
নিজস্ব প্রতিবেদক
নাটোরের বনপাড়া পৌরসভার বার্ষিক বাজেট সভা ঘিরে উঠেছে নানা প্রশ্ন ও সমালোচনা। স্থানীয়দের অভিযোগ, সভাটি জনসম্পৃক্ততা ছাড়াই একরকম গোপনে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে উপস্থিত ছিলেন না পৌর এলাকার বিশিষ্ট নাগরিক, সাংবাদিক ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা।
সভায় পৌর মেয়র বা নির্বাহী কর্মকর্তা কেউই উপস্থিত ছিলেন না। পুরো আয়োজনটি পরিচালনা করেন একমাত্র সরকারি কর্মকর্তা—উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আশরাফুল ইসলাম।
স্থানীয় একাধিক সাংবাদিক জানান, তাঁরা সভা সম্পর্কে কোনো ধরনের আমন্ত্রণ বা পূর্ব-তথ্য পাননি। তাঁদের বক্তব্য, “বাজেট সভা মানে জনগণের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা। সেখানে সাংবাদিক ও নাগরিকদের না ডাকা মানে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার অভাব।”
এ বিষয়ে সহকারী কমিশনার (ভূমি) আশরাফুল ইসলানের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন। পরবর্তীতে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি আর রিসিভ করেননি।
পৌরসভা সংশ্লিষ্ট কিছু কর্মকর্তার দাবি, সভার বিজ্ঞপ্তি যথাযথভাবে প্রচার করা হয়েছে। তবে স্থানীয় নাগরিকদের অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন—বিজ্ঞপ্তির প্রচার কাদের কাছে, কীভাবে এবং কখন করা হয়েছে?
বনপাড়া বাজারসহ আশপাশ এলাকার সাধারণ মানুষের মধ্যে বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভ দেখা গেছে। তাদের মতে, সভাটি কেবল আনুষ্ঠানিকতা রক্ষার জন্য করা হয়েছে, যাতে প্রকৃত অংশগ্রহণকারীদের কোনো সুযোগই ছিল না।
সচেতন মহলের দাবি, ভবিষ্যতে বাজেট সভাসহ যেকোনো গুরুত্বপূর্ণ সরকারি অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণমূলক, স্বচ্ছ ও জবাবদিহিমূলক প্রক্রিয়া নিশ্চিত করা হোক। জনগণের টাকায় তৈরি বাজেট জনগণের সামনেই উন্মুক্ত হওয়া উচিত—এটাই গণতন্ত্রের মূল ভিত্তি।