
সাহাবুল আলম, বড়াইগ্রাম (নাটোর):
নাটোরের বড়াইগ্রামের বুকে দাঁড়িয়ে আছে একখণ্ড সবুজ স্বপ্ন — জিন্না পার্ক। নানা গাছগাছালির ছায়াঘেরা এই পার্ক এক সময় ছিল শিশুদের হাসি, বয়স্কদের হাঁটার আওয়াজ আর তরুণদের স্বপ্ন দেখার ঠিকানা। অথচ আজ সেই পার্ক যেন কেবল স্মৃতির পাতায় টিকে আছে।
জিন্না পার্কে এখন নেই আগের মতো জনসমাগম, নেই রঙিন ঝিলিক। ধুলোমাখা বসার বেঞ্চ, ভাঙা ফোয়ারা আর অব্যবস্থাপনার চিহ্ন যেন প্রতিদিন জানান দেয় — এখানে কেউ নেই দেখভালের।
স্থানীয় বাসিন্দা বৃদ্ধ আঃ হান্নান বলেন, “আগে বিকেল হলে এই পার্কে পা ফেলা যেত না মানুষের ভিড়ে। এখন শুধু নীরবতা…” তাঁর চোখে যেন ফিরে আসে একসময়কার সরব পার্কটির ছবি।
অথচ বড়াইগ্রামবাসীর প্রাণের দাবিই ছিল একটি মনোরম পার্ক — যেখানে শিশু-কিশোরেরা খেলবে, বৃদ্ধেরা হাঁটবেন, আর সবাই একটু স্বস্তির নিঃশ্বাস নেবেন। উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে এক সময় এ পার্ক গড়ে উঠলেও, রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে এটি এখন পরিণত হয়েছে পরিত্যক্ত এক প্রান্তরে।
তরুণ সমাজকর্মী মিলন হোসেন বলেন, “একটু ভালোভাবে যত্ন নিলেই জিন্না পার্ক বড়াইগ্রামের গর্ব হতে পারত। আমরা চাই, প্রশাসন যেন আবার প্রাণ ফেরায় এই পার্কে।”
এই পার্ক শুধু একটি বিনোদন কেন্দ্র নয়, এটি বড়াইগ্রামের সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও পরিবেশগত ভারসাম্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। নাগরিকদের দাবি—জিন্না পার্ক আবার যেন জেগে ওঠে প্রাণ নিয়ে, সবুজ নিয়ে।
পরিশেষে বলা যায়, জিন্না পার্ককে ঘিরে বড়াইগ্রামবাসীর অনেক স্বপ্ন ছিল। এখন সেই স্বপ্নগুলো যেন অপেক্ষা করছে — কারও সহানুভূতির, কারও দায়িত্ববোধের। হোক না তা স্থানীয় প্রশাসন কিংবা কোনো যুবসমাজের উদ্যোগ, অন্তত পার্কটিকে আবারও করে তুলুক সব প্রাণের মিলনমেলা।