জানান অনেক কষ্টে অল্প অল্প করে কিছু টাকা জমিয়ে ২০২১ সালে ৬০%শতাংশ জমিন ক্রয় করেন তিনি। আর তা দিয়েই চলতো তার পরিবার,দীর্ঘ শ্রম ও সেচ দিয়ে রোপন করেছিলেন বোরো ধান কয়েকদিন পরেই ঘরে তুলতেন ফসল।

সেই ফসলেই ছিল তার পরিবারের একমাত্র ভরসা—সন্তানদের মুখে খাবার তুলে দেওয়া ও তাদের শিক্ষাজীবন চালিয়ে নেওয়ার একমাত্র আশার প্রতীক। কিন্তু সেই স্বপ্নের ফসল এক রাতেই ধ্বংস করে দেয় অভিযুক্ত ব্যক্তিরা।

 

তিনি আরো জানান গভীর রাতে পরিকল্পিতভাবে বোরো ধানক্ষেতে কীটনাশক ছিটিয়ে দেন অভিযুক্ত এই সব সন্ত্রাসী। যার ফলে সম্পূর্ণ ফসল নষ্ট হয়ে যায়। পরদিন সকালে জমিতে গিয়ে যা দেখতে পাই তা যেন এক দুঃস্বপ্ন।

 

ধানগাছগুলো হলুদ হয়ে গেছে, পাতাগুলো শুকিয়ে গেছে, শীষে আর কোনো প্রাণ নেই। এই নির্মম ঘটনার পর পরিবারজুড়ে নেমে এসেছে শোক, দুঃখ ও অনিশ্চয়তা। কৃষক আব্দুল সাত্তার বলেন, “এই ধান বিক্রির টাকাই ছিল আমার একমাত্র সম্বল। শুধু তাই না পাশাপাশি একটি ভুট্টা ক্ষেত ও মরিচ ক্ষেতেও শুরু হয়েছে এই কীটনাশকের প্রক্রিয়া।

 

খবর পেয়ে উপজেলা সহকারি কৃষি অফিসার বুলবুল আহমেদ ও নাজমুল নাহার বি এস, নষ্ট হয়ে যাওয়া ফসলি জমিটি পরিদর্শন করেন এবং ফসলি জমিতে আগাছা দমনের কীটনাশক প্রয়োগ করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন।

 

এলাকাবাসী এই জঘন্য ঘটনায় গভীর উদ্বেগ ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন,স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরাও অভিযুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।

 

এটি শুধু একজন কৃষকের ক্ষতি নয়, বরং সমাজের মানবিকতার ওপর একটি চরম আঘাত। প্রশাসনের প্রতি জোর দাবি—এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে দোষীদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে শাস্তি ও অসহায় কৃষক আব্দুল সাত্তার কে ক্ষতিপূরণ দেয়া হোক, যাতে ভবিষ্যতে আর কোন কৃষক এমন নির্মমতার শিকার না হয়।