ঢাকা , শুক্রবার, ২৩ মে ২০২৫, ৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনামঃ
লাহিড়ী হাটে মোটরবাইক চুরির অভিযোগে ভ্রাম্যমান আদালতে চোরকে এক বছরের বিনাশ্রম কারাদন্ড  চাঁপাইনবাবগঞ্জে সড়ক মেরামত করেন স্কুল শিক্ষার্থীরা ভোলাহাট উপজেলায় কৃষকদের উন্নয়নে ‘পার্টনার কংগ্রেস’ অনুষ্ঠিত বীরগঞ্জে ভুয়া ফেসবুক আইডি থেকে মিথ্যা তথ্য ছড়ানোর প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন নাচোলে অ’জ্ঞা’ত ব্য’ক্তি’র লা’শ উ’দ্ধা’র করেছে পুলিশ মরুভূমির ফল সাম্মাম চাষে কৃষকের বাজিমাত কবিরাজহাট দারুল কুরআন হামিউসসুন্নাহ মাদরাসা অভিভাবক সমাবেশ ও মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে, ভোলাহাট উপজেলায় দুই সন্তান রেখে গৃহবধূর আত্মহত্যা  পাঁচবিবিতে আইনশৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভা অনুষ্ঠিত। সুনামগঞ্জে তারুণ্য নির্ভর বিনির্মাণ বিষয়ক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

পল বাইছ কারীদের সঙ্গে এলাকাবাসীর সংঘর্ষের ৩ দিন পর ধনু নদী থেকে নিখোঁজের ৩ জনের লাশ উদ্ধার ।

শফিউল আলম রানা, মদন উপজেলা প্রতিনিধিঃ 

 

নেত্রকোনার হাওরাঞ্চল খালিয়াজুরীতে পলবাইছ কারীদের সাথে জগন্নাথপুর ও রসুলপুর গ্রামবাসীর সংঘর্ষে নিখোঁজ হওয়া ৫ জনের মধ্যে তিন জনের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল।

 

 

আজ সোমবার (১০ মার্চ) দুপুরে জেলার খালিয়াজুরী উপজেলার ধনু নদীর পৃথক স্থান নাওটানা ও রসুলপুর ঘাট এলাকা থেকে তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এর আগে গত ৮ মার্চ হাওরের বিভিন্ন জলমহালে কয়েক হাজার পল বাইছকারীরা মাছ ধরতে গেলে ওই দুই গ্রামবাসীর সাথে তারা সংঘর্ষে জড়ায়।

 

নিহতরা হলেন- মদন উপজেলার তিয়শ্রী ইউনিয়নের বাগজান গ্রামের মৃত কুদ্দুছ মিয়ার ছেলে রোকন মিয়া (৫০), আটপাড়া উপজেলার শ্বরমুশিয়া ইউনিয়নের রূপচন্দ্রপুর গ্রামের রুস্তম আলির ছেলে শহীদ মিয়া (৫০),

কেন্দুয়া উপজেলার রোয়াইলবাড়ি ইউনিয়নের রোয়াইলবাড়ি গ্রামের ফজলু মিয়া ছেলে হৃদয় মিয়া (৩০)।

 

সংঘর্ষের সময় উভয়পক্ষের পাঁচ শতাধিক আহত হয়েছিল। আত্মরক্ষার্থে নদীতে ঝাঁপ দিয়ে পাঁচজন নিখোঁজ হয়। এদিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রেণে নিতে ৫১ জনকে খালিয়াজুরী থানার পুলিশ আটক করে। পরের দিন ৯ মার্চ আটকদের স্থানীয় নেতাকর্মীদের জিম্মায় ছেড়ে দেয়। এরপর আজ সোমবার পুনরায় মদন, কেন্দুয়া ও আটপাড়ার লোকজন থেকে সংঘর্ষে জড়াতে গেলে প্রশাসন ও যৌথবাহিনী নিয়ন্ত্রণ করে।

 

খালিয়াজুরী উপজেলার লেপসিয়া ফাঁড়ির নৌ পুলিশের আইসি জাহাঙ্গীর হোসেন খান মদন উপজেলার তিয়শী ইউনিয়নের বাগজান গ্রামের রোকনের লাশটি রসুলপুরঘাট থেকে উদ্ধার করেন। কয়জন নিখোঁজ ছিলো এখনও বলা যাচ্ছে না।

