ঢাকা , রবিবার, ২২ জুন ২০২৫, ৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনামঃ
চোরাকারবারী কে ধরতে গিয়ে ভারতে ঢুকে পড়া বিজিবি সদস্যেকে ফেরত দিয়েছে বিএসএফ  উদ্দীপন রহনপুর শাখার আওতায় কৈশোর কর্মসূচি উপজেলা পর্যায়ে উন্নয়ন মেলা এবং পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত সুনামগঞ্জের শহীদ মিণারে বিজিবির অভিযানে ১০ লাখ টাকার ভারতীয় পণ্য আটক দিরাইয়ে সরমঙ্গল ইউনিয়ন বিএনপির কর্মী সমাবেশ অনুষ্ঠিত  বিএনপির সভাপতি রুহুল আমিন ইন্তেকাল করেছেন।(ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন) দায়িত্ব পালনের পথে প্রাণ গেল মমিনের — বাঁচার লড়াইয়ে ম্যানেজার শরিফুল অবৈধ মাটি কাটার বিরুদ্ধে সেনাবাহিনী ও প্রশাসনের যৌথ অভিযান গুরুদাসপুরে বন্ধ হলো ভেকু সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্য ভোলাহাটে রাস্তার বেহাল অবস্থা ধানের চারা রোপণ করে প্রতিবাদ সেনাবাহিনীর সাহসী অভিযানে গুরুদাসপুরে সংঘবদ্ধ ডাকাতদলের ছক ভেস্তে গেল ডাকাতির আগেই গ্রেপ্তার ৬ জন, উদ্ধার খেলনা পিস্তল ও দেশীয় অস্ত্র নাটোরে সড়কে নিথর চার জীবন: একটি সন্ধ্যা বদলে দিল চারটি পরিবার

পাবনায় বিএনপি-জামায়াত সংঘর্ষে আহত অন্তত ৩০ জন; জামায়াত কার্যালয়ে আগুন ও ভাঙচুর।

পাবনা আটঘরিয়া প্রতিনিধি 

আটঘরিয়া উপজেলার দেবোত্তর ডিগ্রি কলেজের অ্যাডহক কমিটি নিয়ে দ্বন্দে বিএনপি-জামায়াতের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এঘটনায় উভয় পক্ষের অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন।

এসময় পাবনা জেলার আটঘরিয়া উপজেলা জামায়াত কার্যালয়ে আগুন দেন বিএনপির বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা। পরে উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব মনোয়ার হোসেন আলমের নিজস্ব কার্যালয় ভেঙে দেন জামায়াত কর্মীরা।

বৃহস্পতিবার (১৫ মে) সন্ধ্যার আগে দেবোত্তর বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

আটঘরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুজ্জামান সরকার জানান, দেবোত্তর ডিগ্রি কলেজের কমিটি গঠনকে কেন্দ্র জামায়াতের লোকজন প্রথমে বিএনপির লোকজনের ওপর হামলা করেন। পরে দুই পক্ষের সংঘর্ষ বেধে যায়। এতে উভয় পক্ষের বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন।

তিনি আরও বলেন, আহতদের আটঘরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ বিভিন্ন জায়গায় চিকিৎসার জন্য নেওয়া হয়েছে। তবে এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের জেলা কমিটির সহসভপতি ও উপজেলা জামায়াতের সাবেক আমির আমিরুল ইসলামের ভাষ্য, বিএনপির লোকজনের কথামতো মনোনয়নপত্র দেয়নি কলেজ কর্তৃপক্ষ। পরে বিএনপির লোকজন অভিভাবক ও জামায়াত নেতাদের কলেজের ভেতরেই মারধর করেন। এরই প্রতিবাদে অভিভাবকরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর স্মারকলিপি দিতে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। এসময় আসরের আজান হওয়ায় মসজিদে নামাজ পড়তে যান তারা। বিএনপির লোকজন তখন মসজিদকে লক্ষ্য করে গুলি ও ককটেল ছোড়েন। এ ঘটনায় মুসল্লিরা বিক্ষুব্ধ হয়ে প্রতিবাদ মিছিল করেন। এসময় তারা আবার হামলা চালান। পরে মুসল্লিরা বিএনপির সদস্য সচিব আলমের কার্যালয় ভাঙচুর করেন। এ ঘটনায় জামায়াতের ২০-২৫ জন আহত হয়েছেন।

