
বিশেষ প্রতিনিধি, নেত্রকোনাঃ
নেত্রকোনার আটপাড়া উপজেলার সুখারী ইউনিয়নের হাতিয়া গ্রামে মৃত আব্দুল মালেকের বিধবা স্ত্রী আঙ্গুর আক্তার (৬০) ও তার দুই মেয়ের বসতঘরের আঙিনায় লাগানো বিভিন্ন প্রজাতির গাছপালা জোরপূর্বক কেটে নিয়েছে স্থানীয় প্রভাবশালী মৃত রূপচান মিয়ার দুই ছেলে সবুজ ও বাবু।
গাছ কাটতে বাধা দিলে বিধবা আঙ্গুর আক্তার ও তার দুই মেয়েকে শ্লীলতাহানির শিকার হতে হয়। এমনকি ঈদুল ফিতরের আগের দিন বৃদ্ধা নারীকে স্বামীর ভিটা থেকে বের করে দেওয়া হয়। ঘটনাটি জানার পর স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা কয়েক দফা দরবার ও সালিশ করেছেন, কিন্তু কোনো সমাধান হয়নি।এখন বিধবা নারী ও তার দুই মেয়ে প্রাণনাশের হুমকিতে রয়েছেন এবং নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।
প্রতিবেশীরা জানান, বিধবা নারী তার স্বামীর মৃত্যুর পর দশ বছর ধরে বসবাস করছেন। হঠাৎ করেই তার বসতভিটার বিভিন্ন প্রজাতির গাছ কেটে নেওয়া হয়েছে, যা অন্যায়।
আঙ্গুর আক্তার জানান, তার স্বামী মৃত্যুর আগে তার দুই মেয়ের নামে ২০ শতাংশ জমি দলিল করে দিয়েছিলেন। এছাড়াও, সংসার চালানোর জন্য ৫০ শতাংশ ধান চাষের জমি ছিল, যা জোরপূর্বক দখল করে নেওয়া হয়েছে। স্বামীর ভিটের সাড়ে সাত শতাংশ জমিতেও তাদের থাকতে দেওয়া হচ্ছে না।
অভিযুক্ত সবুজ মিয়া স্বীকার করে বলেন, তিনি গাছ কেটেছেন এবং ক্ষতিপূরণ দেবেন। এ বিষয়ে গ্রামের লোকজনের মাধ্যমে সমাধানের কথা জানান তিনি।
এ বিষয়ে আটপাড়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) প্রদীপ কুমার চক্রবর্তী বলেন, ‘ঘটনাটি আমরা জানি, তবে এখন পর্যন্ত থানায় কোনো লিখিত অভিযোগ জমা দেয়নি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।