ঢাকা , শুক্রবার, ২২ আগস্ট ২০২৫, ৬ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনামঃ
বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস নেত্রকোনা-৩ মনোনীত প্রার্থীর কেন্দুয়া আলেম উলামাদের সাথে সৌজন্য সাক্ষাত  ——- ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার মামলায় আপিলের রায় ৪ সেপ্টেম্বর মানুষের পাশে দাঁড়ানোই মগড়া বাঁধন সংগঠনের কাজ আটপাড়ায় নাজিরগঞ্জ বাজারে অবৈধ জুয়ার আসর নেত্রকোনার কলমাকান্দায় আনন্দপুরকে মডেল ইউনিয়নে উন্নীতকরণের দাবিতে মানববন্ধন দেশে যত বড় চাঁদাবাজই থাকুক, তাকে আইনের আওতায় আনা হবে। স্বারাষ্ট্র উপদেষ্টা পানছড়ি সীমান্তে ভারতীয় সালসা জব্দ নেত্রকোণা জেলায় ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল (টিআরসি) নিয়োগ জুন-২০২৫ কার্যক্রমের ১ম দিনের কার্যক্রম সম্পন্ন মাটিরাঙ্গায় সেনাবাহিনীর বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা ও সহায়তা প্রদান সিধলী বাজারে বাপ্পি কবির ও যুবদল নেতার নেতৃত্বে ২৫-২৭ জনের সশস্ত্র হামলা

বাশাটি বাজারের ব্যবসায়ী তারা মিয়ার নৃশংস হত্যাকান্ড

আশরাফ ইলিয়াস, স্টাফ রিপোর্টার :

 

নেত্রকোনা জেলার কেন্দুয়া উপজেলার গড়াডোবা ইউনিয়নের বাশাটি বাজারের ৬২ বছর বয়সী তরকারি ব্যবসায়ী তারা মিয়া গত শুক্রবার রাতে নৃশংসভাবে খুন হয়েছেন। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, তারা মিয়ার বাড়ি গড়াডোবা ইউনিয়নের ওয়াই গ্রামে। তিনি দীর্ঘদিন ধরে বাশাটি বাজারে পেয়াজ-রসুন বিক্রির ব্যবসা করতেন। প্রতিদিনের মতো বাজার শেষে তিনি সাধারণত রাত ৯টা থেকে ১০টার মধ্যে সাইকেলযোগে বাড়ি ফিরতেন। তবে ঘটনার দিন তিনি সাইকেল নিয়ে যাননি এবং ধারণা করা হচ্ছে, তিনি হেঁটেই বাড়ি ফিরছিলেন। ফেরার পথে কাটাহুসিয়া গ্রামের চৌপার পুল এলাকায় তার উপর হামলা চালানো হয় এবং তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। পরে তার ক্ষতবিক্ষত মরদেহ সাতারখালী খালের কাদায় পড়ে থাকতে দেখা যায়।

তারা মিয়ার স্ত্রী বলেন, “আমার স্বামীর সাথে কারো কোনো ঝগড়া-বিবাদ ছিল না। আমার জানামতে তার তেমন কোনো শত্রু ছিল না। প্রতিদিনের মতো সে রাত ৯টা থেকে ১০টার মধ্যে বাড়ি ফিরে আসে এবং স্থানীয় ওয়াই বাজারে বন্ধুবান্ধবের সাথে সময় কাটিয়ে রাত ১২টা থেকে ১টার মধ্যে ঘরে ফেরে। কিন্তু গতরাতে সে আর বাড়ি ফেরেনি। আমি সেহরির সময় তাকে দেখতে না পেয়ে আমার ছেলে ও দেবরকে বলি খোঁজ নিতে। পরে জানতে পারি তার লাশ সাতারখালী খালে পাওয়া গেছে।”

নিহতের ভাই সোলায়মান বলেন, “রাতের শেষে ভাবির কাছ থেকে জানতে পারি, ভাই রাতে বাড়ি ফেরেনি। অনেক খোঁজাখুঁজির পর আমরা কাটাহুসিয়া গ্রামের চৌপার পুল এলাকায় সাতারখালী খালে তার মরদেহ খুঁজে পাই। আমার ভাইয়ের সাথে কারো কোনো শত্রুতা ছিল না। তাকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে। আমি এই হত্যাকাণ্ডের সঠিক বিচার চাই।”

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কাটাহুসিয়া গ্রাম এবং তার আশেপাশের এলাকায় সন্ধ্যার পর থেকে রাতভর মাদকাসক্তদের আড্ডা বসে। স্থানীয় বাসিন্দাদের মতে, চৌপার পুল এলাকা বখাটেদের অন্যতম মাদকসেবনের জায়গা। স্থানীয়রা সন্দেহ করছেন, তারা মিয়ার হত্যাকাণ্ডের সাথে মাদকাসক্ত বখাটেদের সংশ্লিষ্টতা থাকতে পারে।

