ঢাকা , সোমবার, ২৫ আগস্ট ২০২৫, ১০ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনামঃ
জমিয়তে উলামা ইসলাম বাংলাদেশ নেত্রকোনা- ৪ আসন। মদন, মোহনগঞ্জ ,ও খালিয়াজুরীর মনোনীত প্রার্থী হলেন মুফতি আনোয়ার হোসেন।  টেকনাফে নির্মিত হচ্ছে বিদ্যুতের গ্রীড উপকেন্দ্র: নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সেবার পাশাপাশি গড়ে উঠবে শিল্প কারখানা গফরগাঁও জেএম কামিল মাদ্রাসায় উপস্থিত না থেকেও বেতন ভাতা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে অধ্যক্ষ আতাউর রহমানের নামে।  কুমিল্লায় নারী সাংবাদিক আখির উপর সন্ত্রাসী হামলা : বাংলাদেশ সেন্ট্রাল প্রেস ক্লাব (B.C.P.C)–এর তীব্র নিন্দা, প্রতিবাদ ও ক্ষোভ প্রকাশ সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা/২৫ অনুষ্ঠান করেছে পানছড়ি অনির্বাণ শিল্পীগোষ্ঠী। সেন্টমাটিন দ্বীপের সীমান্ত নাইক্ষ্যংদিয়া জলসীমা থেকে ১২ জন জেলে গেপ্তার করে নিয়ে যায় মায়ানমার আরকান আর্মি জরুরি সভা: দৈনিক নেত্রপ্রকাশ-এর ভবিষ্যৎ নির্ধারণ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস নেত্রকোনা-৩ মনোনীত প্রার্থীর কেন্দুয়া আলেম উলামাদের সাথে সৌজন্য সাক্ষাত  ——- ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার মামলায় আপিলের রায় ৪ সেপ্টেম্বর মানুষের পাশে দাঁড়ানোই মগড়া বাঁধন সংগঠনের কাজ

ব্রেইন টিউমারে আক্রান্ত কলেজ শিক্ষার্থী শরীফের বাঁচার আকুতি, অর্থের অভাবে চিকিৎসা বন্ধ”

  • আশরাফ ইলিয়াস
  • আপডেট টাইমঃ ০৮:৫৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ মার্চ ২০২৫
  • ৮২০ বার

আশরাফ ইলিয়াস (স্টাফ রিপোর্টার)

 

 

ব্রেইন টিউমারে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর প্রহর গুনছে কেন্দুয়া সরকারি কলেজের এইচএসসি ২য় বর্ষের শিক্ষার্থী শরীফ। টিউমারটি চোখের পিছন দিয়ে বড় হয়ে আসায় ইতিমধ্যে ডান চোখ বন্ধ হয়ে গেছে। বিশেষজ্ঞ ডাক্তারগণ দিল্লিতে নিয়ে উন্নত চিকিৎসা করালে রোগটি থেকে পুরোপুরি সেরে উঠা সম্ভব বলে মতামত দিয়েছেন। সেখানে চিকিৎসা বাবদ আটলাখ টাকা খরচ হবে। কিন্তু দরিদ্র চা দোকানদার এর পক্ষে এত টাকা জোগাড় করার সামর্থ্য নেই। তাই একরকম বিনা চিকিৎসায় কলেজ ছাত্র শরীফ বিছানায় শুইয়ে কাতরাচ্ছেন।

তার বাড়ি নেত্রকোনা জেলার কেন্দুয়া উপজেলার দিগদাইর গ্রামে। বাবা শহীদুল ইসলাম চা দোকানদার এবং মা রোজিনা আক্তার গৃহিনী।

 

এবিষয়ে শরীফের মা বলেন, নবম শ্রেণিতে পড়ার সময় তার ছেলের ডান চোখের পিছনে কিছু একটা হয়ে চোখ বন্ধ হয়ে আসছে দেখেন। ব্যাথায় কান্নাকাটি করত শরীফ। এমতাবস্থায় চোখের সমস্যা মনে করে কিশোরগন্জ চোখের ডাক্তার আমিনুল ইসলাম আকন্দকে দেখান। সেখানে পরীক্ষা নীরিক্ষা করে এটা চোখের সমস্যা নয় জানতে পেরে তাকে ময়মনসিংহ নিউরো সার্জন অধ্যাপক মোঃ হারুন অর রশীদের

কাছে পাঠান। তিনি কিছু চেকআপ করে শরীফকে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করাতে পরামর্শ দেন। ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে দেড়মাস ভর্তি থাকার পর ডাক্তাররা জানান এখানে অপারেশন ঝুঁকিপূর্ণ। তাই তাকে ঢাকা ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোলজি (আগারগাঁও, ঢাকা) পাঠান। সেখানকার বিশেষজ্ঞ ডাক্তারগণ এমআরই সহ আরো কিছু পরীক্ষার পর জানান শরীফের টিউমার অপারেশন এদেশে ঝুঁকিপূর্ণ। তাকে দেশের বাইরে কোথাও চিকিৎসা নেয়ার পরামর্শ দেন।

দিল্লি গিয়ে চিকিৎসা করালে শতভাগ সুস্থ হওয়া সম্ভব জানান তারই একজন প্রতিবেশী। সেখানে শরীফের এমআরই রিপোর্টসহ বিভিন্ন কাগজপত্র ওয়াটসঅ্যাপে পাঠালে সেখানকার ডাক্তারগণ তাদের হাসপাতালে চিকিৎসায় শতভাগ সুস্হ হওয়া সম্ভব বলে জানান। পুরো।চিকিৎসায় ১৭ লাখ টাকা লাগলেও শরীফকে দরিদ্র ছাত্র হিসেবে ৯ লাখ অনুদান দিয়ে ৮ লাখ টাকায় করে দিবেন সেখানকার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

