
নিজস্ব প্রতিবেদক
রোদে পুড়ে, বৃষ্টিতে ভিজে, জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তথ্য সংগ্রহ করেন তারা—সাংবাদিক। মাঠ পর্যায়ে কাজ করা এই মানুষগুলো সংবাদপত্র বা টেলিভিশনের জন্য দিনরাত ছুটে বেড়ান। অথচ বাস্তবতায় দেখা যায়—তাদের পরিশ্রম, প্রমাণ ও প্রতিবেদন অনেক সময় পড়ে থাকে অবহেলার স্তূপে।
উপজেলা প্রশাসনের কিছু কর্মকর্তা বা সংশ্লিষ্ট দপ্তরের দায়িত্বশীলরা আজকাল একটিই কথা বলেন—“দেখছি।”
কিন্তু দেখা আর হয় না।
অবৈধ ভেকু দিয়ে রাস্তা কেটে পুকুর হয়ে যায়, সরকারি গাছ পড়ে যায়, বা প্রকল্পের টাকা আত্মসাৎ হয়—কিন্তু তদন্ত নামে কিছুই ঘটে না। প্রতিবেদন জমা পড়ে, অন্যায় শেষ হয়ে যায়।
একজন মফস্বল সাংবাদিক বলেন—
> “আমি ভিডিও পাঠালাম, স্থানের নাম ও প্রকল্প নম্বরসহ তথ্য দিলাম। ইউএনও বললেন, ‘দেখছি’। তারপর ৫ দিন কেটে গেল, আর কাজও শেষ। এখন তদন্ত করলে কী হবে?”
এই ‘দেখছি’ সংস্কৃতি হয়ে দাঁড়িয়েছে সৎ সাংবাদিকদের হতাশার প্রধান উৎস। যারা প্রতিনিয়ত জনগণের স্বার্থে কাজ করছেন, তারাই বারবার প্রশাসনের নিরবতায় পেছনে পড়ে যাচ্ছেন।
এদিকে কিছু সুবিধাবাদী সাংবাদিক প্রশাসনের ‘ঘনিষ্ঠ’ হয়ে নিজের সুবিধা নিচ্ছেন, অথচ প্রকৃত সাংবাদিকরা হয়ে পড়ছেন মূল্যহীন। যারা সত্য তুলে ধরছেন, তারা পান না সম্মান বা প্রতিক্রিয়া।
এই বাস্তবতা শুধু সাংবাদিকতার জন্য নয়, সমাজের জন্যও ভয়ঙ্কর। কারণ সাংবাদিককে মূল্য না দিলে, সত্যের কণ্ঠকে মূল্য না দিলে—অন্যায় আরও বেপরোয়া হবে।
প্রশ্ন রইল প্রশাসনের প্রতি:
সাংবাদিক যখন সত্য নিয়ে আপনার দরজায় দাঁড়ায়, তখন আপনি শুধু ‘দেখছি’ বলবেন, নাকি সত্যের পাশে দাঁড়াবেন?