 

ময়মনসিংহ ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দলের লিডার নুরুল ইসলাম জানান, ধনু নদীর নাওটানা ঘাট থেকে দুজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আরেকজনের লাশ একই নদী রসুলপুর ঘাটের পাশ থেকে পুলিশ উদ্ধার করে।

 

খালিয়াজুরীর থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি মকবুল হোসেন জানান, পল বাইছকারী ও গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় নিখোঁজের তিন জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হবে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তে পরবর্তীতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

ট্যাগঃ
জনপ্রিয় সংবাদ

লাহিড়ী হাটে মোটরবাইক চুরির অভিযোগে ভ্রাম্যমান আদালতে চোরকে এক বছরের বিনাশ্রম কারাদন্ড 

পল বাইছ কারীদের সঙ্গে এলাকাবাসীর সংঘর্ষের ৩ দিন পর ধনু নদী থেকে নিখোঁজের ৩ জনের লাশ উদ্ধার ।

আপডেট টাইমঃ ০৭:২১ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ মার্চ ২০২৫

শফিউল আলম রানা, মদন উপজেলা প্রতিনিধিঃ 

 

নেত্রকোনার হাওরাঞ্চল খালিয়াজুরীতে পলবাইছ কারীদের সাথে জগন্নাথপুর ও রসুলপুর গ্রামবাসীর সংঘর্ষে নিখোঁজ হওয়া ৫ জনের মধ্যে তিন জনের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল।

 

 

আজ সোমবার (১০ মার্চ) দুপুরে জেলার খালিয়াজুরী উপজেলার ধনু নদীর পৃথক স্থান নাওটানা ও রসুলপুর ঘাট এলাকা থেকে তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এর আগে গত ৮ মার্চ হাওরের বিভিন্ন জলমহালে কয়েক হাজার পল বাইছকারীরা মাছ ধরতে গেলে ওই দুই গ্রামবাসীর সাথে তারা সংঘর্ষে জড়ায়।

 

নিহতরা হলেন- মদন উপজেলার তিয়শ্রী ইউনিয়নের বাগজান গ্রামের মৃত কুদ্দুছ মিয়ার ছেলে রোকন মিয়া (৫০), আটপাড়া উপজেলার শ্বরমুশিয়া ইউনিয়নের রূপচন্দ্রপুর গ্রামের রুস্তম আলির ছেলে শহীদ মিয়া (৫০),

কেন্দুয়া উপজেলার রোয়াইলবাড়ি ইউনিয়নের রোয়াইলবাড়ি গ্রামের ফজলু মিয়া ছেলে হৃদয় মিয়া (৩০)।

 

সংঘর্ষের সময় উভয়পক্ষের পাঁচ শতাধিক আহত হয়েছিল। আত্মরক্ষার্থে নদীতে ঝাঁপ দিয়ে পাঁচজন নিখোঁজ হয়। এদিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রেণে নিতে ৫১ জনকে খালিয়াজুরী থানার পুলিশ আটক করে। পরের দিন ৯ মার্চ আটকদের স্থানীয় নেতাকর্মীদের জিম্মায় ছেড়ে দেয়। এরপর আজ সোমবার পুনরায় মদন, কেন্দুয়া ও আটপাড়ার লোকজন থেকে সংঘর্ষে জড়াতে গেলে প্রশাসন ও যৌথবাহিনী নিয়ন্ত্রণ করে।

 

খালিয়াজুরী উপজেলার লেপসিয়া ফাঁড়ির নৌ পুলিশের আইসি জাহাঙ্গীর হোসেন খান মদন উপজেলার তিয়শী ইউনিয়নের বাগজান গ্রামের রোকনের লাশটি রসুলপুরঘাট থেকে উদ্ধার করেন। কয়জন নিখোঁজ ছিলো এখনও বলা যাচ্ছে না।

 

ময়মনসিংহ ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দলের লিডার নুরুল ইসলাম জানান, ধনু নদীর নাওটানা ঘাট থেকে দুজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আরেকজনের লাশ একই নদী রসুলপুর ঘাটের পাশ থেকে পুলিশ উদ্ধার করে।

 

খালিয়াজুরীর থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি মকবুল হোসেন জানান, পল বাইছকারী ও গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় নিখোঁজের তিন জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হবে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তে পরবর্তীতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।