ঢাকা , বুধবার, ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৯ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনামঃ
ভোলাহাটে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির ৪৭তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে বর্ণাঢ্য রেলি, আলোচনা ও পথসভা অনুষ্ঠিত!  বিএনপির ৪৭ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে পানছড়িতে মিছিল ও সমাবেশ টেকনাফে প্লাস্টিকের প্যাকেটের ভেতর থেকে ৩০ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার, গ্রেপ্তার- ৩ জন পলাতক-১ জন পানছড়িতে জামায়াতে ইসলামীর মোহাম্মদ পুর ইউনিটের আয়োজনে  সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত বিজিবির বিশেষ অভিযানে ২০ হাজার ইয়াবাসহ মোটরসাইকেল আরোহী আটক ভিপি নুরকে দেখতে ঢামেকে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর নেত্রকোনা বিএনপির ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত খাগড়াছড়িতে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী তৃনমুল দল বিএনপির আয়োজনে প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন। ‘ঐক্যবদ্ধ বিএনপি গড়তে হবে’—খাগড়াছড়িতে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর সমাবেশে নেতাদের আহ্বান জাতীয় পার্টিকে নিষিদ্ধের দাবি সমর্থন করি: নাহিদ ইসলাম

আটপাড়ায় মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ সরবরাহের অভিযোগ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স বিরুদ্ধে

ইকবাল ভূইয়া, আটপাড়া (নেত্রকোনা) প্রতিনিধিঃ 

 

 

নেত্রকোনার আটপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে দুই মাসের এক নবজাতকের জন্য মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ সরবরাহের অভিযোগ উঠেছে। এতে শিশুটির পরিবার ও স্থানীয়দের মধ্যে চরম ক্ষোভ ও উদ্বেগের সৃষ্টি হয়েছে।

জানা যায়, ২২ মার্চ সকালে উপজেলার গোয়াতলা গ্রামের শাপলা তার দুই মাস বয়সী ভাগ্নে মুনতাহাকে সর্দি-কাশির সমস্যা নিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক শিশুটির জন্য অ্যামক্সিসিলিন পিডি ড্রপসহ আরও দুইটি ওষুধ প্রেসক্রাইব করেন। হাসপাতাল থেকে ওই ওষুধগুলোর মধ্যে দুটি অ্যামক্সিসিলিন পিডি ড্রপ সরবরাহ করা হয়।

তবে বাড়িতে ফিরে নবজাতকের ফুফু দেখতে পান, সরবরাহকৃত ওষুধের মেয়াদ এক মাস আগেই উত্তীর্ণ হয়েছে। বিষয়টি জানার পর শিশুটির পরিবার আতঙ্কিত হয়ে পড়ে এবং ২৩ মার্চ রবিবার স্থানীয় সাংবাদিকদের বিষয়টি অবহিত করেন।

এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়ে শিশুটির ফুফু  শাপলা বলেন,”একটি সরকারি হাসপাতাল কতটা দায়িত্বজ্ঞানহীন হলে মাত্র দুই মাসের একটি শিশুকে মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ দিতে পারে? এই ওষুধ যদি আমি খাওয়াতাম, আর যদি শিশুর কিছু হয়ে যেত, তবে এর দায় কে নিত?”

এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা উত্তম কুমার পাল অভিযোগটি মিথ্যা বলে দাবি করেছেন। তিনি বলেন,”আমাদের হাসপাতাল থেকে কখনো মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ সরবরাহ করা হয় না। এটি হয়তো আমাকে ফাঁসানোর জন্য সাজানো নাটক। তবে আমি ফার্মাসিস্টদের আরও সতর্ক থাকতে নির্দেশ দিয়েছি, যেন এ ধরনের অভিযোগ আর না ওঠে।”

এই ঘটনায় স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। তারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ওষুধ সরবরাহ ব্যবস্থার স্বচ্ছতা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন।

এমন অব্যবস্থাপনার বিরুদ্ধে যথাযথ পদক্ষেপ না নিলে ভবিষ্যতে আরও ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে বলে মনে করছেন এলাকাবাসী। তারা হাসপাতালের দায়িত্বশীলতা নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কঠোর হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।

ট্যাগঃ
জনপ্রিয় সংবাদ

ভোলাহাটে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির ৪৭তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে বর্ণাঢ্য রেলি, আলোচনা ও পথসভা অনুষ্ঠিত! 

আটপাড়ায় মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ সরবরাহের অভিযোগ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স বিরুদ্ধে

আপডেট টাইমঃ ১০:২৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৩ মার্চ ২০২৫

ইকবাল ভূইয়া, আটপাড়া (নেত্রকোনা) প্রতিনিধিঃ 

 

 

নেত্রকোনার আটপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে দুই মাসের এক নবজাতকের জন্য মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ সরবরাহের অভিযোগ উঠেছে। এতে শিশুটির পরিবার ও স্থানীয়দের মধ্যে চরম ক্ষোভ ও উদ্বেগের সৃষ্টি হয়েছে।

জানা যায়, ২২ মার্চ সকালে উপজেলার গোয়াতলা গ্রামের শাপলা তার দুই মাস বয়সী ভাগ্নে মুনতাহাকে সর্দি-কাশির সমস্যা নিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক শিশুটির জন্য অ্যামক্সিসিলিন পিডি ড্রপসহ আরও দুইটি ওষুধ প্রেসক্রাইব করেন। হাসপাতাল থেকে ওই ওষুধগুলোর মধ্যে দুটি অ্যামক্সিসিলিন পিডি ড্রপ সরবরাহ করা হয়।

তবে বাড়িতে ফিরে নবজাতকের ফুফু দেখতে পান, সরবরাহকৃত ওষুধের মেয়াদ এক মাস আগেই উত্তীর্ণ হয়েছে। বিষয়টি জানার পর শিশুটির পরিবার আতঙ্কিত হয়ে পড়ে এবং ২৩ মার্চ রবিবার স্থানীয় সাংবাদিকদের বিষয়টি অবহিত করেন।

এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়ে শিশুটির ফুফু  শাপলা বলেন,”একটি সরকারি হাসপাতাল কতটা দায়িত্বজ্ঞানহীন হলে মাত্র দুই মাসের একটি শিশুকে মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ দিতে পারে? এই ওষুধ যদি আমি খাওয়াতাম, আর যদি শিশুর কিছু হয়ে যেত, তবে এর দায় কে নিত?”

এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা উত্তম কুমার পাল অভিযোগটি মিথ্যা বলে দাবি করেছেন। তিনি বলেন,”আমাদের হাসপাতাল থেকে কখনো মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ সরবরাহ করা হয় না। এটি হয়তো আমাকে ফাঁসানোর জন্য সাজানো নাটক। তবে আমি ফার্মাসিস্টদের আরও সতর্ক থাকতে নির্দেশ দিয়েছি, যেন এ ধরনের অভিযোগ আর না ওঠে।”

এই ঘটনায় স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। তারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ওষুধ সরবরাহ ব্যবস্থার স্বচ্ছতা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন।

এমন অব্যবস্থাপনার বিরুদ্ধে যথাযথ পদক্ষেপ না নিলে ভবিষ্যতে আরও ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে বলে মনে করছেন এলাকাবাসী। তারা হাসপাতালের দায়িত্বশীলতা নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কঠোর হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।