
বারহাট্টা(নেত্রকোনা)প্রতিনিধি:
নেত্রকোনার বারহাট্টা উপজেলার সদর ইউনিয়নের গড়মা গ্রামের বয়োবৃদ্ধ জোবেদা খাতুন।উনার বিয়ে হয় পার্শ্ববর্তী উপজেলা মোহনগঞ্জের বিরামপুর গ্রামে।বয়োবৃদ্ধ জোবেদা খাতুন উনার ওয়ারিশ সূত্রে পাওয়া ৭ শতাংশ জমি ৫০ হাজার টাকায় বিক্রি করেন উনার সহোদর ভাই রেহান মিয়ার কাছে।কিন্তুু রেহান মিয়া কৌশলে উনার আরেক সহোদর ভাই শাস্তুু মিয়ার ২৩ শতাংশ বাড়ি সহ মোট ৩০ শতাংশ জমি দলিল করে নেন এমনটাই অভিযোগ জোবেদা খাতুন ও ভুক্তভোগী শাস্তুু মিয়ার।
বিষয়টি সম্পর্কে জানতে বয়োবৃদ্ধ জোবেদা খাতুনের গ্রামের বাড়ি মোহনগঞ্জের বিরামপুর গ্রামে গেলে তিনি জানান আমি চোখে দেখিনা।পরাশোনাও জানিনা।আমারে ২০২০ সালে হঠাৎ নিয়ে গেছে রিক্সা করে যে রেহানের কাছে যে কান্দার ৭ শতাংশ জমি বিক্রি করেছি সেটা দলিল করে দেওয়ার জন্য।কিন্তুু তখন আমার সাথে এবং আপনার আরেক সহোদর ভাইয়ের সাথে প্রতারণা করেছে আমার ভাই রেহান।সে ৩০ শতাংশ জমির দাম ৮৬ লক্ষ টাকা মূল্য লিখে দলিল করে নিয়েছে।আমি কি পাগল? আমি কেন আমার আরেক ভাইয়ের বাড়ি দলিল করে দিয়ে দিব।আমি এর বিচার চাই।
জোবেদা খাতুনের সহোদর বোন মালেকা জানান আমরা জানি আমার বোন মাত্র ৭ শতাংশ জমি করে রেহানের কাছে।কিন্তুু পরবর্তীতে জানতে পারি যে রেহান মোট ৩০ শতাংশ জমি লিখে নিয়ে গেছে।এটা শুনে হতবাক হয়ে গেছি আমরা।
ভুক্তভোগী শাস্তুু মিয়া জানান আমার সর্বনাশ করেছে আমার সহোদর ভাই।সে আমার বড় বোনকে দিয়ে আমার বাড়ি লিখে নিয়েছে।আমরা বিষয়টি নিয়ে আদালতে গিয়েছি।কিন্তুু আমার সহোদর ভাই আমাকে অনবরত হুমকি দিচ্ছে। আমি এটার সঠিক বিচার চাই।
বিষয়টি সম্পর্কে জানতে রেহান মিয়ার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান আমাকে আমার বোন সব জেনে শুনেই দলিল করে দিয়েছে।দলিল কি কেউ না জেনে করে দেয়।এরা লোভে পরে আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে।

অনলাইন ডেস্কঃ 



















