
রাজশাহী বিভাগীয় প্রধান সুমি পারভিন
নাটোরের বড়াইগ্রামের জোনাইল পশুহাটে অতিরিক্ত খাজনা আদায়ের অভিযোগে শনিবার বিকেলে অভিযান চালায় সেনাবাহিনীর একটি দল। অভিযানে প্রমাণ মেলায় ইজারাদারদের মাধ্যমে শতাধিক পশু ক্রেতা ও বিক্রেতার মাঝে ফেরত দেওয়া হয় অতিরিক্ত টাকা।
স্থানীয়দের অভিযোগ, হাটে গরু ও ছাগল বিক্রির ক্ষেত্রে সরকার নির্ধারিত খাজনার চেয়ে দ্বিগুণ পর্যন্ত টাকা আদায় করছিল এক প্রভাবশালী মহল। অভিযানে উঠে আসে, এই চক্রের নেতৃত্বে ছিলেন বিএনপি এবং জামায়াত-শিবির ঘরানার একাধিক নেতা-কর্মী।
এদের মধ্যে বিএনপির সাইদুল ইসলাম দুদু, রবিউল সরদার, মফিজ উদ্দিন মফিজ, আলতাব, রুস্তম আলী, মামুন, চান্নু, মাহবুব হাসান সনি ও সনি এবং জামায়াতের মাহাবুল ইসলাম ও শাহাদতের নাম উঠে আসে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ভুক্তভোগী বলেন,
সেনাবাহিনীর অভিযানে বুঝেছি—আইনের চোখে সবাই সমান। আজ একটা শিক্ষা নিয়ে যাচ্ছি।”
সেনাবাহিনীর সদস্যরা জানিয়ে দেন,
“অবৈধ খাজনা আদায় বন্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে।”
অভিযান শেষে হাটে স্বস্তি ফিরে আসে। সাধারণ মানুষের বিশ্বাস—সত্য ও সাহস একসঙ্গে হাঁটল বলেই ফিরেছে ন্যায়বিচার।