
আটপাড়া প্রতিনিধিঃ
নেত্রকোনার আটপাড়া সুখারী ইউনিয়নের গোপাল আশ্রম গ্রামে (ইউপি) সদস্য লিটন (৪৫)এবং কৃষক লালচান মিয়া(৬৫) দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে, এতে দুই পক্ষের ১১ জন আহতের ঘটনাটি ঘটে।
গুরুতর আহত ইব্রাহিম(৩০) খায়রুল (৩৫) আবু বকর (৪০)লালচান(৬৫) কে স্বজনেরা উদ্ধার করে পার্শ্ববর্তি (থানা) মদন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের অবস্থা আশঙ্কার জনক হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
এবং কৃষক লালচান মিয়ার ছোট মেয়ে প্রিয়াঙ্কা আক্তার (২০) এবং পুত্রবধূ কবিতা আক্তার মদন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
প্রতিপক্ষ (ইউপি) সদস্য লিটন
পুলিশ ও স্থানীয় এলাকাবাসীর সূত্রে জানা যায়, কিছুদিন ধরে (ইউপি) সদস্য লিটন ও তার ভাই আলী রহমান মিয়ার সঙ্গে, কৃষক লালচান মিয়ার মধ্যে কাটাকাটি চলছে রাস্তা নেওয়া কে কেন্দ্র করে।
গত মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) সকালে ইউপি সদস্য লিটন মিয়া ও তার ভাই আলী রহমান, একই গ্রামের কৃষক লালচান মিয়ার জমির উপর দিয়ে (জোরপূর্বক ভাবে) (ইউপি) সদস্য ক্ষমতা খাটিয়ে লিটন মিয়া ও তার ভাই আলী রহমান ,তাদের জমিতে রাস্তা নিতে চাইলে , কৃষক লালচান মিয়া, তার জমির উপর দিয়ে, জমি নষ্ট করে, রাস্তা দিতে রাজি না হওয়ায়, তিনি বাধা দেন।
পরে (ইউপি) সদস্য লিটন ও তার ভাই আলী রহমান বাড়িতে গিয়ে,লোকজনসহ দেশীয় অস্ত্র, লাঠি সুঠা নিয়ে এসে কৃষক লালচান মিয়ার বাড়ির এসে ওতর্কিত ভাবে মারধর শুরু করলে আহতের ঘটনাটি ঘটে।
এ ঘটনা কৃষক লালচান মিয়ার( স্ত্রী) বলেন , লিটন মেম্বারের আমাদের বাড়িতে এসে কয়, আমি বর্তমান মেম্বার,আমার ক্ষমতা কতটুকু আছে তা তোদেরকে দেখিয়ে দিব তোদের জমির উপর যে রাস্তাটা নিয়েই ছাড়বো। এই বলে গিয়ে তার ভাই আলী রহমান সহ লোকজন লাঠি শুটা নিয়ে আমাদের বাড়িতে এসে মারধর শুরু করে।
ঘটনায় (ইউপি) সদস্য লিটন মিয়া বলেন, তাদের বাড়িতে গিয়ে মারামারি হয়নি, রাস্তায় মারামারি হয়েছে। তবে আমি জনগণের মেম্বার আমি মারামারি করেনি।
আমার লোকজন মোহাম্মদ আলী,(৪৫) মঞ্জুর আক্তার ( ৪০) মাজেদুল (৩০) আনজুরা (৩৫) ও সম্রাট ( ৩০)কে মারছে, তারা আটপাড়া হাসপাতালে ভর্তি আছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে আটপাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) উজ্জ্বল কান্তি সরকার বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। কৃষক লালচান মিয়ার পরিবারের পক্ষ থেকে এখনও পর্যন্ত কোন লিখিত অভিযোগ পাইনি।
অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।