ঢাকা , বুধবার, ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৯ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনামঃ
পানছড়িতে জামায়াতে ইসলামীর মোহাম্মদ পুর ইউনিটের আয়োজনে  সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত বিজিবির বিশেষ অভিযানে ২০ হাজার ইয়াবাসহ মোটরসাইকেল আরোহী আটক ভিপি নুরকে দেখতে ঢামেকে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর নেত্রকোনা বিএনপির ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত খাগড়াছড়িতে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী তৃনমুল দল বিএনপির আয়োজনে প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন। ‘ঐক্যবদ্ধ বিএনপি গড়তে হবে’—খাগড়াছড়িতে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর সমাবেশে নেতাদের আহ্বান জাতীয় পার্টিকে নিষিদ্ধের দাবি সমর্থন করি: নাহিদ ইসলাম খাগড়াছড়িতে ৬ ঘন্টার মধ্যে অপহৃত স্কুলছাত্র উদ্ধার সেনা অভিযানে আটক ২, মূল হোতা মালেক এখনো পলাতক চিতলমারী থেকে নিখোঁজ কিশোর তালহা জুবায়ের, সর্বশেষ অবস্থান কচুয়ার গজালিয়ায় বারহাট্টায় সর্বস্তরের জনগণের উপস্থিতিতে আজ বিশিষ্ট রাজনৈতিক ও শিল্পপতি মোস্তাফিজুর রহমান রেজভীর চেহলাম অনুষ্ঠিত

নাটোরে শেখ রাসেল শিশু পার্ক নির্মাণে অনিয়ম

  • সাহাবুল আলম
  • আপডেট টাইমঃ ০১:০০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৫ মার্চ ২০২৪
  • ৭৪ বার

স্টাফ রিপোর্টারঃ

নাটোর জেলা পরিষদের তত্ত্বাবধানে ২০২২ -২০২৩ এডিপি অর্থ বছরে ৫০ লক্ষ টাকা ব্যয়ে সদর উপজেলার নাটোর বগুড়া মহাসড়কের পাশে দিঘাপতিয়া পূর্বহাগুড়িয়া নির্মাণ করা হচ্ছে শেখ রাসেল শিশু পার্ক।

পার্কটির সীমানা পাচীর নির্মাণে নানা অনিয়মের অভিযোগ তুলেছেন স্থানীয়রা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছু এলাকাবাসী অনেকেই জানান, সীমানা পাচীর নির্মাণে নিম্নমানের সামগ্রী ও সিডিউল-

 

অনুসারে গ্রেটবিমে ১৬ মিলি ও ব্যাচে ১৬মিলি রড দেওয়ার কথা থাকলেও ব্যবহার করা হয়েছে ১২ মিলি রড। কলমের রডের রিং এর দূরত্ব দেওয়া হয়েছে দেড় ফুট পর পর।

 

এছাড়া প্রাচীরের গাঁথুনির ইট ও নিম্নমানের এ বিষয়ে স্থানীয় দিঘাপতিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শরিফুল ইসলাম বিদ্যুৎ জানান, “শেখ রাসেল শিশু পার্কটির সীমানা পাচীর আমার ইউনিয়নেরই প্রায় ৯ বিঘা জমিতে নির্মাণ করা হয়েছে।

 

কাছটি দেখার আমার তেমন সুযোগ হয়নি। তবে এলাকাবাসী অনেকেই কাজের অনিয়ম নিয়ে বলছিল ঠিকাদার এটি ঠিক করেনি। ব্যাচে ও গ্রেটবিমে সিডিউল অনুসারে ১৬ মিলি রডের জায়গায় ১২ মিলি রড ব্যবহার করা হয়েছে।’’

 

এ বিষয়ে জেলা পরিষদ প্রকৌশলী রেজাউল করিম জানান, “কাজের সবই ঠিক আছে আমি নিজে দেখভাল করেছি কাজটি পুরাতন ছিল তাই ঠিকাদার কিছু অনিয়ম করেছে। তবে এখন বলে লাভ নেই। ঠিকাদার কাজের বিল তুলে নিয়েছে।’’

 

কাজের অনিয়ম বিষয়ে জেলা পরিষদ নির্বাহী প্রধান মো. মামুন ভূঁইয়া বলেন, কাজ তদারকির জন্য জেলা পরিষদ ইঞ্জিনিয়াররা দায়িত্বে ছিলেন তারা দেখভাল করেছেন ১৬ মিলি রডের জায়গায় ১২ মিলি রড-

 

দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। তবে এ বিষয়ে আরো কিছুদিন আগে জানালে ভালো হতো ঠিকাদার বিল তুলে নিয়েছে। তবে সত্যতা যাচাইয়ের জন্য প্রয়োজন হলে ব্যাচ ও গ্রেটবিমের ঢালাই ভেঙে দেখা হবে।’’

 

