
আঙ্গুর হোসেন
মদন (নেএকোনা) প্রতিনিধিঃ
নেত্রকোনার মদনের ফতেপুর ইউনিয়নের দেওসহিলা পিছনের হাওর দখল করে প্রায় এক কিলোমিটার জাল দিয়ে বেড়া দিয়ে অবাধে চলছে প্রভাবশালীদের মাছ চাষ।
এতে করে সরকার হারাচ্ছে রাজস্ব আয়, ও গরিব অসহায়, এলাকার সাধারণ জেলেরা মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
ফতেপুর ইউনিয়নের দেওসহিলা গ্রামের মৃত আরশাদ উদ্দিনের ছেলে সজীব (৩৫),
জালাল উদ্দিন চৌধুরী ছেলে দিপু চৌধুরী (৪০),মৃত গাবর আলী চৌধুরীর ছেলে মঞ্জু চৌধুরী (৪৫) সরকারি জলমহল দখল করে, জাল দিয়ে বাঁধ সৃষ্টি করে মাছ চাষের করছে এ অভিযোগ।
জানা যায়, উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়নের দেওসহিলা পিছনের তলার হাওরে এলাকার সবচেয়ে বড় একটি হাওর, এটি মগরা নদী থেকে সংযোগ হয়েছে।
পিছনের হাওর দখল করে জাল দিয়ে ঘেরাও করে মাছ চাষ করায়, বিঘ্ন ঘটছে নৌপথের যাতায়াত। দেওসহিলা গ্রামের নাম বলতে অনিচ্ছুক, অনেক জেলেরাই জানায়, হাওরে মাছ ধরতে বাধা, বর্ষা মৌসুমে হাওরে পানি আসায় মাছ ধরতে সহজ হতো, প্রতিনিয়ত মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করতাম ,এখন হাওরের জলমহল নাকি তারা মাদ্রাসার কাছ থেকে ডেকে নিয়েছে।
প্রতি বছর এই জলমহল দখল করে নিয়ে প্রভাবশালী সজীব, মঞ্জ ,ও দিপু চৌধুরী, লাখ লাখ টাকার মাছ বিক্রি করে তারা, আমরা গরিব মানুষ মাছ ধরতে গেলে মারধর করে বাধা দেয়।
মৎস্যজীবীরা এ হাওর থেকে মাছ শিকার করে জীবিকা নির্বাহ করতো। কিন্ত প্রভাবশালী মহল -মাদ্রাসার নাম ভাঙ্গিয়ে পিছনের তলার হাওরে জল দিয়ে বেড়া দিয়ে দখল করে নিয়েছে।
এ বিষয়ে দখল কারীর একজন, সজীব মিয়া বলেন, গত বছর ডেকে নিয়ে লছ হয়েছে, এবছর এলাকার জনগণই আমাদেরকে দিয়েছে হাওরে জাল দিয়ে বেড়া দিয়ে মাছ চাষ করার জন্য।
এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যান, সামিউল হায়দার ( শফি) বলেন, দেওসহিলা গ্রামের কয়েকজন প্রতি বছর হাফিজি মাদ্রাসার কাছ থেকে ফর্তন নিয়ে মাছ চাষ করে আসছে শুনেছি।
উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা কামরুল হাসান তিনি বলেন, সরকারি জলমহল অবৈধভাবে দখল করেছে, এ বিষয়টা নিয়ে উপজেলা (ইউএনও ) মহোদয় স্যারের সাথে কথা হয়েছে আমার, অচিরেই এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।