
তৌফিকুর রহমান তাহের সুনামগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি
মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয় প্রদত্ত অনুদানের চেক নিয়ে পরিকল্পিত গুজব,তথ্য সন্ত্রাস,মিথ্যা বানোয়াট ও ভিত্তিহীন সংবাদের প্রতিবাদে সুনামগঞ্জে সংবাদ সম্মেলন হয়েছে।(মঙ্গলবার)২০ মে দুপুরে সুনামগঞ্জের পুরাতন বাসস্ট্যান্ডস্থিত পানসী রেস্টুরেন্ট মিলনায়তনে জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার জেলা শাখার সভাপতি,প্রেসক্লাবের নির্বাচিত সিনিয়র সহ-সভাপতি ও রিপোটার্স ইউনিটির সহ-সভাপতি আল হেলালের আহবানে উক্ত সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
জেলা প্রশাসনের নেতৃত্বাধীন তদন্ত কমিটির তদন্ত কার্যক্রম শুরু হওয়ার আগেই তদন্ত কার্যক্রমকে প্রভাবিত ও বাধাগ্রস্থ করার লক্ষ্যে বাংলাভিশন টেলিভিশন ও বাংলাদেশ প্রতিদিন পত্রিকার জেলা প্রতিনিধি মাসুম হেলাল এবং ৭১ টেলিভিশনের জেলা প্রতিনিধি শহীদনুর আহমদসহ কতিপয় সহকর্মীগন কর্তৃক কাউন্টার একটি তদন্তটিম গঠন করত: বেআইনী প্রক্রিয়ায় স্বঘোষিত তদন্ত কর্মকর্তা সেজে চিকিৎসা সংক্রান্ত সাক্ষী প্রমাণ আলামত নষ্ট করার ঘৃন্য চক্রান্তের প্রতিবাদে এবং পরিকল্পিত গুজব তকমা দ্বারা উদ্দেশ্যমূলকভাবে মানহানী ঘটানোর পাশাপাশি সাংবাদিক শিল্পী আল হেলাল ও তার পরিবারবর্গের জানমালের মারাত্মক ক্ষতিসাধনের প্রেক্ষিতে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার কঠোর হস্তক্ষেপ কামনা করে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে আত্মপক্ষ সমর্থন করে লিখিত বক্তব্য রাখেন আল হেলাল। সাংবাদিক সম্মেলনে এ গ্রেড তালিকাভূক্ত জুলাই যোদ্ধা মোঃ জহুর আলীও আল হেলালের সমর্থনে বক্তব্য রাখেন।
সংবাদ সম্মেলনে মোহনা টেলিভিশনের জেলা প্রতিনিধি কুলেন্দু শেখর দাস,আজকালের খবর পত্রিকার জেলা প্রতিনিধি মুহাম্মদ আমিনুল হক,বাংলাদেশের আলো পত্রিকার জেলা প্রতিনিধি মোঃ রেজাউল করিম, দৈনিক সিলেটবানী প্রতিনিধি মোঃ মাসুক মিয়া,দৈনিক কালবেলা প্রতিনিধি একে কুদরুত পাশা,সাংবাদিক নেতা সিরাজুল ইসলাম শ্যামল,বাংলাদেশ টুডে পত্রিকার জেলা প্রতিনিধি আব্দুল কাইয়্যুম মিলন,দৈনিক সকালবেলা প্রতিনিধি কেএম শহীদুল ইসলাম,বাংলাদেশ সমাচার প্রতিনিধি এমআর সজিব,সাংবাদিক এডভোকেট আব্দুল কাইয়ূম,নিউজ টুয়েন্টিফৌর টেলিভিশনের চিত্রগ্রাহক কামরান আহমদ, দৈনিক শ্যামল সিলেট প্রতিনিধি মাওলানা শফিউল আলম,জেলা জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার সহ-সভাপতি একুশে টেলিভিশনের জেলা প্রতিনিধি আব্দুস সালাম,অপর সহ-সভাপতি সংবাদ সংস্থা ইউএনবি প্রতিনিধি অরুন চক্রবর্ত্তী,সাধারণ সম্পাদক দৈনিক ইনকিলাব প্রতিনিধি মোঃ হাসান চৌধুরী,যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাইটিভির জেলা প্রতিনিধি মোঃ আবু হানিফ,সাংগঠনিক সম্পাদক সংবাদ প্রতিদিন প্রতিনিধি রাজু আহমেদ রমজান,যুগ্ম সাংগঠনিক সম্পাদক গ্লোবাল টিভির জেলা প্রতিনিধি মিজানুর রহমান রুমান,কোষাধ্যক্ষ চ্যানেল এস টেলিভিশনের জেলা প্রতিনিধি ফুয়াদমনি তালুকদার,প্রচার সম্পাদক বিজয় টিভির জেলা প্রতিনিধি আলাউর রহমান,সমাজকল্যাণ সম্পাদক দৈনিক প্রভাত পত্রিকার জেলা প্রতিনিধি আনোয়ারুল হক,কার্যকরী সদস্য দৈনিক খবরপত্র প্রতিনিধি হোসাইন মাহমুদ শাহীন ও দৈনিক ঘোষণা পত্রিকার জেলা প্রতিনিধি শাওন রায়সহ ৩০ জন সাংবাদিক উপস্থিত ছিলেন।
