
নিজস্ব প্রতিবেদক,
একটি মুখ, যাকে কেউ আর চিনতে আসেনি। একটি শরীর, যার পাশে ছিল না কোনো আত্মীয় কিংবা স্বজন। নাটোরের সিংড়ায় ধানক্ষেতের নরম কাদায় নিঃসাড় পড়ে ছিল এক নারীর গলাকাটা নিথর দেহ—যার পরিচয় আজও অজানা।
সোমবার (৯ জুন) বিকেলটা যখন ধীরে ধীরে সন্ধ্যার দিকে এগোচ্ছে, তখনই ফলিয়া ব্রিজের পাশ দিয়ে হাঁটতে গিয়ে স্থানীয় এক বৃদ্ধ দেখেন ধানক্ষেতের কিনারে অচেনা এক নারীর রক্তাক্ত লাশ। সঙ্গে সঙ্গে ছড়িয়ে পড়ে আতঙ্ক—খবর যায় সিংড়া থানা পুলিশে।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলাম এবং সহকারী পুলিশ সুপার সঞ্জয় কুমার সরকার। কিছুক্ষণ পরই আসে সিআইডি ও পিবিআই-এর দল, আলামত সংগ্রহে নেমে পড়ে তারা। ধানক্ষেতের বাতাসে তখন কেবল লাশের নিঃশব্দ উপস্থিতি আর তদন্ত কর্মকর্তাদের ব্যস্ত পদচারণা।
বয়স আনুমানিক ৪৫, গলায় কাটা দাগ। মুখে ছিল না কোনো চিহ্ন, যা দিয়ে বলা যায়—এই ছিলেন অমুকের মেয়ে, স্ত্রী কিংবা মা। পরিচয়হীন এই নারীকে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে নাটোর আধুনিক সদর হাসপাতালের মর্গে।
সিংড়া থানার ওসি মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, “আমরা এখনও তাঁর নাম বা পরিচয় জানতে পারিনি। তবে তদন্ত চলছে। আশা করি দ্রুতই কিছু জানতে পারব।”
শুধু প্রশ্ন থেকেই যায়—কারা ছিল এই নারীর আপনজন? কে বা কারা তাকে হত্যা করল? কেন? উত্তর মিলবে কি কখনো? নাকি আরেকটি অজানা নামহীন লাশ হিসেবেই হারিয়ে যাবে এই নারীর পরিচয়?