 

ইতিমধ্যে হতদরিদ্র বাবার সারাদেশে ঘুরতে ঘুরতে ৩/৪ লাখ টাকা খরচ হয়ে যায়। এতটাকা জোগাড় করার মতো কোনো সামর্থ্য নেই তার বাবা মায়ের। তাই তারা দেশের সকল ধনবান,দানশীল এবং মানবিক মানুষগণের কাছে অর্থ সাহায্য চেয়েছেন। আগ্রহীরা শরীফের পিতা শহীদ ইসলামের মোবাইল নং ০১৯৩৪০৪৮১৭২ (বিকাশ পার্সোনাল ও নগদ পার্সোনাল) এ চিকিৎসার জন্য অর্থ সহায়তা পাঠাতে পারেন।

ট্যাগঃ
জনপ্রিয় সংবাদ

জমিয়তে উলামা ইসলাম বাংলাদেশ নেত্রকোনা- ৪ আসন। মদন, মোহনগঞ্জ ,ও খালিয়াজুরীর মনোনীত প্রার্থী হলেন মুফতি আনোয়ার হোসেন। 

ব্রেইন টিউমারে আক্রান্ত কলেজ শিক্ষার্থী শরীফের বাঁচার আকুতি, অর্থের অভাবে চিকিৎসা বন্ধ”

আপডেট টাইমঃ ০৮:৫৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ মার্চ ২০২৫

আশরাফ ইলিয়াস (স্টাফ রিপোর্টার)

 

 

ব্রেইন টিউমারে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর প্রহর গুনছে কেন্দুয়া সরকারি কলেজের এইচএসসি ২য় বর্ষের শিক্ষার্থী শরীফ। টিউমারটি চোখের পিছন দিয়ে বড় হয়ে আসায় ইতিমধ্যে ডান চোখ বন্ধ হয়ে গেছে। বিশেষজ্ঞ ডাক্তারগণ দিল্লিতে নিয়ে উন্নত চিকিৎসা করালে রোগটি থেকে পুরোপুরি সেরে উঠা সম্ভব বলে মতামত দিয়েছেন। সেখানে চিকিৎসা বাবদ আটলাখ টাকা খরচ হবে। কিন্তু দরিদ্র চা দোকানদার এর পক্ষে এত টাকা জোগাড় করার সামর্থ্য নেই। তাই একরকম বিনা চিকিৎসায় কলেজ ছাত্র শরীফ বিছানায় শুইয়ে কাতরাচ্ছেন।

তার বাড়ি নেত্রকোনা জেলার কেন্দুয়া উপজেলার দিগদাইর গ্রামে। বাবা শহীদুল ইসলাম চা দোকানদার এবং মা রোজিনা আক্তার গৃহিনী।

 

এবিষয়ে শরীফের মা বলেন, নবম শ্রেণিতে পড়ার সময় তার ছেলের ডান চোখের পিছনে কিছু একটা হয়ে চোখ বন্ধ হয়ে আসছে দেখেন। ব্যাথায় কান্নাকাটি করত শরীফ। এমতাবস্থায় চোখের সমস্যা মনে করে কিশোরগন্জ চোখের ডাক্তার আমিনুল ইসলাম আকন্দকে দেখান। সেখানে পরীক্ষা নীরিক্ষা করে এটা চোখের সমস্যা নয় জানতে পেরে তাকে ময়মনসিংহ নিউরো সার্জন অধ্যাপক মোঃ হারুন অর রশীদের

কাছে পাঠান। তিনি কিছু চেকআপ করে শরীফকে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করাতে পরামর্শ দেন। ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে দেড়মাস ভর্তি থাকার পর ডাক্তাররা জানান এখানে অপারেশন ঝুঁকিপূর্ণ। তাই তাকে ঢাকা ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোলজি (আগারগাঁও, ঢাকা) পাঠান। সেখানকার বিশেষজ্ঞ ডাক্তারগণ এমআরই সহ আরো কিছু পরীক্ষার পর জানান শরীফের টিউমার অপারেশন এদেশে ঝুঁকিপূর্ণ। তাকে দেশের বাইরে কোথাও চিকিৎসা নেয়ার পরামর্শ দেন।

দিল্লি গিয়ে চিকিৎসা করালে শতভাগ সুস্থ হওয়া সম্ভব জানান তারই একজন প্রতিবেশী। সেখানে শরীফের এমআরই রিপোর্টসহ বিভিন্ন কাগজপত্র ওয়াটসঅ্যাপে পাঠালে সেখানকার ডাক্তারগণ তাদের হাসপাতালে চিকিৎসায় শতভাগ সুস্হ হওয়া সম্ভব বলে জানান। পুরো।চিকিৎসায় ১৭ লাখ টাকা লাগলেও শরীফকে দরিদ্র ছাত্র হিসেবে ৯ লাখ অনুদান দিয়ে ৮ লাখ টাকায় করে দিবেন সেখানকার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

 

ইতিমধ্যে হতদরিদ্র বাবার সারাদেশে ঘুরতে ঘুরতে ৩/৪ লাখ টাকা খরচ হয়ে যায়। এতটাকা জোগাড় করার মতো কোনো সামর্থ্য নেই তার বাবা মায়ের। তাই তারা দেশের সকল ধনবান,দানশীল এবং মানবিক মানুষগণের কাছে অর্থ সাহায্য চেয়েছেন। আগ্রহীরা শরীফের পিতা শহীদ ইসলামের মোবাইল নং ০১৯৩৪০৪৮১৭২ (বিকাশ পার্সোনাল ও নগদ পার্সোনাল) এ চিকিৎসার জন্য অর্থ সহায়তা পাঠাতে পারেন।