সকল সাংবাদিককে কৃতজ্ঞতা জানিয়ে আল হেলাল বলেন, সুনামগঞ্জের এখন বড় সমস্যা হচ্ছে গুজব ও তকমা। এদুটি শব্দ যেমন এক একটি বড় মহামারী রোগ তেমনি বিকট বিস্ফোরন। সবচেয়ে দু:খজনক সত্য হচ্ছে আমার দুজন সিনিয়র সহকর্মী ও পুত্র সমতুল্য কয়েকজন জুনিয়র সাংবাদিক যখন ইচ্ছে যাকে তাকে অন্যায় তকমা দ্বারা গুজব ছড়িয়ে আহত করে যাচ্ছে। আমার দীর্ঘ ৩৫ বছরের সাংবাদিকতায় এমন আহাম্মক ও বুর্বকের কান্ড আমি কখনও দেখিনি। তিনি বলেন,আসাম থেকে পাকিস্তান ও পরবর্তীতে বাংলাদেশ আমলে সুনামগঞ্জের সাংবাদিকতার একটি ধারাবাহিক ঐতিহ্য ছিল। আমার নানা সুনামগঞ্জের সর্বজন শ্রদ্ধেয় ব্যক্তিত্ব ভাষা সৈনিক ও মহান মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক মুৃহাম্মদ আবদুল হাই এ জেলা সদরে সর্বপ্রথম প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি হিসেবে এবং তাঁর সাথে আন্তর্জাতিক কমনওয়েলথ জার্নালিজম এসোসিয়েশনের সভাপতি সাংবাদিক চৌধুরী হাসান শাহরিয়ার প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক হিসেবে সুনামগঞ্জ প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠা করেন। পরবর্তীতে সাপ্তাহিক বিন্দু বিন্দু রক্তে পত্রিকার সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম রব্বানী, সাপ্তাহিক স্বজন পত্রিকার সম্পাদক এডভোকেট শহীদুজ্জামান চৌধুরী,সাপ্তাহিক সুনামগঞ্জ বার্তা পত্রিকার সম্পাদক মোঃ কামরুজ্জামান চৌধুরী,সাপ্তাহিক গ্রাম বাংলার কথা পত্রিকার সম্পাদক এডভোকেট শামছুন নাহার বেগম শাহানা রব্বানী ও অধ্যক্ষ শেরগুল আহমদ প্রমুখ সভাপতিদের দীর্ঘ নেতৃত্বের ধারাবাহিকতায় একসময় এক প্রেসক্লাবের নেতৃত্বে সাংবাদিকরা ঐক্যবদ্ধ ছিলেন। কিন্তু পরবর্তীতে কোন্দল গ্রুপিং লবিং মাথাছাড়া দিয়ে উঠলে সাবেক জেলা প্রশাসক মোঃ জহীর উদ্দিন আহমদ ২০১০ সালে সাংবাদিকদের মধ্যে ঐক্য প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে শহরের ৩জন বিজ্ঞ আইনজীবী সর্বজন শ্রদ্ধেয় এডভোকেট আবু আলী সাজ্জাদ হোসাইন,এডভোকেট স্বপন কুমার দেব ও এডভোকেট বজলুল মজিদ চৌধুরী খসরুর নেতৃত্বে একটি সার্বজনীন গঠণতন্ত্র প্রণয়নের মাধ্যমে আবারও সকল সাংবাদিকদেরকে এক প্লাটফর্মে এনে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে বিরোধীয় সকল সাংবাদিকদের ভোটার তালিকা প্রণয়ন করেন। সভাপতি হন শাহানা রব্বানী ও দৈনিক সুনামকন্ঠ সম্পাদক বিজন সেন রায়। পরবর্তীতে আমরা দেখতে পাই রেজ্যুলেশনে ঐক্য প্রক্রিয়ার সভায় স্বাক্ষর করার পরও দুজন সিনিয়র সহকর্মী কেবলমাত্র ব্যক্তিগত স্বার্থ চরিতার্থ করার লক্ষ্যে প্রেসক্লাব ছেড়ে ঐক্যের মধ্যে ফাটল ধরিয়ে একাধিক আনরেজিষ্টার্ড সংঘটন গড়ে তোলে মহান পেশা সাংবাদিকতাকে একটি পোষ্য ও দালালী পেশায় উন্নীত করে সহকর্মীদের মাথায় কাঁঠালভেঙ্গে নিজেদের আখের গোছানোতে লিপ্ত হয়ে কোটিপতি বনে যান। বর্তমানে এসব নামধারী সাংবাদিকদের মূল কাজই হচ্ছে অপরকে তকমা দিয়ে গুজব ছড়িয়ে রীতিমত প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করা। সময় ও সুযোগ পেলে আমি এসব দুর্নীতিবাজ সাংবাদিকদের মুখোশ উন্মোচন করবো। অন্যকে তকমা দিলেও গত ১৭ বছরে এসব সাংবাদিকরা কতজন মানুষকে ধরে ধরে নির্যাতনসহ মিথ্যা মামলায় জেলহাজতে পাটিয়েছে।