
নেত্রকোণা প্রতিনিধি
নেত্রকোনার মদন উপজেলার মদন ইউনিয়নের বারবুড়ি গ্রামে গত বৃহস্পতিবার ১২ অক্টোবর তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের নারী সহ আহত হয় দুজন।
গুরুতর আহত শিল্পী আক্তার (৩৫) ও বকুল (৬০)মিয়া কে উদ্ধার করে মদন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক দুজনকে ভর্তি করেন। ঘটনা দুই পক্ষেরই মদন থানায় পাল্টাপাল্টি অভিযোগ।
অভিযোগ ও স্থানীয় এলাকাবাসীর সূত্রে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার বকুল মিয়ার (৬০) এর সাথে ছোটন মিয়া(৪০)এর কথা কাটাটি হয়, এক পর্যায়ে বকুলের হাতে থাকা লাঠি দিয়ে বারি শুরু করে ছোটন মিয়াকে, পরে এ ঘটনা কে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মারধরের ঘটনাটি ঘটে।
এ মারধরের ঘটনাকে কেন্দ্র করে ছোটন মিয়ার বাড়িতে গিয়ে,বকুল মিয়ার ছেলে জুবায়ের ( ২৫), শাহ আলম (৪৫), আসলাম ১৮, ওবায়দুল (২৬)সহ আরও অনেকেই ছোটন মিয়াকে না পেয়ে তার স্ত্রী শিল্পী আক্তার (৩৫) কে মারধর করে গুরুতর আহত করে তারা।
পরে স্বজনরা তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে আসেন। শিল্পী আক্তার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছে।
এ ঘটনায় বকুল মিয়াকে প্রধান আসামি করে ৪ জনের নাম উল্লেখ করে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন তাদের বিরুদ্ধে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বকুল মিয়ার স্ত্রী শিরিন আক্তার (৫০)জানায়, শিল্পী আক্তার কে আমার ছেলেরা মারধর করে নাই, নিজের শরীর নিজে ছিড়ে হাসপাতালে গিয়ে ভর্তি হয়েছে।
এ ঘটনা ছোটন মিয়া জানায়, আমার সাথে ঝগড়া হয়েছে বকুল মিয়ার, আমার স্ত্রী শিল্পী আক্তার কোন অপরাধ করে নাই ।
তারে বাড়িতে গিয়ে বকুলের ছেলেরা মারধর করে গুরুতর আহত করেছে এ ঘটনা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছি তাদের বিরুদ্ধে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মদন থানা ওসি মোহাম্মদ তাওহীদুর রহমান তিনি বলেন,এ ঘটনায় উভয়পক্ষের লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।