
তৌফিকুর রহমান তাহের সুনামগঞ্জ জেলা সংবাদদাতা::
সুনামগঞ্জের ছাতকে ১৫ বছরের এক কিশোরীকে অটোরিকশার গ্যারেজে আটকে রেখে গণধর্ষনের ঘটনা ঘটেছে। এঘটনায় রুহুল আমিন আকাশ(৩০) নামে এক ধর্ষককে আটক করেছে পুলিশ। সে উপজেলার ছৈলা আফজালাবাদ ইউনিয়নের দিগলী রামপুর গ্রামের মৃত নুর হোসেনের ছেলে।
১১/০৬/২০২৫ ইং(বুধবার) বিকেলে ধর্ষণের ঘটনায় নির্যাতিত ওই কিশোরী বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার দক্ষিণ খুরমা ইউনিয়নের ভুইগাঁও গ্রামের বাসিন্দা হত-দরিদ্র পরিবারের ওই কিশোরী সিলেট শহরের একটি বাসায় কাজ করতো। কিশোরী নিজ বাড়ি যাওয়ার জন্য সিলেট শহর থেকে বাসযোগে গত মঙ্গলবার বিকেলে গোবিন্দগঞ্জ ট্রাফিক পয়েন্ট এসে নামে। এরপর ওই কিশোরী বাড়ি যাওয়ার জন্য গোবিন্দগঞ্জ থেকে একটি অটোরিকশায় উঠে। বিকেল প্রায় ৫টার দিকে এক আটোরিকশা চালক ওই কিশোরীকে ভুইগাঁও নিয়ে যাওয়ার কথা বলে গোবিন্দগঞ্জ সাদা ব্রীজের রাস্তাকাছে একটি আটোরিকশার গ্যারেজে নিয়ে যায়।
সেখানে তাকে আটকে রেখে ৩ জন মিলে জোরপূর্বক গণধর্ষণ করে। একপর্যায়ে সন্ধ্যার পর কিশোরীকে গ্যারেজ থেকে বের করে দেওয়ার পর কিশোরী আবারও গোবিন্দগঞ্জ পয়েন্টে এসে সেখানে দাড়িয়ে থাকা ডিউটিরত পুলিশকে বিষয়টি জানানোর পর পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে গ্যারেজ মালিক রুহুল আমিন আকাশকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। গণধর্ষনের বিষয়টি ধামাচাঁপা দেওয়ার জোর চেষ্টা চালিয়ে ব্যার্থ হয়।
বুধবার বিকেলের কিশোরী থানায় উপস্থিত হয়ে তাকে গ্যারেজে ডুকিয়ে শারিরিক নির্যাতন ও গণধর্ষণের বিষয়ে বর্ণনা দেওয়ার পর থানায় মামলা রুজু করা হয়।
থানার উপ-পরিদর্শক মো.আখতারুজ্জামান বলেন, ভুক্তভোগী ভিকটিম কিশোরীকে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ মোখলেছুর রহমান আকন্দ মামলার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, এ ঘটনায় আটক গ্যারেজ মালিককে মামলার আসামী হিসেবে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। এছাড়া এ ঘটনায় জড়িত অন্যান্য আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলে জানান তিনি।