কেন্দুয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মিজানুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, “ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। হত্যাকাণ্ডের ঘটনাটি আমরা বিশেষ গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করছি এবং পুলিশের বিভিন্ন সংস্থা একযোগে কাজ করছে। আমরা আশা করছি দ্রুতই আসামিদের চিহ্নিত করে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হবো।”

তারা মিয়ার নৃশংস হত্যাকাণ্ডে পুরো এলাকাবাসী শোকাহত এবং আতঙ্কিত। এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও দ্রুত বিচারের দাবিতে এলাকাবাসীর পাশাপাশি নিহতের পরিবারও আহ্বান জানিয়েছে।

ট্যাগঃ
জনপ্রিয় সংবাদ

বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস নেত্রকোনা-৩ মনোনীত প্রার্থীর কেন্দুয়া আলেম উলামাদের সাথে সৌজন্য সাক্ষাত  ——-

বাশাটি বাজারের ব্যবসায়ী তারা মিয়ার নৃশংস হত্যাকান্ড

আপডেট টাইমঃ ০৭:৫৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৩ মার্চ ২০২৫

আশরাফ ইলিয়াস, স্টাফ রিপোর্টার :

 

নেত্রকোনা জেলার কেন্দুয়া উপজেলার গড়াডোবা ইউনিয়নের বাশাটি বাজারের ৬২ বছর বয়সী তরকারি ব্যবসায়ী তারা মিয়া গত শুক্রবার রাতে নৃশংসভাবে খুন হয়েছেন। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, তারা মিয়ার বাড়ি গড়াডোবা ইউনিয়নের ওয়াই গ্রামে। তিনি দীর্ঘদিন ধরে বাশাটি বাজারে পেয়াজ-রসুন বিক্রির ব্যবসা করতেন। প্রতিদিনের মতো বাজার শেষে তিনি সাধারণত রাত ৯টা থেকে ১০টার মধ্যে সাইকেলযোগে বাড়ি ফিরতেন। তবে ঘটনার দিন তিনি সাইকেল নিয়ে যাননি এবং ধারণা করা হচ্ছে, তিনি হেঁটেই বাড়ি ফিরছিলেন। ফেরার পথে কাটাহুসিয়া গ্রামের চৌপার পুল এলাকায় তার উপর হামলা চালানো হয় এবং তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। পরে তার ক্ষতবিক্ষত মরদেহ সাতারখালী খালের কাদায় পড়ে থাকতে দেখা যায়।

তারা মিয়ার স্ত্রী বলেন, “আমার স্বামীর সাথে কারো কোনো ঝগড়া-বিবাদ ছিল না। আমার জানামতে তার তেমন কোনো শত্রু ছিল না। প্রতিদিনের মতো সে রাত ৯টা থেকে ১০টার মধ্যে বাড়ি ফিরে আসে এবং স্থানীয় ওয়াই বাজারে বন্ধুবান্ধবের সাথে সময় কাটিয়ে রাত ১২টা থেকে ১টার মধ্যে ঘরে ফেরে। কিন্তু গতরাতে সে আর বাড়ি ফেরেনি। আমি সেহরির সময় তাকে দেখতে না পেয়ে আমার ছেলে ও দেবরকে বলি খোঁজ নিতে। পরে জানতে পারি তার লাশ সাতারখালী খালে পাওয়া গেছে।”

নিহতের ভাই সোলায়মান বলেন, “রাতের শেষে ভাবির কাছ থেকে জানতে পারি, ভাই রাতে বাড়ি ফেরেনি। অনেক খোঁজাখুঁজির পর আমরা কাটাহুসিয়া গ্রামের চৌপার পুল এলাকায় সাতারখালী খালে তার মরদেহ খুঁজে পাই। আমার ভাইয়ের সাথে কারো কোনো শত্রুতা ছিল না। তাকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে। আমি এই হত্যাকাণ্ডের সঠিক বিচার চাই।”

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কাটাহুসিয়া গ্রাম এবং তার আশেপাশের এলাকায় সন্ধ্যার পর থেকে রাতভর মাদকাসক্তদের আড্ডা বসে। স্থানীয় বাসিন্দাদের মতে, চৌপার পুল এলাকা বখাটেদের অন্যতম মাদকসেবনের জায়গা। স্থানীয়রা সন্দেহ করছেন, তারা মিয়ার হত্যাকাণ্ডের সাথে মাদকাসক্ত বখাটেদের সংশ্লিষ্টতা থাকতে পারে।

কেন্দুয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মিজানুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, “ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। হত্যাকাণ্ডের ঘটনাটি আমরা বিশেষ গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করছি এবং পুলিশের বিভিন্ন সংস্থা একযোগে কাজ করছে। আমরা আশা করছি দ্রুতই আসামিদের চিহ্নিত করে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হবো।”

তারা মিয়ার নৃশংস হত্যাকাণ্ডে পুরো এলাকাবাসী শোকাহত এবং আতঙ্কিত। এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও দ্রুত বিচারের দাবিতে এলাকাবাসীর পাশাপাশি নিহতের পরিবারও আহ্বান জানিয়েছে।