ঢাকা , শনিবার, ২৩ আগস্ট ২০২৫, ৮ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনামঃ
জরুরি সভা: দৈনিক নেত্রপ্রকাশ-এর ভবিষ্যৎ নির্ধারণ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস নেত্রকোনা-৩ মনোনীত প্রার্থীর কেন্দুয়া আলেম উলামাদের সাথে সৌজন্য সাক্ষাত  ——- ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার মামলায় আপিলের রায় ৪ সেপ্টেম্বর মানুষের পাশে দাঁড়ানোই মগড়া বাঁধন সংগঠনের কাজ আটপাড়ায় নাজিরগঞ্জ বাজারে অবৈধ জুয়ার আসর নেত্রকোনার কলমাকান্দায় আনন্দপুরকে মডেল ইউনিয়নে উন্নীতকরণের দাবিতে মানববন্ধন দেশে যত বড় চাঁদাবাজই থাকুক, তাকে আইনের আওতায় আনা হবে। স্বারাষ্ট্র উপদেষ্টা পানছড়ি সীমান্তে ভারতীয় সালসা জব্দ নেত্রকোণা জেলায় ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল (টিআরসি) নিয়োগ জুন-২০২৫ কার্যক্রমের ১ম দিনের কার্যক্রম সম্পন্ন মাটিরাঙ্গায় সেনাবাহিনীর বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা ও সহায়তা প্রদান

সাংবাদিক দেখায়, কিন্তু কেউ দেখে নাপ্রতিবেদনের ওজন নেই, সাংবাদিকের কোনো মূল্য নেই,এ কেমন প্রশাসন?

 

নিজস্ব প্রতিবেদক

 

 

রোদে পুড়ে, বৃষ্টিতে ভিজে, জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তথ্য সংগ্রহ করেন তারা—সাংবাদিক। মাঠ পর্যায়ে কাজ করা এই মানুষগুলো সংবাদপত্র বা টেলিভিশনের জন্য দিনরাত ছুটে বেড়ান। অথচ বাস্তবতায় দেখা যায়—তাদের পরিশ্রম, প্রমাণ ও প্রতিবেদন অনেক সময় পড়ে থাকে অবহেলার স্তূপে।

 

উপজেলা প্রশাসনের কিছু কর্মকর্তা বা সংশ্লিষ্ট দপ্তরের দায়িত্বশীলরা আজকাল একটিই কথা বলেন—“দেখছি।”

 

কিন্তু দেখা আর হয় না।

অবৈধ ভেকু দিয়ে রাস্তা কেটে পুকুর হয়ে যায়, সরকারি গাছ পড়ে যায়, বা প্রকল্পের টাকা আত্মসাৎ হয়—কিন্তু তদন্ত নামে কিছুই ঘটে না। প্রতিবেদন জমা পড়ে, অন্যায় শেষ হয়ে যায়।

 

একজন মফস্বল সাংবাদিক বলেন—

 

> “আমি ভিডিও পাঠালাম, স্থানের নাম ও প্রকল্প নম্বরসহ তথ্য দিলাম। ইউএনও বললেন, ‘দেখছি’। তারপর ৫ দিন কেটে গেল, আর কাজও শেষ। এখন তদন্ত করলে কী হবে?”

 

 

 

এই ‘দেখছি’ সংস্কৃতি হয়ে দাঁড়িয়েছে সৎ সাংবাদিকদের হতাশার প্রধান উৎস। যারা প্রতিনিয়ত জনগণের স্বার্থে কাজ করছেন, তারাই বারবার প্রশাসনের নিরবতায় পেছনে পড়ে যাচ্ছেন।

 

এদিকে কিছু সুবিধাবাদী সাংবাদিক প্রশাসনের ‘ঘনিষ্ঠ’ হয়ে নিজের সুবিধা নিচ্ছেন, অথচ প্রকৃত সাংবাদিকরা হয়ে পড়ছেন মূল্যহীন। যারা সত্য তুলে ধরছেন, তারা পান না সম্মান বা প্রতিক্রিয়া।

 

এই বাস্তবতা শুধু সাংবাদিকতার জন্য নয়, সমাজের জন্যও ভয়ঙ্কর। কারণ সাংবাদিককে মূল্য না দিলে, সত্যের কণ্ঠকে মূল্য না দিলে—অন্যায় আরও বেপরোয়া হবে।

প্রশ্ন রইল প্রশাসনের প্রতি:

সাংবাদিক যখন সত্য নিয়ে আপনার দরজায় দাঁড়ায়, তখন আপনি শুধু ‘দেখছি’ বলবেন, নাকি সত্যের পাশে দাঁড়াবেন?

