
রাজশাহী বিভাগীয় প্রধান সুমি পারভিন
নাটোরের বড়াইগ্রামে ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র সাম সামুয়েল হালদারকে (১৩) মিথ্যা অপবাদ দিয়ে সেন্ট লুইস উচ্চ বিদ্যালয় থেকে বহিষ্কারের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় তার দাদা লবা কার্লস রোজারিও থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
অভিযোগে বলা হয়, ৩১ মে সকাল ৯টা ৩০ মিনিটের দিকে সামুয়েল স্কুলে যাওয়ার পথে পুকুরপাড়ে স্কুল ব্যাগ রেখে কিছু সময় ঘোরাঘুরি করে। এ সুযোগে পুকুর পাহারাদার মোঃ তফের আলী ব্যাগটি উদ্ধার করে অপবাদ ছড়ায় যে, সামুয়েল এক অজ্ঞাত মেয়ের সঙ্গে অনৈতিক কাজে লিপ্ত ছিল। পুকুর মালিক সুনিল কস্তা বেরাগীও এ অভিযোগ ছড়াতে ভূমিকা রাখেন।
পরে ব্যাগটি স্কুলে জমা দিলে কর্তৃপক্ষ কোনো তদন্ত ছাড়াই সামুয়েলকে বহিষ্কার করে। সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বললে সুনিল কস্তা বেরাগী বলেন, “আমি কিছু দেখিনি, প্রহরী তফের আলীর মুখে শুনেছি।” অভিযুক্ত তফের আলী প্রথমে ফোন রিসিভ করে দেখা করার আশ্বাস দিলেও পরে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করেন।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মিন্টু রায়ের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। গোপন সূত্রে জানা গেছে, তিনি ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছেন।
এদিকে, স্থানীয় একাধিক ব্যক্তি নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, “বিবাদীরা যেভাবে সামুয়েলের নামে গুজব ছড়িয়েছে, তা অত্যন্ত দুঃখজনক। তারা শুধু আমাদের না, আরও অনেকের কাছেই এসব মিথ্যা কথা বলেছে।”
এ ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা বিরাজ করছে। সামুয়েলের দাদা লবা কার্লস রোজারিও বলেন, “মিথ্যা অপবাদের কারণে আমার নাতির ভবিষ্যৎ হুমকির মুখে।”
এ বিষয়ে বড়াইগ্রাম থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) গোলাম সারোয়ার জানান, “অভিযোগটি গ্রহণ করা হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”