
মোঃ রমজান হোসেন নওগাঁ জেলা প্রতিনিধিঃ
নওগাঁ শহরের আনন্দনগর এলাকায় মাদকাসক্ত হয়ে স্ত্রীকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করেছেন এক ব্যক্তি। এতে স্ত্রীর একটি হাত বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। ঘটনার পর স্থানীয়দের পিটুনিতে আহত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান স্বামী।
বুধবার (২৮ মে) রাত সাড়ে ১০টার দিকে ঘটে এমন ঘটনা। নিহত ব্যক্তির নাম সুমন। তিনি নওগাঁ সদর উপজেলার দুবলহাটি ইউনিয়নের দুবলহাটি গ্রামের বাসিন্দা। তিনি পেশায় ছিলেন গৃহনির্মাণ শ্রমিক।
নওগাঁ সদর মডেল থানার ওসি নূরে আলম সিদ্দিকী জানান, প্রায় চার বছর আগে আনন্দনগর এলাকার আব্দুস সামাদের মেয়ে মৌয়ূরী খাতুনের সঙ্গে বিয়ে হয় সুমনের ।
বিয়ের পর থেকেই সুমন শ্বশুরবাড়িতে বসবাস করতেন। তিনি দীর্ঘদিন ধরে মাদকাসক্ত ছিলেন এবং প্রায়ই স্ত্রীর সঙ্গে পারিবারিক কলহে জড়াতেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বুধবার (২৮ মে) রাত সাড়ে ৮টার দিকে সুমন মাদক সেবন করে বাসায় ফেরেন। এরপর স্ত্রীর সঙ্গে তর্কাতর্কির একপর্যায়ে তিনি ধারালো হাসুয়া দিয়ে মৌয়ূরীর গলা ও হাতে আঘাত করেন। এতে তার বাঁ হাত বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। চিৎকার শুনে প্রতিবেশীরা ছুটে গিয়ে সুমনকে আটক করে মারধর করেন। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে গুরুতর অবস্থায় দম্পতিকে উদ্ধার করে নওগাঁ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে।
মৌয়ূরীর অবস্থা আশঙ্কাজনক মনে করে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান চিকিৎসকেরা।
অপর দিকে,পিটুনিতে আহত সুমন রাত সাড়ে ১০টার দিকে নওগাঁ জেনারেল হাসপাতালে মারা যান।
ওসি নূরে আলম সিদ্দিকী বলেন, “প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, ঘটনার পেছনে মাদকাসক্তি ও পারিবারিক কলহ দায়ী। সুমনের মাথায় গুরুতর আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।”
ওসি আরও বলেন, “এখন পর্যন্ত এ ঘটনায় কেউ লিখিত অভিযোগ করেনি। মরদেহ হাসপাতালের হিমঘরে রাখা হয়েছে। স্বজনরা যোগাযোগ করলে আইনানুগ প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ হস্তান্তর করা হবে।”