জানতে চাইলে উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব মনোয়ার হোসেন আলম বলেন, পূর্ব পরিকল্পিতভাবে জামায়াতের লোকজন আমাদের ওপর হামলা করেছেন। এতে আমাদের ১৫ জনের মতো আহত হয়েছেন।

তিনি আরও বলেন, তারা আমার বিএনপি অফিস ভাঙচুর করেছেন। আমরা এর সুষ্ঠু বিচার চাই। তবে মসজিদে গুলি ও ককটেল নিক্ষেপের বিষয়টি অস্বীকার করেন ওই বিএনপি নেতা।

ট্যাগঃ
জনপ্রিয় সংবাদ

চোরাকারবারী কে ধরতে গিয়ে ভারতে ঢুকে পড়া বিজিবি সদস্যেকে ফেরত দিয়েছে বিএসএফ 

পাবনায় বিএনপি-জামায়াত সংঘর্ষে আহত অন্তত ৩০ জন; জামায়াত কার্যালয়ে আগুন ও ভাঙচুর।

আপডেট টাইমঃ ১০:০২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৬ মে ২০২৫

পাবনা আটঘরিয়া প্রতিনিধি 

আটঘরিয়া উপজেলার দেবোত্তর ডিগ্রি কলেজের অ্যাডহক কমিটি নিয়ে দ্বন্দে বিএনপি-জামায়াতের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এঘটনায় উভয় পক্ষের অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন।

এসময় পাবনা জেলার আটঘরিয়া উপজেলা জামায়াত কার্যালয়ে আগুন দেন বিএনপির বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা। পরে উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব মনোয়ার হোসেন আলমের নিজস্ব কার্যালয় ভেঙে দেন জামায়াত কর্মীরা।

বৃহস্পতিবার (১৫ মে) সন্ধ্যার আগে দেবোত্তর বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

আটঘরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুজ্জামান সরকার জানান, দেবোত্তর ডিগ্রি কলেজের কমিটি গঠনকে কেন্দ্র জামায়াতের লোকজন প্রথমে বিএনপির লোকজনের ওপর হামলা করেন। পরে দুই পক্ষের সংঘর্ষ বেধে যায়। এতে উভয় পক্ষের বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন।

তিনি আরও বলেন, আহতদের আটঘরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ বিভিন্ন জায়গায় চিকিৎসার জন্য নেওয়া হয়েছে। তবে এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের জেলা কমিটির সহসভপতি ও উপজেলা জামায়াতের সাবেক আমির আমিরুল ইসলামের ভাষ্য, বিএনপির লোকজনের কথামতো মনোনয়নপত্র দেয়নি কলেজ কর্তৃপক্ষ। পরে বিএনপির লোকজন অভিভাবক ও জামায়াত নেতাদের কলেজের ভেতরেই মারধর করেন। এরই প্রতিবাদে অভিভাবকরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর স্মারকলিপি দিতে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। এসময় আসরের আজান হওয়ায় মসজিদে নামাজ পড়তে যান তারা। বিএনপির লোকজন তখন মসজিদকে লক্ষ্য করে গুলি ও ককটেল ছোড়েন। এ ঘটনায় মুসল্লিরা বিক্ষুব্ধ হয়ে প্রতিবাদ মিছিল করেন। এসময় তারা আবার হামলা চালান। পরে মুসল্লিরা বিএনপির সদস্য সচিব আলমের কার্যালয় ভাঙচুর করেন। এ ঘটনায় জামায়াতের ২০-২৫ জন আহত হয়েছেন।

জানতে চাইলে উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব মনোয়ার হোসেন আলম বলেন, পূর্ব পরিকল্পিতভাবে জামায়াতের লোকজন আমাদের ওপর হামলা করেছেন। এতে আমাদের ১৫ জনের মতো আহত হয়েছেন।

তিনি আরও বলেন, তারা আমার বিএনপি অফিস ভাঙচুর করেছেন। আমরা এর সুষ্ঠু বিচার চাই। তবে মসজিদে গুলি ও ককটেল নিক্ষেপের বিষয়টি অস্বীকার করেন ওই বিএনপি নেতা।