ট্যাগঃ
জনপ্রিয় সংবাদ

জরুরি সভা: দৈনিক নেত্রপ্রকাশ-এর ভবিষ্যৎ নির্ধারণ প্রসঙ্গে

সাংবাদিক দেখায়, কিন্তু কেউ দেখে নাপ্রতিবেদনের ওজন নেই, সাংবাদিকের কোনো মূল্য নেই,এ কেমন প্রশাসন?

আপডেট টাইমঃ ০৯:৫৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ জুন ২০২৫

 

নিজস্ব প্রতিবেদক

 

 

রোদে পুড়ে, বৃষ্টিতে ভিজে, জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তথ্য সংগ্রহ করেন তারা—সাংবাদিক। মাঠ পর্যায়ে কাজ করা এই মানুষগুলো সংবাদপত্র বা টেলিভিশনের জন্য দিনরাত ছুটে বেড়ান। অথচ বাস্তবতায় দেখা যায়—তাদের পরিশ্রম, প্রমাণ ও প্রতিবেদন অনেক সময় পড়ে থাকে অবহেলার স্তূপে।

 

উপজেলা প্রশাসনের কিছু কর্মকর্তা বা সংশ্লিষ্ট দপ্তরের দায়িত্বশীলরা আজকাল একটিই কথা বলেন—“দেখছি।”

 

কিন্তু দেখা আর হয় না।

অবৈধ ভেকু দিয়ে রাস্তা কেটে পুকুর হয়ে যায়, সরকারি গাছ পড়ে যায়, বা প্রকল্পের টাকা আত্মসাৎ হয়—কিন্তু তদন্ত নামে কিছুই ঘটে না। প্রতিবেদন জমা পড়ে, অন্যায় শেষ হয়ে যায়।

 

একজন মফস্বল সাংবাদিক বলেন—

 

> “আমি ভিডিও পাঠালাম, স্থানের নাম ও প্রকল্প নম্বরসহ তথ্য দিলাম। ইউএনও বললেন, ‘দেখছি’। তারপর ৫ দিন কেটে গেল, আর কাজও শেষ। এখন তদন্ত করলে কী হবে?”

 

 

 

এই ‘দেখছি’ সংস্কৃতি হয়ে দাঁড়িয়েছে সৎ সাংবাদিকদের হতাশার প্রধান উৎস। যারা প্রতিনিয়ত জনগণের স্বার্থে কাজ করছেন, তারাই বারবার প্রশাসনের নিরবতায় পেছনে পড়ে যাচ্ছেন।

 

এদিকে কিছু সুবিধাবাদী সাংবাদিক প্রশাসনের ‘ঘনিষ্ঠ’ হয়ে নিজের সুবিধা নিচ্ছেন, অথচ প্রকৃত সাংবাদিকরা হয়ে পড়ছেন মূল্যহীন। যারা সত্য তুলে ধরছেন, তারা পান না সম্মান বা প্রতিক্রিয়া।

 

এই বাস্তবতা শুধু সাংবাদিকতার জন্য নয়, সমাজের জন্যও ভয়ঙ্কর। কারণ সাংবাদিককে মূল্য না দিলে, সত্যের কণ্ঠকে মূল্য না দিলে—অন্যায় আরও বেপরোয়া হবে।

প্রশ্ন রইল প্রশাসনের প্রতি:

সাংবাদিক যখন সত্য নিয়ে আপনার দরজায় দাঁড়ায়, তখন আপনি শুধু ‘দেখছি’ বলবেন, নাকি সত্যের পাশে দাঁড়াবেন?