মেসার্স শফিকুল কনস্ট্রাকশনের স্বত্বাধিকারী, সোহেল হোসেন জানান, “কাজটির বাজেট ছিল ২০১৯-২০২০ অর্থবছরের টেন্ডার হয়েছে ২০২১-২০২২ অর্থ বছরে, কাজটি শুরু হয়েছে ২০২৩ সালে। আগে নির্মাণ সামগ্রীর মূল্য কম ছিল এখন বৃদ্ধি পেয়েছে, তাই কাজ করতে গিয়ে আমার লস হয়েছে। কাজটি ছিল ১২৩০ ফুট। করা হয়েছে ১৫৩০ ফুট।’’

 

শেখ রাসেল শিশু পার্কের সিমানা পাচীর নির্মাণের অনিয়ম বিষয়ে,জেলা প্রশাসক আবু নাসের ভুইয়া জানান, “কাজটি অনিয়ম তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’’

ট্যাগঃ
জনপ্রিয় সংবাদ

পানছড়িতে জামায়াতে ইসলামীর মোহাম্মদ পুর ইউনিটের আয়োজনে  সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত

নাটোরে শেখ রাসেল শিশু পার্ক নির্মাণে অনিয়ম

আপডেট টাইমঃ ০১:০০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৫ মার্চ ২০২৪

স্টাফ রিপোর্টারঃ

নাটোর জেলা পরিষদের তত্ত্বাবধানে ২০২২ -২০২৩ এডিপি অর্থ বছরে ৫০ লক্ষ টাকা ব্যয়ে সদর উপজেলার নাটোর বগুড়া মহাসড়কের পাশে দিঘাপতিয়া পূর্বহাগুড়িয়া নির্মাণ করা হচ্ছে শেখ রাসেল শিশু পার্ক।

পার্কটির সীমানা পাচীর নির্মাণে নানা অনিয়মের অভিযোগ তুলেছেন স্থানীয়রা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছু এলাকাবাসী অনেকেই জানান, সীমানা পাচীর নির্মাণে নিম্নমানের সামগ্রী ও সিডিউল-

 

অনুসারে গ্রেটবিমে ১৬ মিলি ও ব্যাচে ১৬মিলি রড দেওয়ার কথা থাকলেও ব্যবহার করা হয়েছে ১২ মিলি রড। কলমের রডের রিং এর দূরত্ব দেওয়া হয়েছে দেড় ফুট পর পর।

 

এছাড়া প্রাচীরের গাঁথুনির ইট ও নিম্নমানের এ বিষয়ে স্থানীয় দিঘাপতিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শরিফুল ইসলাম বিদ্যুৎ জানান, “শেখ রাসেল শিশু পার্কটির সীমানা পাচীর আমার ইউনিয়নেরই প্রায় ৯ বিঘা জমিতে নির্মাণ করা হয়েছে।

 

কাছটি দেখার আমার তেমন সুযোগ হয়নি। তবে এলাকাবাসী অনেকেই কাজের অনিয়ম নিয়ে বলছিল ঠিকাদার এটি ঠিক করেনি। ব্যাচে ও গ্রেটবিমে সিডিউল অনুসারে ১৬ মিলি রডের জায়গায় ১২ মিলি রড ব্যবহার করা হয়েছে।’’

 

এ বিষয়ে জেলা পরিষদ প্রকৌশলী রেজাউল করিম জানান, “কাজের সবই ঠিক আছে আমি নিজে দেখভাল করেছি কাজটি পুরাতন ছিল তাই ঠিকাদার কিছু অনিয়ম করেছে। তবে এখন বলে লাভ নেই। ঠিকাদার কাজের বিল তুলে নিয়েছে।’’

 

কাজের অনিয়ম বিষয়ে জেলা পরিষদ নির্বাহী প্রধান মো. মামুন ভূঁইয়া বলেন, কাজ তদারকির জন্য জেলা পরিষদ ইঞ্জিনিয়াররা দায়িত্বে ছিলেন তারা দেখভাল করেছেন ১৬ মিলি রডের জায়গায় ১২ মিলি রড-

 

দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। তবে এ বিষয়ে আরো কিছুদিন আগে জানালে ভালো হতো ঠিকাদার বিল তুলে নিয়েছে। তবে সত্যতা যাচাইয়ের জন্য প্রয়োজন হলে ব্যাচ ও গ্রেটবিমের ঢালাই ভেঙে দেখা হবে।’’

 

মেসার্স শফিকুল কনস্ট্রাকশনের স্বত্বাধিকারী, সোহেল হোসেন জানান, “কাজটির বাজেট ছিল ২০১৯-২০২০ অর্থবছরের টেন্ডার হয়েছে ২০২১-২০২২ অর্থ বছরে, কাজটি শুরু হয়েছে ২০২৩ সালে। আগে নির্মাণ সামগ্রীর মূল্য কম ছিল এখন বৃদ্ধি পেয়েছে, তাই কাজ করতে গিয়ে আমার লস হয়েছে। কাজটি ছিল ১২৩০ ফুট। করা হয়েছে ১৫৩০ ফুট।’’

 

শেখ রাসেল শিশু পার্কের সিমানা পাচীর নির্মাণের অনিয়ম বিষয়ে,জেলা প্রশাসক আবু নাসের ভুইয়া জানান, “কাজটি অনিয়ম তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’’