
আঙ্গুর হোসেন ভূঁইয়া
নেত্রকোনা প্রতিনিধিঃ
নেত্রকোনার কেন্দুুয়া উপজেলায় মালয়েশিয়ান প্রবাসী স্বামী মোখলাদ তার স্ত্রী শাপলা আক্তার কে খুন করে আগুনে পুড়ে ফেলা চেষ্টা অভিযোগ উঠেছে।
এঘটনাটি আজ শুক্রবার (২৮ জুলাই) সকাল ৬টার দিকে উপজেলা মোজাফরপুর ইউনিয়নের গগডা ভূঁইয়া পাড়া গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটেছে।
এ ঘটনায় নিহত শাপলা আক্তার স্বামী মোখলাদ (৩৫), ও তার দেবর মোজাহিদ (২৫) আটক করে কেন্দুয়া থানা পুলিশ ।
পুলিশ ও নিহতের পরিবারের সুত্রে জানা গেছে, ৮ মাস পূর্বে মাসকা ইউনিয়নের কীর্তনখোলা গ্রামের মুতি মিয়া মেয়ের শাপলা আক্তার সাথে মোজাফরপুর ইউনিয়নের গগডা ভূঁইয়া গ্রামের মালয়েশিয়ান ফেরত মোখলাদ মিয়া (৩৫) এর সাথে পারিবারিকভাবে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়।
বিয়ের সময় বাপের বাড়ি থেকে দেওয়া নিহত শাপলা আক্তারের ব্যবহারের স্বর্ণালংকার চুরি করে নিয়ে যায় স্বামীর ভাগিনা। এ নিয়ে কিছুদিন ধরে স্বামীর সংসারে ভেজাল বিশৃঙ্খলা চলছিল।
নিহতের ভাই শফিকুল জানান, আনুমানিক সকাল ৭টার দিকে তার বোনের জামাই ফোন করে বলল শাপলা আগুনে পুড়ে গুরুতর আহত হয়েছে।
খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক ছুটে যাই, বোনের বাড়িতে। তাকে প্রথমে নিহতের মৃতদেহ দেখাতে দেয়নি আমাকে স্বামীর বাড়ির লোকজন। পরে তাদের বাড়ি থেকে আরও আত্মীয়-স্বজন ও পুলিশ গেলে তারা আমাদেরকে আমার বোনের লাশ দেখায়া।
শফিকুল আরো জানান, তার বোনে মাথা ফাটা, মগজ অন্যত্রে চিটে পড়ে ছিল। রক্তে সারাঘর ও দেয়ালে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে রয়েছে । তার ধারণা বোনের চুরি যাওয়া স্বর্ণালংকার নিয়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে তাকে হত্যা স্বামীর বাড়ির লোকজন মিলে। বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার জন্য পুড়ে মারা মারা গেছে বলে পরিকল্পনা করে তারা। আমার বোন পুড়ে মারা গেলে রক্ত ও মাথার মগজ ও রক্ত ছিটিয়ে পড়ে থাকবে কেন?
এদিকে নিহতের আটককৃত স্বামী মোখলাদ এ প্রতিনিধিকে বলেন,ঘটনার সময় সে বাড়িতে ছিলেন না। স্বামী-স্ত্রী এক সাথে ফজরের নামাজ ও পড়েছেন। পরে সে জমির কাজে হাওড়ে চলে যায়। স্ত্রী শাপলা আক্তারের মৃত্যুর খবর পেয়ে তিনি বাড়িতে এসেছেন।
কেন্দুুয়া থানার ওসি আলী হোসেন বলেন, নিহত গৃহবধূর সুরতহাল করে ময়নাতদন্তের জন্য নেত্রকোনার মর্গে পাঠানোর প্রক্রিয়াধীন। এবং এ ঘটনার সাথে জড়িত থাকার সন্দেহে নিহতের স্বামী ও দেবরকে আটক করা হয়েছে।
আঙ্গুর হোসেন ভূঁইয়া
নেত্রকোনা প্রতিনিধিঃ
তারিখ-২৮/০৭/২০২৩ ইং